মুখোশ মুখে স্বপ্ন
মুখোশ মুখে হাঁটি
চোখ ভরা স্বপ্ন,
দুঃখগুলো ঢেকে রাখি
মানুষের মাঝে আনন্দ বাটি;
একসময় পাহাড়ে একটা মেয়ে দেখেছিলাম
বুনো, পাহাড়ি
প্রকৃতির মত নির্মল
ঝর্ণার মত উচ্ছল
চোখ-জুড়ানো সুন্দর;
মন আনচান করে উঠতেই স্বপ্ন এলো চোখে,
ঘর বাঁধব, পাহাড়ে
আকাশ থেকে জ্যোৎস্না পাড়ব
ঝর্ণায় অবগাহন
বুনো ফুল ছিঁড়ে সাজাবো তারে
আমিও বুনো হয়ে যাব
পাহাড়ি মেয়েটাকে ভালোবেসে, পাহাড়ে;
অনেক দিন বাদে সব গুছিয়ে মেয়েটার খোঁজে গিয়েছিলাম পাহাড়ে
মেয়েটা তখন পাহাড় চূড়ায়
দেখলাম আমার স্বপ্ন-ঘর থেকে বের হয়ে আসছে
কোলে ফুটফুটে এক শিশু
দেব-শিশু, আহারে;
আমায় দেখতেই ফিক করে হেসে দিলো
দৌড়ে ঘরে চলে গেলো
হাত ধরে একজনকে নিয়ে এসে পরিচয় করিয়ে দিলো
আমার স্বামী;
স্বপ্ন থেকে বাস্তবে নেমে এলাম
মনটা ভেঙে গেলো
মন কাঁদতে থাকলো
আমার মুখোশ পড়া মুখ হাসতে থাকলো
অভিনন্দন জানিয়ে চলে এলাম;
এখনো পাহাড়ে যাই
কাওকে খুঁজি না
শুধু পাহাড় দেখি পাহাড়ে
মন কাঁদে আহারে;
তারও অনেক দিন পরে সাগর পারে একটা মেয়ে দেখেছিলাম
ঢেউ এর মত উচ্ছল
প্রকৃতির মত নির্মল
চোখ-জুড়ানো সুন্দর
দেহাতী, বড্ড অন্যরকম
একদিন, দুদিন, তিনদিন
একসাথে ঘুরে বেরিয়েছিলাম বালুকাবেলা জুড়ে
সাগর-স্নান ক্ষণে ক্ষণে
বড্ড ভালো লেগে গিয়েছিলো আমার
তার কি ভালো লাগে নি?
হ্যাঁ লেগেছিল, তার চোখের ভেতর তাকাতেই সাগর দেখেছিলাম
মন আনচান করে উঠতেই স্বপ্ন এলো চোখে,
ঝুপড়ি একটা ঘর বাঁধব, সাগর পারে
রাতের বেলায় বালুকাবেলায় শুয়ে থাকব তারার আকাশের নীচে
চাঁদনি রাতে জ্যোৎস্না পাড়ব আকাশ থেকে
সাগরে অবগাহন
জোনাক দিয়ে সাজাবো তারে
দেহাতী মেয়েটাকে ভালোবেসে
আমিও মিশে যাব সাগরে;
অনেক দিন বাদে সব গুছিয়ে মেয়েটার খোঁজে গিয়েছিলাম সাগর পারে
দেখলাম মেয়েটা আমার ঝুপড়ি-ঘর থেকে বের হয়ে আসছে
ঢেউ আছড়ে পড়েছে সাগরে
কোলে ফুটফুটে এক শিশু
দেব-শিশু, আহারে;
আমায় দেখতেই ফিক করে হেসে দিলো
দৌড়ে ঘরে চলে গেলো
হাত ধরে একজনকে নিয়ে এসে পরিচয় করিয়ে দিলো
আমার স্বামী;
স্বপ্ন থেকে বাস্তবে নেমে এলাম
মনটা ভেঙে গেলো
মন কাঁদতে থাকলো
আমার মুখোশ পড়া মুখ হাসতে থাকলো
অভিনন্দন জানিয়ে চলে এলাম;
এখনো সাগরে যাই
কাওকে খুঁজি না
শুধু ঢেউ দেখি সাগরে
মন কাঁদে আহারে;
তারপর একসময় তুই এলি জীবনে
চাঁদ এলো, চাঁদনি এলো
স্বপ্ন এলো চোখে
খুব হঠাৎই ঝড় এলো জীবনে,
স্বপ্ন ভঙ্গ হলো
তুই পাড়ি দিলি সাত সমুদ্দুর
ওখানে টাকার পাহাড়
ওখানে সুখের সাগর
ওখানে তোর স্বর্গ
আমি নিদ্রাহীন নরকে;
এখনো দেখা হয় আমাদের
কালে ভদ্রে
যখন তোর ইচ্ছে সাত-সাগরের ওপার থেকে
তুই’ই দেখা করতে আসিস
আমি মনে মনে কাঁদি
আর মুখোশ পড়া মুখে তোর সামনে বসে হাসি
তোকে যে বড্ড ভালোবাসি;
কয়েকদিন খুব মাখামাখি
তারপর আবার উড়াল-ডানায় তুই
তোর সুখের স্বর্গে
আমি মুখোশ মুখে হাঁটি
কাঁদি, হাসি;
এখন আর চোখ স্বপ্ন দেখে না
এখন আর মন হাসে না
যখন খুব কান্না পায় তখন মুখোশ মুখে হাসি;
মুখোশের আড়ালে কত কিছুই না করা যায়?
কার এত সময়! মুখোশ খুলে কান্না দেখার।
loading...
loading...
"মুখোশের আড়ালে কত কিছুই না করা যায়?
কার এত সময়! মুখোশ খুলে কান্না দেখার।" ___ অসাধারণ এই জীবন কবিতা।
loading...
ধন্যবাদ স্যারজি
আপনি ভালোবাসায় অতিরঞ্জিত করেন
অভাগা মাঝে মাঝে লজ্জা পায়
loading...
স্বপ্ন থেকে বাস্তবে নেমে এলাম
মনটা ভেঙে গেলো
মন কাঁদতে থাকলো
আমার মুখোশ পড়া মুখ হাসতে থাকলো
অভিনন্দন জানিয়ে চলে এলাম;
অভিনন্দন কবি, সত্যিই! মুখোশের আড়ালে আমরা কিইবা দেখি?
loading...
ধন্যবাদ সাইদুর ভাই
ভালো থাকুন
loading...
আপনাকেও অবিরাম শুভেচ্ছা…..
loading...
খুউব সুচারু ভাবে লেখার লাইন গুলোন সাজিয়েছেন পড়লাম। যদিও দৈর্ঘ্যে লম্বা তারপরও শ্বাস নিয়ে পড়লে ক্লান্তি লাগে না। নমষ্কার কবি জীবন বাবু।
loading...
অনেক ধন্যবাদ রিয়া
তোমাদের ভালোলাগাই লেখার স্বার্থকতা।
loading...
অঞ্জন দত্তের কাঞ্চনজঙ্ঘার কথা মনে পড়ে গেলো।
কবির জন্য শুভ কামনা।
loading...