মাজারের খাদেম ও নতুন মুরিদের মাঝে কথপোকথনঃ
(১ম সপ্তাহে)
– খাদেম ভাই, আনেকদিন ধরে আমার প্রায়ই পেটে ব্যাথা হয়। ডাক্তার বলছে গ্যাস জমেছে, সারতে সময় লাগবে।
– ভুল কথা, জ্বীনের বদ নজর লাগছে। বাবার মাজারে মোমবাতি দে, ভাল হয়ে যাবে।
(২য় সপ্তাহে)
– খাদেম ভাই, আমার বুক ব্যাথা করছে। এখন ডাক্তারের ঔষধ খাচ্ছি।
– ঔষধ খেয়ে কিছু হবে না রে, বাবার মাজারে মুরগি দে, ভাল হয়ে যাবে।
(৩য় সপ্তাহে)
– খাদেম ভাই, আমার চাকরি হচ্ছেনা, কি করি?
– বাবার ওরশে ছাগল দে, চাকরি হয়ে যাবে।
(৪র্থ সপ্তাহে)
– খাদেম ভাই, আমার বিয়ে হচ্ছে না। কি করি?
– বাবার ওরশে গরু দে, বিয়ে হবে।
(১ মাস পর…
– খাদেম আব্বা, এই নেন মিষ্টি! নতুন বিয়ে করলাম।
– আরে পাগলা এখন দেখি আমারেই বাবা ডাকে! দেখলি বাবার মাজারে তোর দেয়া মোমবাতি, মুরগি, ছাগল, গরু- সব দান কাজে লেগেছে। বাবা কবর থেকে মুরিদদের সবকিছু জানে (নাউজুবিল্লাহ)।
– জ্বি না, বাবা কিছুই জানে না। নইলে মিছিমিছি পেট ব্যাথা আর বুক ব্যাথার কথা বললাম, তবু বাবা টের পেল না কেন?
– মিছমিছি হলে তুই মাজারে এসব কিছু দিলি কেন?
– আপনার মেয়েকে পটানোর জন্যে আব্বাজান! মোমবাতি, মুরগি, গরু, ছাগল মাজারে দিয়ে আপনার বাসায় আসা যাওয়া নিশ্চিৎ করেছি, আর আপনার মেয়েকে পটিয়ে বিয়ে করেছি।
– কি! তোর এত বড় সাহস, শেষে আমার মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে? তোর চাকরি পাওয়ার কথাও তো তাহলে মিথ্যা! তুই মোমবাতি কেনার টাকা পেলি কই?
– ইয়ে, মাজারের দানবাক্স থেকে টাকা মেরে দিয়ে…
– মুরগি কেনার টাকা?
– দানবাক্স থেকে…
– ছাগল কেনার টাকা?
– দানবাক্স থেকে…
– গরু কেনার টাকা?
– ঐ যে দানবাক্স থেকে…
– ই ই ই…. ধপাস!! (খাদেম মিয়া অজ্ঞান)
– খাদেম আব্বা, কি হলো? আজকে ’হুহ হাহ হুহ’ ড্যান্স দিলেন না যে!
loading...
loading...
*চমৎকার…
শুভ কামনা সবসময়।
loading...
loading...
এইটা ঠিক আছে। যেমন খাদেম আর তেমন মুরিদ। ব্লগে একটু আনন্দ না থাকলে কি চলে ? আরও পড়তে চাই।
loading...
পড়লাম – হা হা হাসলাম! চমৎকার প্রিয় কামাল ভাই

loading...