ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও সাথে পুলিশ বাহিনী দিয়ে স্বঘোষিত আওয়ামী সরকার হামলা চালাবে এটা অপ্রত্যাশিত ছিলনা। না হলেই বরং অবাক হতাম। বাংলাদেশের অতীত সরকারগুলোও এপথে হেটে গেছে। ৪/৫ দিন ধরে ফেরারি হওয়া ছুপা আওয়ামী ক্যাডাররা ফিরে আসছে ফেইসবুকে। কেউ প্রতিপক্ষ দলের আমির খসরুর ফোনালাপ, কেউ আওয়ামী অফিসে হামলার ‘করুণ’ কাহিনী নিয়ে ভার্চুয়াল দুনিয়া পুণঃ দখলের চেষ্টায় আছে। আওয়ামী লীগ সবই ফিরে পাবে। রাস্তার দখল নিতেও অসুবিধা হবেনা। তবে ক্ষতি যা হবার তা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। যে প্রজন্মের মগজে চেতনার বীজ ঢুকিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে সক্ষম হয়েছিল তা ঢিলে হয়ে গেছে। এর ফল কেবল রাজপথেই নয়, ব্যালট বাক্সেও প্রতিফলিত হতে বাধ্য। স্বভাবতই শেখ হাসিনা তার বে-আইনি ক্ষমতা ধরে রাখতে ভোটকেন্দ্রে জালিয়াতির মাত্রা দ্বিগুণ তিনগুণ করতে বাধ্য হবেন। তাৎক্ষনিক না হলেও এ ধরনের জালিয়াতির সুদূরপ্রসারী ইমপ্যাক্ট আছে, যা প্রতীয়মান হতে হয়ত একটু সময় লাগবে।
ভার্চুয়াল দুনিয়ার ছুপা আওয়ামী সমর্থকদের জন্যে শুভকামনা রইল। তবে একটা উপদেশ না দিলেই নয়। নিজেদের সন্তানদের যখন স্কুল-কলেজে পাঠাবেন তাদের গলায় একটা সাইন ঝুলিয়ে দেবেন…”আমার বাবা আওয়ামী লীগার”। কে জানে হয়ত নাবালক, অপরিপক্ব, মাতাল, উন্মাদ ড্রাইভারের দল যখন শিক্ষার্থীদের উপর বাস, ট্রাক তুলে দেবে আপনার সন্তানকে সাইনবোর্ডের কারণে রেহাই দেবে। আর যদি আপনার সন্তান চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে আলুভর্তা হয়ে যায়, সেদিন কিন্তু দুঃখ করতে পারবেন না। বরং হাসিমুখে বরণ করে নেবেন সন্তানের ভাগ্য। সেদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজকে প্রশ্ন করে দেখবেন আজকের শিশু-কিশোর তরুণ-তরুণীরা রাস্তায় বের হয়ে আপনার জন্য কি করতে চেয়েছিল। দলীয় সমর্থন যদি সন্তানের মৃত্যু চাইতেও জরুরি হয় তাহলে একটাই উপসংহার টানা যায় আপনাকে নিয়ে; আপনি বাবা হওয়ার যোগ্য নন!
loading...
loading...
দুঃখজনক হলেও আমাদের নৈতিক চরিত্রের ঐতিহ্য আমরা ধরে রাখতে পেরেছি। অরাজনৈতিক বিষয়টি একসময় এমন একটা রূপ নেবে তা কিন্তু অনুমেয় ছিলো। শুধু ছিলো অপেক্ষা। জাতীয় বা বিরোধী বুঝি না, খোলা চোখে চলমান বিষয়টি সহিংসতায় রূপ নেবে তার প্রস্তুতিও লক্ষ্য করেছি।
ইতিহাস স্বাক্ষী দেবে, অধিকার আদায়ে নাছোড়বান্দা না হলে যৌক্তিক আন্দোলনের ফসল ঘরে ওঠে না। অনুপ্রবেশকারী ঢুকবে, সুযোগসন্ধানীর দৌড়াত্ম যোগ হবে এও নতুন কিছু না। গুজব ৭১ও দেখেছি। গুজব পুঁজি করে জন-আন্দোলনকে বেগবান হতে দেখেছি।
স্টেয়ারিং যারা বহন করছেন; তারাও ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছেন মানি; পুরো দেশ এবং জাতিকে অন্ধকার করে দিয়ে বর্তমান সরকার হয়তো নন (!!) সরকারের সুবিধাভোগীরা ভক্ত কুশলীব যে আচরণ করে চলেছেন, দেশের নাগরিক হিসেবে সেখানে আমাদের দুঃখ। দুই পক্ষকেই বলবো … অধৈর্যের মূল্য অনেক সময় খুব বেশী চড়া।
loading...
আলোচ্য কথায় যুক্তি আছে।
loading...