উপস্থাপনার পূর্বপ্রস্তুতি

যারা শিল্পসাহিত্য, আবৃত্তি, সঙ্গীত, অভিনয়, রাজনীতি এমন কি শিক্ষকতা বা প্রশিক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের কোনো না কোনো সময় মঞ্চে উঠতে হয়। লাইমলাইটে দাঁড়াতে হয়। মাইক্রোফোনে কথা বলতে হয়। এই কথা বলা বা উপস্থাপনা যদি দর্শক-শ্রোতাকে আকৃষ্ট বা মুগ্ধ করে তাহলে তো সমস্যা নেই। কিন্তু একটু অমনোযোগ বা সামান্য অসতর্কতায় যদি দর্শক-শ্রোতা বিরক্তবোধ করেন তাহলে সকল প্রস্তুতি ও উদ্যোগ পণ্ড হতে বাধ্য। তখন যিনি উপস্থাপনা করলেন, নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন না। আত্মদংশনের শত হুল মনের মধ্যে বিঁধতে থাকে। যতদিন মনে পড়ে ততদিন নিজের মনে বিব্রত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। তাই উপস্থাপনার ক্ষেত্রে পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া ও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

উপস্থাপনা কি?
উপস্থাপনা একটি শিল্প। কেউ কেউ একটু আধটু উপস্থাপনা করতে করতে সময়ে বেশ দক্ষ হয়ে উঠেন। ঘন্টার পর ঘন্টা দর্শক-শ্রোতাকে মুগ্ধ করে রাখতে পারেন। এটি কোনো মায়াজাল বিস্তারকারী ব্যাপার নয়। যে-কেউ খুব সহজভাবে উপস্থাপনা করতে পারেন। দিনযাপনে যেমন স্বাভাবিকভাবে কথা বলেন ঠিক তেমনভাবে বেশ সহজে উপস্থাপনা চালিয়ে যেতে সক্ষম। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আড্ডা বা আসরে চমৎকার কথা বলে চলেন। আড্ডা জমিয়ে রাখার ক্ষমতা অপরিসীম; কিন্তু মঞ্চে উঠতে ইতস্তত করেন। ভয় পান। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বোকা হয়ে তোতলাতে থাকেন। পরবর্তীতে এই কাজ করতে আর আগ্রহী থাকেন না। অথচ কিছু প্রস্তুতি নিলে যে-কেউ চমৎকার ও আকর্ষণীয় উপস্থাপনা করতে সক্ষম হতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।

সাধারণভাবে উপস্থাপনা হলো সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্য সামনে রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো তথ্য বা অনুভূতির প্রকাশ। এই তথ্য বা অনুভূতি নানান মাধ্যমের হতে পারে এবং তা একটি ধারানুক্রমের নিয়ম অনুসরণ করে সম্পাদিত হয়। এটি মৌখিক হতে পারে। দর্শনযোগ্য হতে পারে, যেখানে ছবি বা চিত্র বিশ্লেষণমূলক বর্ণনা থাকতে পারে। এছাড়া উপস্থাপনা হতে পারে, লিখিত, সঙ্গীত, আবৃত্তি, অভিনয় অথবা সার্বিকভাবে অডিও-ভিজুয়াল। উপস্থাপনা একইসঙ্গে শোনা ও দেখার বিষয় হলেও বেতারে শুধুমাত্র শোনার বিষয়টি থাকে। মঞ্চ উপস্থাপনার ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে দর্শকশ্রোতার সরাসরি যোগাযোগ ঘটে। আপনি একটু সতর্ক দৃষ্টি রাখলে তাঁদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া খুব সহজে অনুধাবন করতে পারেন। তাদের ইতিবাচক অবস্থান আপনাকে উৎসাহিত করে তোলে। বিপরীত অবস্থান হতোদ্যম করে দেয়। সেক্ষেত্রে আপনার চলমান উপস্থাপনা আরও খারাব হয়ে যেতে বাধ্য।

উপস্থাপনার উদ্দেশ্য:
যেভাবেই বিশ্লেষণ করা যাক না কেন প্রতিটি উপস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে। এগুলোকে এভাবে বলা যেতে পারে। ১. কোনো ঘটনা, গবেষণা, আবিষ্কার কিংবা অভিজ্ঞতা শেয়ার করা। ২. কোনোকিছুর সেবা প্রদান উপলক্ষ্যে অর্থাৎ সার্ভিস ডেলিভারির বিষয় প্রতিপাদন করা। ৩. কোনোকিছুর প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা এবং একইসঙ্গে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা। ৪. কোনো পণ্য সম্পর্কে বিক্রয় ও সেবার উপর বিস্তারিত ধারনা প্রদান। ৫. কোনো সংঘ বা দল বা এজেন্সি বা দপ্তর সম্পর্কে প্রতিনিধিত্বমূলক বক্তব্য প্রদান। ৬. কোনো বিশেষ বিশ্বাস ও মনমানসিকতার বিষয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু বলা। ৭. কোনো বিশেষ দাবি, সমাধান প্রস্তাব, চিন্তা বা কাজের পথ নির্দেশনার জন্য বক্তব্য প্রদান এবং ৮. কোনো বিনোদনমূলক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মনোজ্ঞ উপস্থাপনা।

উপস্থাপনার সাত দিক:
যে-কোনো উপস্থাপনার ক্ষেত্রে আয়োজনকারীকে কতগুলো বিষয় বিবেচনায় আনতে হয়। এগুলোকে পর্যায়ক্রমে এভাবে বলা যায় যে, উপস্থাপনাটি কেন বা কী জন্য নির্ধারণ করা হচ্ছে? সেটি কে বা কারা করবেন? উপস্থাপনাটি কাদের বা কোন লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর জন্য? কী বিষয়ে উপস্থাপনা? সেটি কোন সময়ে করা হবে? কোন স্থানে বা কোথায় এই আয়োজন? উপস্থাপনাটি কোন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের সামনে খুব সহজে একটি প্রোগ্রামের সার্বিক দিক দৃশ্যমান হয়ে উঠে। যেমন ধরা যাক, একটি কবিতাপাঠের প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠান করা হবে। তাহলে দেখা যায়, অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা কোনো একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে করা হয়েছে। তাহলো কবি ও তার কবিতাকে জনসমক্ষে উপস্থাপন করা। অন্যতম এই লক্ষ্যের সঙ্গে দ্বিতীয় বা পরোক্ষ উদ্দেশ্য হলো জনসাধারণের মধ্যে কবিতাকে জনপ্রিয় করে তোলা। এই প্রোগ্রামের বিভিন্ন অংশে প্রমুখ ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট করা আছে। তাঁরা কবির অথবা একাধিক কবির কবিতা পাঠ করবেন। কবি নিজেও তাঁর কবিতা পাঠ করতে পারেন। যিনিই করুন এক বা একাধিক উপস্থাপক সার্বিক অনুষ্ঠান দর্শকশ্রোতার মাঝে তুলে ধরেন। এই অনুষ্ঠান কবিতাপ্রেমিক সকল ব্যক্তির জন্য উন্মুক্ত। অনুষ্ঠানের মূল বিষয় জনৈক কবির কবিতা পাঠ এবং প্রাসঙ্গিকভাবে বিষয়সংশ্লিষ্ট আলোচনা থাকতে পারে। অনুষ্ঠানটির একটি নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ ঠিক করা থাকে যেমনভাবে কোথায় অর্থাৎ কোন্ ভেন্যুতে হবে সেটিও নির্ধারিত। এখন বিবেচ্য বিষয় কবিতপাঠের এই আয়োজন কোন প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করা হবে যা দর্শকশ্রোতাকে আনন্দ দেবে একইসঙ্গে তাঁকে ভাবার ও স্ব-ভূমিকা রাখার জন্য অনুপ্রাণিত করবে। অনুষ্ঠানটি কি সাধারণভাবে করা হবে নাকি কিছু অলঙ্করণ করা হবে? যেমন: ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড এফেক্ট, ভিজুয়ালাইজেশন এবং অংশ্রগহণমূলক পদ্ধতি রাখা হবে কি না? বস্তুত একটি অনুষ্ঠান বা প্রোগ্রাম আয়োজন করার ক্ষেত্রে আয়োজক বা আয়োজকগণের নিজস্ব মেধা পছন্দ-অপছন্দ, দক্ষতা ও দূরদৃষ্টি অনেক কাজ করতে পারে। দক্ষ আয়োজক বা উদ্যোক্তার জন্য যেমন একটি অনুষ্ঠান জনপ্রিয় হতে পারে তেমনভাবে একজন দক্ষ উপস্থাপকের মাধ্যমে দুর্বল অনুষ্ঠান বিশেষভাবে প্রশংসা কুড়িয়ে আনতে পারে ও জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

উপস্থাপকের পূর্বপ্রস্তুতি:
যে-কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে উপস্থাপকের পূর্বপ্রস্তুতি থাকে। এটি করা থাকলে উপস্থাপনার গুণে প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত ও সফল হয়। উপস্থাপনার সাতদিক বিবেচনায় এনে আমরা যদি নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি একটু দৃষ্টি দিই তাহলে উপস্থাপনা সাবলীল হবে এবং যে-কোনো ভঙ্গুরতা এড়ানো সম্ভব। যেমন:

১. নিজের পোশাক ও অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। কোন ধরনের পোশাক পরবেন, আপনার হাঁটাচলা, নড়াচড়া, কথা বলা সবকিছুতে স্বাচ্ছন্দ্য আছে কি না পরখ করুন। গলা শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে পানি খেয়ে নিন। অহেতুক উষ্ণতা বা গরমবোধ যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিন। উত্তেজক খাদ্য পরিহার করুন। অতিরিক্ত মেকআপ না নেয়া সবচেয়ে ভালো। আত্মবিশ্বাসী থাকুন। তবে কখনো জ্ঞানীর ভূমিকা নিতে যাবেন না।
২. যে বিষয়ে উপস্থাপনা করবেন সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা নিন। যদি অতিরিক্ত গবেষণার আবশ্যক হয় তা সম্পন্ন করুন। সময় সম্পর্কে সচেতন থাকুন অর্থাৎ কতটুকু সময় ধরে কথা বলা দরকার তা ঠিক করুন। এই উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনি কি একটি অথবা তারও বেশি বার্তা পৌঁছুতে আগ্রহী?
৩. কারা এই অনুষ্ঠানের দর্শক শ্রোতা হয়ে এসেছেন? কী জন্য এবং কিসের আগ্রহে তাঁরা এসেছেন? সংখ্যায় তাঁরা কত হতে পারে? তাঁরা কি আপনার ভাষা ও কথা সহজভাবে বুঝতে পারেন অর্থাৎ আপনি কি তাঁদের কাছে আপনার বক্তব্য সঠিকভাবে নিয়ে যেতে সক্ষম?
৪. প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠানটি কোথায় আয়োজিত হচ্ছে? সেখানের আসন ব্যবস্থা ও মঞ্চ কেমন? দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি আপনার বক্তব্য সঠিকভাবে পৌঁছুনোর সুব্যবস্থা আছে কি না? বিদ্যুৎ ও আনুষঙ্গিক সহযোগগুলো আছে কি না? উপস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যমগুলো সচল বা কর্যকর আছে কি? প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠান ঘোষিত সময়ে আয়োজন করা গেলে দর্শক-শ্রোতাকে বিরক্তির হাত থেকে রক্ষা করে যা একজন উপস্থাপকের জন্য একটি ইতিবাচক সুবিধা।
৫. অনুষ্ঠানের সঙ্গে আপনার উপস্থাপনার বিষয়টি মানানসই আছে কি এবং কিভাবে তা ভেবে দেখা দরকার। দর্শক-শ্রোতা যাতে ক্লান্তি বোধ না করেন তা দৃষ্টিতে রাখা। যদি তেমন হয়ে থাকে তাহলে তাঁদের উজ্জীবিত করার জন্য অনুষ্ঠানের সঙ্গে মিলে যায় এমন বিকল্প উপস্থাপনার প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
৬. কিভাবে উপস্থাপনা করছেন? মাইক্রোফোনে? কোনো ওভারহেড প্রজেক্টর বা অন্যকোনো অডিও-ভিজুয়াল ব্যবহার করে থাকলে আগে থেকে তার অপারটিং পদ্ধতি শিখে রাখুন।
৭. দর্শকশ্রোতাদের কাছ থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করছেন তার একটি আনুমানিক চিত্র মনে মনে আঁকতে পারেন। অথবা তাঁদের মাঝে যে প্রতিক্রিয়া তৈরিতে উপস্থাপনা করছেন তা অনুমান করুন ও উদ্বুদ্ধ হোন।

মূলত যিনি উপস্থাপনা করবেন তাকে সবদিক থেকে চিন্তা করে সাবলীল হতে হবে। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আনতে হবে। মঞ্চে এমনভাবে দাঁড়ানো যাবে না যাতে আপনাকে বোকা বোকা লাগে আবার খুব বেশি অহংকারি মনে হয়। সাধারণত উপস্থাপনারে ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয় যে, মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে, কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ শোনা যাচ্ছে, নিজেকে বোকা দেখাচ্ছে বলে ধারনা হতে থাকে, অহেতুক তাড়াহুড়োভাব এবং ভুল হয়ে যায়। সর্বোপরি দর্শকশ্রোতা বিরক্তবোধ করছেন বলে মনে হতে থাকে।

সেক্ষেত্রে আপনি নিজের জন্য আত্মবিশ্বাস ফেরাতে এই ব্যবস্থা নিতে পারেন: ১. আপনি যোগ্য এবং দক্ষ বলে উপস্থাপনার কাজটি করতে এসাইন্ড হয়েছেন। ২. দর্শক-শ্রোতা আপনার কথা শুনতে আগ্রহী। ৩. তাঁদের মধ্যে আপনার চেয়ে অনেক জ্ঞানী ও দক্ষ ব্যক্তি থাকলেও আজ তাঁরা আপনার পক্ষে আছেন। ৪. কোনো বিষয়ে মতদ্বৈততার মানে এই নয় যে, তাঁরা আপনাকে আক্রমণ করছেন।

যা করবেন:
১. মঞ্চে উঠে সবচেয়ে আগেই দর্শকশ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে খুব আন্তরিকতার সঙ্গে প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠানের বিষয়ে দুটো কথা বলবেন।
২. যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী এবং ইতিবাচক মনোভঙ্গীর প্রকাশ করবেন।
৩. শুরু করার আগেই মনে মনে একটি ধারানুক্রম সাজিয়ে নিন যে, কী কী বিষয় এবং কখন কখন বলবেন।
৪. মূল অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ সময়ের কতটুকু অংশে নিজের উপস্থাপনা রাখবেন তা পরিমাপ করে নিন।

যা করবেন না:
১. কখনো ওজর তুলবেন না। দুঃখ প্রকাশ করবেন না। কিংবা নিজের দুর্বলতা বা সবলতা সম্পর্কে বলবেন না। নিজেকে হাস্যকর রূপে হাজির করবেন না।
২. এলোমেলো এবং দীর্ঘ সময় নিয়ে কথা বলবেন না।
৩. দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি কোনো অভিযোগ করবেন না। তাঁদের কোনো কৃত কাজের উল্লেখ করবেন না।
৪. সমাজে বলা অসঙ্গত এমন কৌতুক বা উপকরণ পরিবেশন করবেন না।
৫. এভাবে উপস্থাপনা শুরু করবেন না যে, ‘প্রিয় দর্শক-শ্রোতা এবার আমি আপনাদের সে বিষয়টি বলতে যাচ্ছি যা আমাকে বলতে বলা হয়েছে যে,… ইত্যাদি ইত্যাদি।’
৬. এমন ভাব নেবেন না যাতে বোঝানো হয় যে, আপনি সবকিছু জানেন। এমন কি যে-কোনো যুক্তিতর্কে আপনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন।
৭. দর্শকের সারিতে থাকা সুধিসমাজের প্রতি কোনো প্রশ্ন বা উক্তি ছুঁড়ে দেবেন না যা অত্যন্ত বিব্রতকর ও বিরক্তিকর।

পরিশেষে:
উপস্থাপনার বিষয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে। যেমন: অনেকে বলে থাকেন, উপস্থাপনার বিষয়টি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একটি মেধা। এটি সহজে কেউ পারেন না। প্রথমেই যখন পারলাম না তখন কোনোসময়ে পারব না। অনেকে শুনলেন কিন্তু কেউ সাধুবাদ দিল না, অর্থাৎ উপস্থাপনা ভালো হয় নি। অন্যেরা চমৎকার ও সার্থক উপস্থাপনা করেন। আমার দ্বারা এটি হবে না। ইত্যাদি। কিন্তু সার্বিকভাবে বলা যায় যে, উপস্থাপনার বিষয়টি চমৎকার এবং উপভোগ্য। শুধু একটু সতর্ক প্রস্তুতি ও নিয়ম রক্ষা করলে যে-কেউ একজন সফল ও জনপ্রিয় উপস্থাপক হতে পারেন। তখন এই কাজে সবকিছুই আনন্দদায়ক হয়ে উঠে।

সূত্র: ছোটগল্পের নির্মাণশৈলী_মাহবুব আলী

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৬ টি মন্তব্য (লেখকের ৩টি) | ৩ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ১৩-১১-২০১৮ | ১৯:৫৪ |

    উপস্থাপনার বিষয়টি চমৎকার এবং উপভোগ্য। শুধু একটু সতর্ক প্রস্তুতি ও নিয়ম রক্ষা করলে যে-কেউ একজন সফল ও জনপ্রিয় উপস্থাপক হতে পারেন। তখন এই কাজে সবকিছুই আনন্দদায়ক হয়ে উঠে। ____ পরিচ্ছন্ন পরামর্শ।
    অভিনন্দন প্রিয় মাহবুব আলী ভাই।

    GD Star Rating
    loading...
    • মাহবুব আলী : ১৫-১১-২০১৮ | ১৬:৩১ |

      ধন্যবাদ মুরুব্বীভাই। শুভ কামনা রইল।

      GD Star Rating
      loading...
  2. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ১৩-১১-২০১৮ | ২০:০৮ |

    আলোচনাটি দারুণ ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রতিকারার্থে নিজের মনোবল আর জানার পরিধিকে স্বচ্ছল রাখতে হবে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • মাহবুব আলী : ১৫-১১-২০১৮ | ১৬:৩২ |

      অশেষ ধন্যবাদ কবি। ভালো থাকুন।

      GD Star Rating
      loading...
  3. রিয়া রিয়া : ১৩-১১-২০১৮ | ২০:৪১ |

    অসতর্কতায় যদি দর্শক-শ্রোতা বিরক্তবোধ করেন তাহলে সকল প্রস্তুতি ও উদ্যোগ পণ্ড হতে বাধ্য। তখন যিনি উপস্থাপনা করলেন, নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন না। আত্মদংশনের শত হুল মনের মধ্যে বিঁধতে থাকে। যতদিন মনে পড়ে ততদিন নিজের মনে বিব্রত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। তাই উপস্থাপনার ক্ষেত্রে পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া ও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। একদম সঠিক বলেছেন দাদা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • মাহবুব আলী : ১৫-১১-২০১৮ | ১৬:৩৩ |

      অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

      GD Star Rating
      loading...