ছোঁয়া
কোন এক সময়
প্রায়শই জ্যোৎস্না রাতে
তুই আর আমি, থাকতাম একসাথে;
কোন এক চাঁদনি রাতে
তুই আর আমি, পাশাপাশি
চাঁদ ছিল আকাশে
সামনে ছিল নদী,
তুই আর আমি, বহুদূর বহুদূর হাতে হাতে হাত রেখে
পায়ে পায়ে পথচলা নদী-পাড়ে একসাথে
মাঝে মাঝে একটু বিরতি
দুজন গায়ে গায়ে জড়াজড়ি
হাতে হাতে, বুকে বুকে, ঠোঁটে ঠোঁটে
বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে
ফিসফিস বাতাস আর ঢেউ এর কুলকুল ধ্বনি;
আহা! কি মোহময়ী রাতগুলোই না ছিল!
মাঝে মাঝে তুই বড্ড অসভ্য হয়ে উঠতি
চাঁদ লুকিয়ে যেত মেঘের আড়ালে
আর আমি তোর বুকের গভীরে;
কোন এক চাঁদনি রাতে
তোর খুব ইচ্ছে করছিল বৃষ্টিতে ভিজতে
আমি বললাম ভিজছি তো! জ্যোৎস্নাতে
তুই বললি হবে না এতে
আমি বললাম, তাইলে চল নদীতে
তুই ঠোঁটে চুমু খেয়ে বললি, নাহ! আমার ভেতর ডুব দেও
ভেজ আমাতে,
আমি বললাম, বড্ড অসভ্য হয়ে যাচ্ছিস ইদানীং
তুই জড়িয়ে ধরে বলেছিলি – প্রেমে আবার সভ্যতা কি রে?
তারপর ডুবোডুবি
জ্যোৎস্নার ভায়োলিন
আর ঢেউ এর কুলকুল ধ্বনি;
আজ কোথায় তুই?
তোর মখমলের বিছানায় কি জ্যোৎস্না পড়ে?
আচ্ছা! বৃষ্টি নামে তোর ঘরে
ঢেউ এর শব্দ শুনতে পাশ ওখানে?
কে ভেজায় তোকে প্রেমে?
বড্ড জানতে ইচ্ছে করে;
আজ অনেকদিন পর আকাশ দেখতে ইচ্ছে করছে,
আচ্ছা! এখন কি অনেক রাত?
আকাশে আধখানি চাঁদ
আমি মেঘ খুঁজছি জ্যোৎস্নার নদীতে
একটা তারা খসে পড়তেই তোর কথা মনে এলো
বড্ড ভিজতে ইচ্ছে করছে
জ্যোৎস্নায়, বৃষ্টিতে আর তো’তে
কোত্থেকে একটা শিরশিরে বাতাস গাল ছুঁয়ে যেতেই চমকে উঠলাম,
আচ্ছা! তুই কি চুমু খেলি আমায়?
বহু, বহুদূর থেকে।
loading...
loading...
বড্ডো আপন লাগা আর ভালোবাসাময় কবিতা। সকল কিছুর উর্ধ্বে। এবং অনেক উর্ধ্বে।
loading...
চমৎকার লিখন কবি।
loading...