আপনার বাড়িতে যে কাজ করে, সে আপনার চাকর। আর আমরা যারা সরকারী চাকরী করি তারা সরকারের চাকর। আর সরকার যেহেতু জনগনের টাকায় চলে, সেহেতু জোর গলায় বলা যায়, যারা সরকারের চাকর, পক্ষান্তরে বা সত্যিকারে তারাই জনগনের চাকর।
কানাকে কানা বলতে নেই। এই সূত্রে চাকরকে সেবক বললে তারা মনে মনে খুব সুখ পায়। মনটা গর্বে ফুলে উঠে। চেহারার রশনাই বেড়ে যায়। এ দেখে জনগন মিটি মিটি হাসতেই পারেন।
তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে, চাকর সর্বদা চাকরই। তারা ছ-পোষা মানুষ। মাস আনে, মাস খায়। শেষ সপ্তায় অসহায়। এই অসহায় চাকরদের বেতনের বেশ একটা অংশ কেটে নেয়া হয় আয়কর বা ইনকাম ট্যাক্স এর নামে।
আমার ধারনা, ট্যাক্স দেবেন স্বচ্ছলগন। ট্যাক্স দেবেন যাদের আয় উপার্জন ভালো। মনের কো একটা প্রশ্ন বার বার উকি দেয়। প্রশ্নটি হলো দেশে এত স্বচ্ছল টাকার কুমির থাকতে চাকর কেন ট্যাক্স দেবে ?
চাকর মাস গেলে বেতন পাবে, বেতন পেয়ে ছা- পোষবে, রোগ বালাইয়ের চিকিতসা নেয়ার জন্য ঔষধ কিনবে। যৌবন শেষে পেনশন পাবে, পেনশনের টাকার টেনশন দূর করার জন্য কেউ মক্কা যাবে, কেউবা যাবে গয়া বা কাশি। চাকর ট্যাক্স দেবে কোত্থেকে ?
হ্যা দেবে, দিতে তাকে হবেই। বহুল প্রচলিত একটা গল্প মনে পড়ে গেলোঃ
মুনিব – ঈমান আলী, মার কেমন সইতে পারিস ?
চাকর – হুজুর, মোটেই পারি না।
মুনিব – ভেবে দেখ, যদি বেধে মারি ?
চাকর – হুজুর, তবেতো আপনার যত ইচ্ছা …
loading...
loading...
পোস্ট এর বিষয়বস্তুতে একদিকে আলোচনা ভিন্ন দিকে সরস উপস্থাপনা; এই দুটোর সমন্বয় অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে আমার তো ভালো লেগেছে আপনার যুক্তি সমূহ।
মি. জালাল উদ্দিন মুহম্মদ।
আপনাকে আর পোস্ট লিখে খসড়া অথবা সাবমিট ফর রিভিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে না। প্রকাশ করতে চাইলে সরাসরি প্রকাশ বাটনের বোতামে ক্লিক করলেই চলবে।
loading...