লাগেজ গুটিয়ে বের হতে হচ্ছে। স্যুটকেসটা রেখে যাবো হোটেলের লবিতে। কথা দিয়েছে ফিরে না আসা পর্যন্ত ওরা আগলে রাখবে। দামাস্কাস গেইট হতে রামাল্লার বাস ধরবো। এবং প্রবেশ করবো প্যালেষ্টাইনের মূল ভুখণ্ডে। এক ঘণ্টার বাস জার্নি। চেক পয়েন্ট পার হতেই যত ঝামেলা। অবশ্য একজন মার্কিন নাগরিক হিসাবে তেমন কোন অসুবিধা আশা করছিনা।
পশ্চিম তীরের রামাল্লা, জেরিকো অথবা বেথেলহেমে না ঢুকলে গোটা ইসরাইয়েল সফরটাই অসম্পূর্ণ থেকে যেতো। আলোর নীচেই অন্ধকারের বাস, আমাদের ইউনিভার্সটা নিজের কক্ষপথে আপন নিয়মেই আবর্তিত হয়। মেনে চলেই বরণ করে নেয় এ বাস্তবতা। কিন্তু প্যালেষ্টাইনিদের ভাগ্য তাদের নিজেদের বরণ করতে হয়েনি, বরং জাতিসংঘ নামক ঠুঁটো জগন্নাথ ও পশ্চিমা দুনিয়ার বন্দুকের নল তা চাপিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের হাতে নির্যাতিত ইহুদিদের সেইফ হ্যাভেন হিসাবে প্যালেষ্টাইনকে বেছে নিয়েছিল ইঙ্গ-মার্কিন সরকার। অযুহাত হিসাবে দাঁড় করিয়েছিল ধর্মীয় উপকথা। কোন এক রৌদ্রজ্বল সকালে ফিলিস্তিনিদের ঘুম ভাঙ্গে আঙ্গিনায় অচেনা মানুষের ভীড়ে। সেই যে শুরু তা আর শেষ হয়নি। কালের চক্রে বদলে গেছে অবাক হওয়ার পালা। এখন ইউরোপীয় উদ্বাস্তূরা অবাক হয়ে তাদের আঙ্গিনায় ফিলিস্তিনিদের দেখে। দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় কুকুরের মত।
আবু আল নাসেরের সাথে পরিচয় রামাল্লার বাসস্ট্যান্ডে। জেরুজালেম হতে ছেড়ে আসা বাসটা থেমেছে কেবল। সাথের ব্যাগটা কাধে ঝুলিয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছি। কোথা হতে শুরু করা যায় ভাবছি। অচেনা জায়গায় এর আগেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। কোথাও থমকে যাইনি। তালিকার প্রথমেই ছিল চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাতের কবর ও যাদুঘর। তারপর বর্তমান প্যালেষ্টাইন সরকারের হেডকোয়ার্টার। আবু নাসের এমন একজনের সন্ধানেই রাস্তায় ঘুর ঘুর করছিল। স্থায়ী পেশা বলতে কিছু নেই। যখন যা পায় তাই আকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে। ট্যুরিষ্টদের গাইড হিসাবে কাজ করাও তার পেশা্র অংশ। চালানোর মত ৫/৬টা ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারে। ইংরেজি তার অন্যতম। আমার সামনেই স্প্যানিশ, ইতালিয়ান ও রুশ ভাষায় অনেকের সাথে কথা বললো। ইমপ্রেসড না হয়ে উপায় নেই। প্রস্তাবটা নিজেই দিল; পাঁয়ে হেটে রামাল্লা শহর দেখ। দরাদরি শেষে ৮০ সেকল (ইসরায়েলী মুদ্রা) ঠিক হল। এছাড়া ভাল কোন উপায় ছিলনা শহরটা দেখার। চেয়ারম্যান আরাফাতের কবরস্থান শেষ করে মাহমুদ আব্বাসের অফিসে অপেক্ষা করছি। ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করল নাসের।
থাকে উদ্বাস্তু শিবিরে। ৬ ছেলেমেয়ে। স্ত্রী কঠিন রোগে আক্রান্ত। ভাল চিকিৎসা দূরে থাক, টেবিলে তিন বেলা খাবার যোগাতে তার কষ্ট হয়। আয়-রোজগার বলতে যা হয় তার অর্ধেকটাই চলে যায় স্ত্রীর চিকিৎসায়। প্রতিবেশী দেশ মিশর হতে গোপনে স্মাগল করে আনতে হয় তার ঔষধ। অথচ প্যালেষ্টাইনকে আলাদা করার দেয়াল উঠানোর আগে ভালই কাটছিল তার জীবন। কাজের সন্ধানে প্রায়ই চলে যেত জেরুজালেম, তেল আবিব অথবা হাইফায়। ওসব জায়গায় কাজের অভাব নেই। দেয়াল সম্পূর্ণ হওয়ার পর তার মত হাজার হাজার ফিলস্তিনির জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। অনোন্যপায় হয়ে একরাতে দেয়াল টপকে ওপারে চলে যায়। এভাবে নিয়মিত টপকাতে থাকে। যদিও জানা ছিল ধরা পরলে নির্ঘাত জেল। এবং একদিন ধরা পরে। ইসিরায়েলি সৈন্যদের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কোন রকমে পালিয়ে জান বাঁচায়। কিন্তু তা বেশি দিনের জন্যে না।
এক রাতে সৈন্যদের বুটের আঘাতে এলোমেলো হয়ে যায় তার দরজা। পালানোর সব রাস্তা বন্ধ করেই ওরা অপারেশনে নেমেছে। গ্রেফতারে বাধা দেয়নি আবু নাসের। তার মতে এমন কোন ফিলিস্তিনি পুরুষ নেই যে জেল খাটেনি। তাদের বয়সের পুরুষদের জন্যে অনেকটা বাধ্যতামূলক এ জেলটার্ম। ওরা জানে এটাই তাদের ভাগ্য।
জেলখানায় হার্ট এট্যাকের কারণে মুক্তি দেয় আবু নাসেরকে। একজন ফিলিস্তিনির চিকিৎসা মানে সরকারের অতিরিক্ত খরচ। তাই কোন এক সুন্দর সকালে দেয়ালের ওপারে এনে লাথি মেরে ফেলে দেয় ট্রাক হতে। বন্ধ হয়ে যায় তার আয় রোজগারের সব পথ। যেহেতু পুলিশের খাতায় নাম উঠে গেছে তাই বৈধভাবে ইসরায়েলে প্রবেশ করার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে তার জন্যে।
দৃশ্যত কোন কাজই নেই আবু নাসেরের মত লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের জন্যে। ওরা দরিদ্র হতে স্থায়ী দারিদ্রের খাতায় নাম লেখায়। একবেলা খেলে দু’বেলা ঊপোস করে। নিজের বাড়িঘর ত্যাগ করে নাম লেখায় উদ্বাস্তূ শিবিরে। মাহমুদ আব্বাসের সাথে দেখা করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর আবু নাসের আমাকে নিয়ে যায় তার নিজস্ব শিবিরে। প্রায় কান্নাভেজা চোখে ঠোঁট কামড়ে বলল, – দেখে যাও মানুষ নামের কিছু সবজি।
রিফিউজি ক্যাম্প মানেই অস্থায়ী কোন তাবু নয়। দেখতে স্বাভাবিক দালান-কোঠার মত। কিন্তু রানিং ওয়াটার বলতে কিছু নেই, বিদ্যুৎ আসে আর যায়। বাড়িঘর শ্রীহীন, দারিদ্রের ছোঁয়া সব জায়গায়। আবু নাসেরের একটাই ক্ষোভ, আমার নিজঘরে আজ আমি উদ্বাস্তু। একজন অর্থডক্স ইহুদির দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে রাগে ক্ষোভে বলে ফেলল, – এই ভিনদেশী দখলদাররা এখন আমার অন্নদাতা। তাদের দয়া দাক্ষিণ্যের উপর বেঁচে থাকি আমরা। অথচ পাহাড়ের উপর যে অলিভ গাছগুলো দেখছো একসময় আমাদের ছিল।
রামাল্লার পর জেরিকো নামের একটা শহরের দিকে রওয়ানা দেই আমরা। বাস বসে চারদিক দেখাচ্ছে আমাকে। পাহাড়ের চূড়ায় অনেকগুলো বাড়িঘর দেখা যাচ্ছে যা ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘরের সাথে কেমন যেন বেমানান। আবু নাসের হর হর করে বলে গেল ঐ বাড়িঘরের ইতিহাস। ওগুলোই নাকি গুই সাপের মত দখল করছে ইহুদিরা। ওরা সুঁই হয়ে ঢুকে ফিলিস্তিনিদের এলাকায় এবং কিছুদিনের মধ্যে পরিণত হয় বিশাল এক সাপে। কোন এক সুন্দর সকালে ফিলিস্তিনিদের ঘুম ভাঙ্গে কাছের ভূমিতে নতুন কিছু মানুষের পদচারণায়। ওরা বুঝতে পারে নতুন কোন বসতভুমি স্থাপন করতে যাচ্ছে স্যাটেলাররা। প্রথমে তাঁবুর মত কিছু একটা খাটায়, অথবা নিয়ে আসে নড়বড়ে একটা কনস্ট্রাকশন ট্রেইলার। জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয়, আমরা ভূমির জরীপ করতে এসেছি। খণিজ পদার্থ লুকিয়ে আছে এখানে। তারই সন্ধান করবো। ফিলিস্তিনিরা জানে এ মিথ্যে।
কিছুদিন পর শুরু হয় নির্মাণ কাজ। তা বাড়তে বাড়তে রূপ নেয় মেগা প্রজেক্টে। ওরা আসে পূর্ব ইউরোপের রাশিয়া, ইউক্রেইন, রুমানিয়ার মত দেশ হতে। আচার ব্যবহারে একেবারেই কুৎসিত এবং দু’দিন না যেতে ওখানে হাজির হয় বেদুইনরা। বেদুইনরা নাকি ইসিরায়েলিদের বিশ্বস্ত বডিগার্ড। আপন মা-বাবা, ভাই-বোনদের চাইতেও নাকি এরা বেশী বিশ্বস্ত। পশ্চিম তীরের গেরিলা বাহিনীর যে সব সদস্যদের মোসাদ বাহিনী রাতের অন্ধকারে হত্যা করে তার পেছনেও নাকি থাকে বেদুইনদের হাত। অনেকটা বাধ্য হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, – তোমাদের রেজিসটেন্ট পাওয়ার কি তাহলে মরে গেছে? কোথাও কোন প্রতিবাদ প্রতিরোধ দেখছিনা! আবু নাসের চোখ মুখ লাল হয়ে গেল। রাগে ফোঁস ফোঁস করতে শুরু করল অনেকটা বিষাক্ত সাপের মত। আমি বললাম, ছোট ছোটে শিশুদের বুকে আত্মঘাতী বোমা বেধে তোমরা যা করেছ তাতে পশ্চিম দুনিয়ার সমর্থন হারিয়েছ। তাদের মত আমিও এ হত্যার সমর্থক নই। কিছুটা সময় নিয়ে উত্তর দিল আবু নাসের।
প্রতিটা ফিলিস্তিনি পরিবারে এখন হতাশা। এক কথায় নিজদেশে বন্দী। ঘরে ঘরে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, আর ভবিষৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, না পাওয়ার হাহাকার। এ সুযোগটাই নাকি নেয় সৌদি আরবের ধনী শেখরা। অর্থ আসে মিশর সীমান্ত দিয়ে। প্রতিটা আত্মঘাতী শিশুর জন্যে বরাদ্দ থাকে পাঁচ হাজার ডলার। স্বপ্নহীন অনেক শিশু পরিবারের কথা ভেবে যোগ দেয় সৌদিদের এ মিশনে। ওরা মরে গিয়ে নিশ্চিত করে পরিবারের বেঁচে থাকা। আবু নাসেরের মতে, এ মুহূর্তে তাদের মুল সমস্যা ইসরায়েলিরা না, বরং সৌদি ও আমিরাতী ধনকুবের দল। ওরা আমুদ আহলাদের বিপদজনক খেলা খেলতে আসে প্যালেষ্টাইনের মাটিতে। ইচ্ছা করে বাতাস ভারী করে তোলে। সুযোগ করে দেয় ইসরায়েলিদের এখানে ঢুকার। অস্থির করে ফেলে তেলের বাজার। ওখান হতে কামিয়ে নেয় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। আবু নাসেরের মতে শেখরা এখন আর আরব সাগর পাড়ি দিয়ে ভারতে যায়না নিজেদের যৌনলিপ্সা চরিতার্থ করতে। ওদের বর্তমান টার্গেট ইসরায়েলের তেল আবিব ও হাইফা শহর। রুশ মহিলারা এখন তাদের প্লেটের খাবার। অনেকে এসে রুশ পতিতাদের মাথায় ডলারের বৃষ্টি নামায়।
আবু নাসের গড় গড় করে বলে গেল সৌদি আরবে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশের গৃহকর্মীদের কথা। বাড়ির কর্তা তার ভাই, বাবা, চাচা এমনকি আপন সন্তান নিয়ে নাকি ভোগ করে এসব গরীব মহিলাদের। মনুষ্যত্বের ন্যূন্যতম লেশ মাত্র দেখায় না। সৌদি আর আমিরাতীদের কাছ জীবন মানেই অর্থ, নারী আর মদ।
বেথেলহেম পর্যন্ত আসতে সূর্য ডোবা শুরু হয়ে গেল। জেরিকোর ৫০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ৫ কিলোমিটার হাঁটায় আমি ছিলাম ক্লান্ত। কিন্তু শেষ বিকেলে বেথেলহেমের মৃদুমন্দ ঠাণ্ডা বাতাস দূর করে দিল সে ক্লান্তি। আমাকে জেরুজালেমগামী বাসে উঠিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে রইল যে পর্যন্ত না বাসটা ছেড়ে যায়। খোলা জানালার সামনে এসে আবারও কথা বলতে শুরু করল… ব্রাদার, আমাদের প্রতিটা শিশু পর্যন্ত বিশ্বাস করে we’ll overcome someday… আমাদের মত তোমরাও বিশ্বাস রেখ এ অন্যায় একদিন দুর হবে… আমরা স্বাধীন হব… তোমার মত আমিও দেয়াল পেরিয়ে জেরুজালেমের ওপারে যেতে পারবো। সেদিন আবার ফিরে এসো এ পবিত্র মাটিতে… আমরা অলিভ ব্রাঞ্চ দিয়ে তোমাকে বরণ করে নেব।
ছেড়ে দিল বাসটা। অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। শেষ বাঁকটায় এসে লক্ষ্য করলাম তখনো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে আবু নাসের।
loading...
loading...
ফিলিস্তিনিদের অবস্থার একটি সম্যক ধারণা পেলাম। আপনাকে না জানিয়ে আপনার পোস্ট গুলোর পৃন্ট নিচ্ছি। অবসরে পুনরায় পড়বো বলে। ধন্যবাদ ভাই। যাত্রা শুভ হোক।
loading...
অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্য প্রেরণা হয়ে থাকবে
loading...
ফিলিস্তিনি আবু আল নাসেরের এর জন্য মায়া হলো ওয়াচডগ ভাই।
loading...
চলে আসার সময় আমারও কম মায়া হয়নি। ওর যা প্রাপ্য তার চাইতে ৪ গুন দিয়ে একটু খুশি করতে চেয়েছিলাম। সবচেয়ে ভাল লেগেছিল সব বিষয়ে গভীর জ্ঞান
loading...
গভীর ভাবে আপনার ভ্রমণ পোস্ট গুলো পড়ে চলেছি দাদা। ভীষণ ভাল লাগছে।
loading...
থ্যাংকস। ভাল থাকবেন।
loading...
খবরের কাগজে পড়া আর সহ-ব্লগারের সম্যক অভিজ্ঞতা পড়া দুটো আলাদা অনুভূতি।
আপনার দেখা আর বিশ্লেষণটাই বেশী আপন মনে করি।
loading...
আমার লেখালেখির উদ্দেশ্য ছিল এমনটাই। ধন্যবাদ।
loading...
'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের হাতে নির্যাতিত ইহুদিদের সেইফ হ্যাভেন হিসাবে প্যালেষ্টাইনকে বেছে নিয়েছিল ইঙ্গ-মার্কিন সরকার। অযুহাত ছিলো ধর্মীয় উপকথা।'
ব্যাস এই পর্যন্ত জানা ছিলো। বাকিটা পত্র পত্রিকা টেলিভিশন আর নিবন্ধ প্রবন্ধে। আপনার মতো অনুসন্ধিৎসু মানুষের দেখায় নিশ্চয়ই ভুল থাকবে না এই বিশ্বাস আছে।
loading...
দিন দিন বিকৃত হয়ে যাচ্ছে তাদের অতীত। হাইলাইট করা হচ্ছে তাদের প্রতিরোধকে। এই প্রতিরোধকে ওরা বলে ইন্তেফাদা। তাতে সহিংস্রতাও ছিল।
সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।
loading...
কি মন্তব্য করবো বুঝে উঠতে পারছি না।
loading...
সাথে আছেন তাতেই খুশি…
loading...
loading...
একটি মুরগী দুটি পদ

ভেঙ্গে দেব সংসদ…
loading...
এই পর্বটি ভীষণ ফীল করলাম ভাই।
loading...
থ্যাংকস…
loading...
Salam.porlam jeno dekhe ashlam nij choke.
Sundor bornona .shuvo kamona
loading...
আবু আল নাসের কে দেখতে খুব মন চাইছে। যে মানুষটা এত কষ্ট বুকে নিয়েও বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করছে। তাকে দেখতে ইচ্ছে করছে।
loading...