চৌদ্দশ তেইশ ছাব্বিশ চৈত্রে আরামে নদীর ধারে
মটরবাইক চড়ে গেলাম সাপটে বসি দক্ষিণ পাড়ে
বড়শি আর ফিকাজালে মাছ ধরেন কয়জন জেলে
ডুবে দু’জন পাথর তুলে ধার স্তুপে রাখেন ঢেলে
বাটা-চিলি মাছ ধরে হাত উচিয়ে ডাঙ্গায় ফেলে।
উজানে ভারত বাঁধ জলহীন করতোয়া মরন ফাঁদ
চোখ জুড়ায় সবুজ মাঠ ফাঁকে চিকচিক বালুর বাঁধ
নদী জলে স্নানের তরে কৃষাণ-কৃষানীর দৌড় ঝাপ
বক –সারস-মাছরাঙ্গার শিকার ধরতে বাড়ল চাপ
সবুজ ক্ষেতের আড়ালে পান কুয়াড়ি এক ঝাঁক।
দক্ষিণা হাওয়াই বালুর ফুলকি নদীর জলে পড়ে
ক্ষনিকে ধারের স্বচ্ছ জল ময়লা আর্বজনায় ভরে
পাদুকা খুলেই বসে পড়ি সবুজ ঘাসে নদীর পাড়ে
কুচুরিপানা ধীরে ভাসে মাছ ভুটকাই জল ধারে
উদাস দুপুর মন মাতালো করতোয়ার কোলে।
প্রকৃতিই মন ভুলাল করতোয়ার ধারে কাল ফুরাল
বাঁশ বন আড়ালে চিকচিক বালুচর দুচোখ জুড়াল
মনে হয় ছোট সৈকতে রুপালি সবুজের হাত ছানি
ক্লান্তি আর নাইকো কাজে তৃষ্ণান্ত মন চাই পানি
উদাস দুপুরে নদীর কিনারে প্রকৃতি ভরা আত্মস্মৃতি।
০৯.০৪.১৭
loading...
loading...
ছন্দ বোধের লিখন ধারার ভক্ত হিসেবে লিখাটিকে অতি সম্মান জানালাম। গ্রেট।
loading...