নাস্তিক — আল্লাহ্ কে তো চোখে দেখি না, চোখে না দেখে কি ভাবে বিশ্বাস করবো? যা দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না তা কি বিশ্বাসযোগ্য?
আস্তিক — আচ্ছা ধর তুই খুব বুদ্ধিমান, বিবেক আছে, আরও অাছে অনেক জ্ঞান, ও মন।
বল তো -তোর জ্ঞান কি দেখা যায়? বিবেক কি দেখা যায়? মন কি দেখা যায়? যে মন দিয়ে কল্পনা করিস, সেই কল্পনা কি দেখা যায়? যেমন তুই চীনে থাকাকালীন যে’সব স্মৃতি রেখে এসেছিস, এখন তুই বাংলাদেশে থেকে কল্পনার শক্তি দিয়ে মুহূর্তেই চীনের কতো কি কল্পনায় দেখিস।
আরেকটু খেয়াল করে দেখ, যেমন তোর জ্ঞান, যে জ্ঞান দিয়ে তুই চাইলেই সত্য’কে মিথ্যা আর মিথ্যা’কে সত্য করতে পারিস! যেমন তোর আছে চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি, এবং বিবেক। ধর বিবেক দিয়ে তুই ভালো ও মন্দ বিচার করতে পারিস।
এবার বল- তোর বিবেক, বুদ্ধি, জ্ঞান, মন, এসব কি দেখা যায়? ছোঁয়া যায়? কখনো কি দেখেছিস? বা ছুঁয়েছিস?
নাস্তিক — না! তবে কি সব আবোলতাবোল প্রশ্ন করিস? এসব কি দেখা যায় নাকি?
আস্তিক — হুম একদম তাই, এসব দেখা যায় না!
তবে এসব যদি দেখা না যায়, ছোঁয়া না যায়,
তাহলে কি করে বলিস যে, যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না তা কি বিশ্বাসযোগ্য?
তোর বিবেক, জ্ঞান, মন, এসব তো দেখা যায় না! তাহলে কেনো এসব না দেখে বিশ্বাস করিস?
তোর জ্ঞান থাকা সত্বেও তুই কি কখনো বলবি, তোর কোনো বিবেক নেই, জ্ঞান নেই, মন নেই?
তুই জানিস এসব কিছুই তোর মাঝে আছে , বিশ্বাসও করিস, অনুভবও করিস তাই না ?
নাস্তিক— হুম অবশ্যই বিশ্বিস করি।
আস্তিক— তাহলে কেনো আল্লাহ্ কে না দেখে বিশ্বাস করবি না?
নাস্তিক — তোর আর কোনো প্রশ্ন আছে? থাকলে আরও কর।
আস্তিক— আগে জবাব দে , তারপর।
নাস্তিক—পরে দেবো, তোর যুক্তিকর বকবকানি শুনি।
আস্তিক —আরও শুনবি শোন।
তুই নাক দিয়ে যে নিঃশ্বাস ফেলিস, মানি যে বাতাস বাহির হয় , সেই অদৃশ্য বাতাস কখনো কি দেখেছিস?
নাস্তিক — না, এবং না, তুই বলতে থাক।
আস্তিক — আচ্ছা ধর তোর হঠাৎ করে একদিন নিঃশ্বাস ফেলতে খুব কষ্ট হয়! তুই ধীরে ধীরে খুব খুব অসুস্থ হয়ে পড়লি! ধর বড় বড় ডাক্তার, কবিরাজ, সব দেখানো হলো, দেশ’বিদেশ সবখানে।
কোনো ঔষধপাতি কাজ করছে না! একদম মৃত্যুমুখী তুই! কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না! পৃথিবীর কেউ’ই না!! তোর হতাষাগ্রস্ত মন কেবল বাঁচার জন্য কাকুতিমিনতি করছে! তখন তুই কার কাছে সাহায্য চাইবি?
নাস্তিক — আল্লাহর কাছে ।
আস্তিক — তুই আল্লাহ্ কে চোখে দেখিস না! চোখে না দেখার কারণে বিশ্বাস করিস না!
তাহলে কেনো সাহায্য চাইবি?
নাস্তিক — ইয়ে মানি! আল্লাহ্ বলে হয়তো কেউ একজন আছে!
আস্তিক — হয়তো নয় রে নাস্তিক, অবশ্যই অবশ্যই আছে।
তোর এই সামান্য দৃষ্টিশক্তি দিয়ে কি ভাবে আল্লাহ্ কে দেখতে চাষ?
সেদিন নাস্তিকটা কোনো জবাব না দিয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে সেই যে গেলো!
loading...
loading...
ইন্টারেস্টিং কথোপকথন। প্রমাণ হয়ে যায় সৃষ্টি কর্তার উপস্থিতি। কোন সন্দেহ নেই।
loading...
দারুণ
যখন ঝড় উঠে আটলান্টিক মহা সাগরে আর কোন একা নাস্তিকঅভিযাত্রী…
তখন সেও নাস্তিক নয়…
loading...