সেদিন দুপুরে পথের ধারে ছোট্ট এক ভীড়ে,
দেখিল বিশু এক পথশিশু বিদ্ধ কথার তীরে।
চোখে তার জল গা থরথর ভয়ে সে জড়োসড়ো,
কম্পিত স্বরে বলছে বারে বারে মার্জনা মোরে করো।
ক্ষুধার জ্বালায় প্রান চলে যায় ভুল করেছি তাই,
আমি যে অনাথ কষ্ট অগাধ বাবা মা বেঁচে নাই।
কাকে দেব দোষ করেছি উপোস পরশু থেকে আজ,
ঘুরেছি দ্বারে ঘরে বাহিরে জুটেনি তবুও কাজ।
খেয়েছি তাই ডাস্টবিনে পাই গায়ে লাগেনি দাগ,
গত দু’দিন হঠাৎ আসিন কুকুর বসিয়েছে তাতে ভাগ।
প্রান বাঁচাতে আজ নিজ হাতে নিয়েছি এই রুটি,
বুঝিনি তখন বাঁচাতে জীবন ধরবো চেপে টুটি।
মনে প্রানে মানি নিজ থেকে জানি চুরি করা মহাপাপ,
অনাহারি মন জানিনা কখন করেছে সেই কাজ।
আমি নই শুধু দেখে মরু ধূধূ হাজার পথশিশু,
পথের ধারে জীবন বাড়ে সম্বল নেই কিছু।
বাঁচার জন্য পথ অন্য তৈরি করে নিজে,
হয়ে অপরাধী করে চাঁদাবাজী এ সমাজের মাঝে।
শুনে তব কথা মনে লাগে ব্যাথা চোখে নামে বরষা,
অঝোর ধারায় বারি বয়ে যায় মেঘ কাটে সহসা।
ভাবিল বিশু সব পথশিশু নয় সে অপরাধী,
সমাজের জন্য ভাগ্য শুন্য তারা অন্য নাওয়ের মাঝি।
আজ থেকে তার কষ্টের প্রহর সাঙ্গ হল ভবে,
নতুন আশায় আলোর দিশায় চোখের তারায় রবে।
পরম মমতায় স্নেহ ছায়ায় জীবন বাড়িল তার,
জীবনের বাঁকে শত ছবি আঁকে আজ সে বড় ডাক্তার।
loading...
loading...
প্রকৃত মানব শিশুর জন্য মানুষের হৃদয় মন কাঁদবে এমনটাই স্বাভাবিক। বাস্তবতা যতো নিঠুর ই হোক না কেন; অদম্য ইচ্ছে'র পরিশ্রম স্বপ্ন পূরণের প্রধান শর্ত।
লিখাটির জন্য শুভেচ্ছা রাখি মি. নীতিশ রায়। শুভ সন্ধ্যা।
loading...
ধন্যবাদ আপনাকে।
loading...