ট্রু কলার’ জিনিসটা ইন্টারেস্টিং। মাঝে মাঝে চমৎকার সব নাম আসে। আজ সকালে উবারে কল করলাম। কথা শেষ করে দেখি ট্রু কলারে নাম দেখাচ্ছে “শয়তান ড্রাইভার উবার”। আমিতো নাম দেখে ঢোক গিললাম। মনে পড়ে গেল ফেসবুকে উবার ইউজার গ্রুপে যাত্রী হয়রানির নানা কাহিনি। অফিসে সকাল সকাল মিটিং তাই ক্যান্সেল করে আরেকটার চেষ্টা করব সে সুযোগও নাই। ভাবতে ভাবতেই হাতের কাজ শেষ করছিলাম। এর মাঝেই ‘শয়তান ড্রাইভার উবার কলিং’ লিখে আবার ফোন, সে বাসার নিচে।
আমি গাড়িতে বসেই তাকে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করলাম। এক হাতে মেটালের চেইন আরেক হাতে ঘড়ি, বাম হাতের মধ্যমা আর অনামিকায় সোনালী রঙ এর দুইটা বড় আংটি, ডান হাতের মধ্যমাতেও একই আংটি, মেরুন রঙা ফ্রেমের চশমা চোখে সে গাড়ি স্টার্ট দিল অফিসের উদ্দেশ্যে।দেখে একটু ভীতই হলাম। অন্যদিন তো গাড়িতে উঠেই ঘুম দেই কিংবা বই পড়ি। আজ আর কিছুই করলাম না। ড্রাইভারের দিকে নজর রাখতে রাখতেই অফিস পৌঁছালাম। ভেবেছিলাম ট্রিপ শেষে ভাড়ার টাকা ভাংতি দেন বলে খ্যাচ খ্যাচ করবে কিংবা আদেশের সুরে ‘ফাইভ স্টার দিয়ে দিয়েন’ বলবে। কিছুই করল না সে। একটা তটস্থ ভ্রমণ শেষে নেমে আমিও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম!
loading...
loading...
‘ট্রু কলার’ ইন্টারেস্টিং এক আবিষ্কার।
মফস্বলে এর গতি প্রকৃতি না থাকলেও এ্যাপসটি আমি বহুদিন ব্যবহার করেছি।
loading...
ঠিক বলেছেন
loading...
ট্রু কলার ইন্টারেস্টিং, সন্দেহ নেই। মাঝে খুব মজার মজার নাম আসে, যেমনঃ ছোট শালার মামাতো শালী।
তবে উবার নিয়ে অনেকে অনেক কথা বললেও আমার অভিজ্ঞতা বেশ ভাল। আমি উবার ব্যবহার পছন্দ করি। এখানে অনেক সময় ড্রাইভারের ব্যবহার যাত্রীর ব্যবহরের উপর নির্ভর করে।
ধন্যবাদ খুবই সুন্দর এই পোস্টের জন্য।
loading...