পর্ব-১।
সময়ের দ্রুতগতির ও শক্তিশালী যোগাযোগমাধ্যম আজ তথ্যপ্রযুক্তি। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ প্রতিমুহুর্তে জানতে পারছে বিশ্বের সকল খবরাখবর। এর সাথে যুক্ত হয়েছে সোস্যাল নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন। যার ফলে মানুষ তার যাপিত জীবনের ঘটে যাওয়া খন্ডখন্ড চিত্র-ঘটনাগুলো অতি সহজে শেয়ার করতে পারছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। সোস্যাল নেটওয়ার্ক হিসেবে সারাবিশ্বের মানুষ আজ ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, লিংকডিন, হোয়াটঅ্যাপস, ইমো, শেয়ারচ্যাটের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো জেনে ও ব্যবহার করে আসছে। এসব সোস্যাল নেটওয়ার্কের মধ্যে ফেসবুকই হচ্ছে সর্বাধিক পরিচিত। সারাবিশ্বের একশো কোটিরও বেশি মানুষ ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক তথা ফেসবুক ব্যবহার করে। চলতি সালে এর সংখ্যা ৩শ কোটিতে পৌছবে এরকম বলা হয়েছে। তাই নীল চোখের এই ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক কেউ জেনে বুঝে ব্যবহার করছে, কেউ না জেনে ব্যবহার করে। ফেসবুক এখন শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, এটা আজ বিশাল সংবাদ ও বিজ্ঞাপন মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করে মার্ক জুকারবার্গ। ধীরে ধীরে কমিউনিকেশন বাড়তে থাকলেও ২০১১ সালের হাতে হাতে মোবাইল আসায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই ফেসবুক। এরপর হাতে হাতে স্মার্টফোন চলে আসায় ফেসবুকের অবস্থান এখন শক্তিশালী।
লিখবেনঃ
ফেসবুক যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি থাকলে যেকোন তথ্য অতিদ্রুত শেয়ার করা যায়, তাই ভাবতে হবে আপনার ফেসবুকের একটি পোস্ট কতোটা গুরুত্ব বহন করতে পারে। অনেকে মনে করতে পারেন, ফেসবুকে যা ইচ্ছে তাই তো লেখা যায়। আমার অনুভূতি, আমার ঘুরাফেরা, আমার চোখের সামনে যেকোন ঘটনা তো ফেসবুকে শেয়ার করতেই পারি। এতে দোষের কী আছে? আপনার ভাবনা স্বাধীন হলেও ফেসবুক কিন্তু আপনাকে পোস্টের স্বাধীনতা দিলেও পরে আপনার শেয়ারকৃত পোস্টটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। এ জটিলতার দুর্ভোগ আপনাকেই ভোগ করতে হবে। এমনো হতে পারে এর দহনশীল দুর্ভোগ আপনার পরিবারও পেতে পারে।
কিভাবে লিখবেনঃ
কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন, সেখানকার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন। অচেনা-অজানাকে জানাতে পারেন। চোখের সামনে দূর্ঘটনা ঘটে, সে দূর্ঘটনার সংবাদ, আনন্দ সংবাদ, সাফল্য, শিক্ষামূলক, উন্নয়নসহ জনকল্যাণমূলক পোস্ট আপনি দিতে পারেন। তবে আপনি যদি অপরাধ বিষয়ক কোন পোস্ট করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই অপরাধের সত্যতা জানতে হবে। তথ্য-প্রমান থাকতে হবে। তবে আপনি যদি সংবাদমাধ্যমের কোন ফেসবুক ইউজার হোন, তাহলে সেই অপরাধের সংবাদটি প্রথমত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর তা ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন। একটা কথা মনে রাখতে হবে, ফেসবুকে একটি পোস্ট মানেই সেটি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এটার রিফেক্ট বেশি হয়ে থাকে। তাই সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসেবে সচেতনতা থাকতে হবে লেখার মধ্যে যেন অপ্রাসঙ্গিকতা না থাকে। লেখাটি যেন সবার দৃষ্টিগোচরের মধ্যে শিক্ষামূলক, উন্নয়নমূলক এবং সবার কাছে আপনার ব্যক্তিত্বটুকু যেন বিকশিত হয়ে সম্মানজনক হয়।
চলবে…..
loading...
loading...
ফেসবুকে একটি পোস্ট মানেই সেটি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এটার রিফেক্ট বেশি হয়ে থাকে। তাই সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসেবে সচেতনতা থাকতে হবে লেখার মধ্যে যেন অপ্রাসঙ্গিকতা না থাকে। ___ সহমত মি. এস কে দোয়েল। কেমন আছেন ?
loading...
জ্বি ভালো আছি শ্রদ্ধেয়। অনেক দিন পর প্রিয় ব্লগে। ধন্যবাদ জানবেন।
loading...
বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশনের ফল খুব ধীরে ধীরে আসে।
প্রথম নিষিদ্ধ কিছু সম্ভবত গন্ধম ফল ছিল (আমি নিশ্চিত নই); সেই নিষেধাজ্ঞা মানেনি। হিউম্যান সাইকলোজিই এমন। তবে মানুষকে সচেতন করে ভালো ফল পাওয়া যায় যা আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে হয়তো করতে চেয়েছেন!
loading...
নিয়মের বাইরে কিছু লিখলে বা পোষ্ট করলে ডিজিটাল আইনের আওতায় এনে ঠ্যাঙ্গানি দিবে। তখন বুঝবে মজা কত ধানে কত চাল!
সতর্ক করার জন্য ধন্যবাদ।
loading...
ভালো পরামর্শ। কেমন আছেন দোয়েল দা। অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম।
loading...
অনেক ধন্যবাদ রিয়া আপু। হ্যাঁ অনেক দিন পর প্রিয় ব্লগে। ভালো থাকবেন।
loading...
সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসেবে সচেতনতা থাকতে হবে লেখার মধ্যে যেন অপ্রাসঙ্গিকতা না থাকে।
loading...
ঠিক তাই প্রিয় সৌমিত্র দা। ধন্যবাদ।
loading...
* প্রয়োজনীয় পরামর্শ…
loading...