জয়বাংলা শ্লোগান, গলায় নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে কেন্দ্র দখল করে ধানের শীষে সিল মারা, আমার দেশ পত্রিকার বির্তকিত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর আদালত চত্বরে হামলা, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর একই মালিকের তিনটি গাড়ির বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী হত্যা, কোমলমতি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীকে পুলিশের কলার ধরে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন, ছাত্রদের শান্তিপূর্ন প্রতিবাদকে ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা আসলে কিসের আলামত ?
সরকারের উর্ধ্বতন মহলসহ গোয়েন্দা সংস্থাকে গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। সামনে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্রকারী কুচক্র মহলের কোন ষড়যন্ত্র কিনা ? আগেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলার জন্য আগষ্ট মাসেই বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রদের উপর বাস তুলে দিয়ে ছাত্র হত্যা, সারা দেশে নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপদানের লক্ষ্যে বিরোধীদের তৎপরতা কি সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোন ষড়যন্ত্র ? নিজেদের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ঘরের শত্রুদের কোন গভীর ষড়যন্ত্রের তৎপরতার জানান নয় তো? বঙ্গবন্ধু হত্যার সেই ষড়যন্ত্রের নীলনকশা আজও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। এখনও ষড়যন্ত্রকারীরা আগষ্ট মাসকে সামনে রেখে তাদের ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের চেষ্টারত। এই আগষ্ট মাসেই জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর হামলা হয়েছে তাকে মেরে ফেলার যা এখনও চলমান। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে জানা যায় জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বর্তমানে আওয়ামী লীগে প্রধান দুটি সমস্যা হলো— অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও নিজ নিজ গ্রুপ ভারী করতে বিরোধী মতাদর্শীদের দলে অনুপ্রবেশ।
বাস চাপায় ছাত্র হত্যায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাবালে নূরের যে তিনটি বাসের রেষারেষিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে, আসলে এটা কি একই মালিকের তিনটি বাসের রেষারেষি নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি সরকার বিরোধী আন্দোলন সৃষ্টির ইস্যু তৈরীর কোন ষড়যন্ত্র কিনা খতিয়ে দেখা দরকার। যে বাস গুলির রেষারেষিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সেগুলোর নিবন্ধন নম্বর হলো ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯২৯৭, যেটা চালাতেন মাসুম। ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৬৫৭ বাসটি চালাতেন জুবায়ের অপরটি ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৫৮০, এটা চালাতেন সোহাগ। এরমধ্যে ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯২৯৭ নম্বর বাসের চাপায় মারা যায় দুই শিক্ষার্থী। মাসুম বিল্লাহর বাসের রেজিস্ট্রেশন আর ফিটনেস ঠিক থাকলেও রুট পারমিটের মেয়াদ ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর শেষ হয়েছে। আর সোহাগ আলির বাসটির রেজিস্ট্রেশন ঠিক থাকলেও ফিটনেটের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২০ জুন। রুট পারমিট ও ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৪ মার্চ। আর জুবায়েরের চালানো বাসটির রেজিস্ট্রেশন ঠিক থাকলেও ফিটনেস ও ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৬ সালের ১৮ মে। রুট পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৭ সালের ১৯ মে। রাস্তায় চলার অনুমোদনহীন বাসের চাপায় ছাত্র হত্যা কেমন যেন রহস্যাবৃত। আবার পরিবহন শ্রমিক সংগঠন নামধারী কিছু মোড়লের গোষ্ঠীস্বার্থের আধিপত্যও সড়কে অরাজকতার জন্য অনেকাংশে দায়ী। ‘দুর্ঘটনার নামে মানুষ হত্যা, আহত শিক্ষার্থীকে আবার পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করা, ফুটপাতের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীর ওপর বাস তুলে দেয়া- এটা দুর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকাণ্ড।’
আমাদের নীতিহীনতা, বিবেকহীনতার গা শিউরে ওঠা উদাহারণ সামনে আসছে একের পর এক। অথচ আমরা নিশ্চুপ! নিশ্চুপ মন্ত্রী সকল, নিশ্চুপ নাগরিক সমাজ। অদ্ভুত এক নির্লজ্জতা গ্রাস করেছে আমাদের ! এভাবেই জাতির সামনে ভবিষ্যতের অন্ধকার সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছে; অথচ দেশের কর্ণধারদের কোনো বিকার নেই।
আমাদের বিবেক আর কত নিচে নামলে আমরা প্রকৃত বিবেকবান হবো ?
loading...
loading...
আমাদের বিবেক আর কত নিচে নামলে আমরা প্রকৃত বিবেকবান হবো ?
loading...
সর্বৈব সত্য এবং সময়ের উচ্চারণ। কথা গুলো দীর্ঘ একটি সময় মানুষের মনে বাজছে। প্রকাশের জো নেই। সমকালীন বাস্তবতায় সত্য যাদের ধারণ করবার কথা; তারা নেই।
loading...
আপনি কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী কিনা সেখানে আমার প্রশ্ন নয়; আমি দেখেছি ছবি। ছবি কি বলে? সমকালীন বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে বাংলাদেশের জনকের তৈরী দল নীতিগত আদর্শ থেকে যে সরে এসেছে এটা প্রমাণিত। যা ঘটছে দুঃখজনক।
loading...