সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া।
সামার ব্রেকের পর পুরো-দমে ক্লাস চলছে। প্রকৃতিতে শরতের আগমনী বার্তা। একদিকে পাতা ঝরছে, অন্যদিকে দিনগুলো ছোট হয়ে আসছে। তেমনি এক দিনে ডিন অফিস খবর দিল আরও ৫জন বাংলাদেশি আসছে আমাদের কলেজে। ইউক্রেইনের ঝাপারোজিয়া শহর হতে রেলে করে আসছে

বাহির হতে দেখলে মনে হবে এ আর এমন কি সমস্যা যা নিয়ে জাতি হিসাবে আমাদের ভাবতে হবে? আমেরিকা তার দেশে প্রবেশের উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যার চলমান কোন ইমপ্যাক্ট নেই। সবটাই সামনের নির্বাচনকে ঘিরে। ভবিষ্যতে কি

সময় নদীর মতই বয়ে যায়কেবলই বয়ে যায়। নদী এদিক ওদিক ধাক্কা খেলেও সময়কে ধাক্কা দেয়ার কেউ নেই। এ যেন অনন্ত কালের চলা। এ চলার শুরু ও শেষ কোথায় কারও জানা নেই। সময় গুনে ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টালে ৪৫ বছর আগে ফিরে

অনেক কিছু চাইলেও আর মনে করতে পারিনা। অথবা মনে করতে ইচ্ছে করেনা। সময়ের সাথে বোঝাপড়া হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। আমরা আর আগের মত বন্ধু নই, বরং রেললাইনের মত পাশাপাশি বয়ে যাওয়া অন্তহীন যাত্রার সহযাত্রী মাত্র। কিছু ঘটনা আছে যার দাগ মুছার নয়।

ভ্রমণ মানেই উপভোগ। অজানাকে জানার অচেনাকে চেনার হাতছানি। সীমিত সামর্থ্যের ভেতর যতটুকু সম্ভব ততটুকুই আমি ঘুরে বেড়াই। অন্যদের তুলনায় এই ঘুরে বেড়ানোর পরিসরটা আমার বেলায় একটু প্রসারিত সুযোগ ও সময়ের কারণে। উপভোগ করি বলেই ভ্রমণ করি। কিন্তু এই উপভোগ মাঝে

প্রকৃতির পরিবর্তন কত দ্রুত ঘটতে পারে পূর্ব ইউরোপের ঐ অংশে বাস না করলে হয়ত বুঝতে পারতাম না। শীতের রাজত্ব ঐ অঞ্চলে প্রশ্নাতীত। সেই যে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে তুষারপাত শুরু হয় তার শেষ কবে কেউ জানেনা। ডিসেম্বরের শুরুতে বরফ এসে জায়গা

এ লেখাটা আমার পছন্দের লেখার একটা। যে রাস্তাটার কাহিনী নিয়ে লেখা তা এখন ফুলে ফেপে একাকার হয়ে গেছে চাইলে এই একটা ছবি নিয়েই লেখা যাবে বিশাল ক্যানভাসের গল্প। অনেকে বলবেন রাজনীতির গল্প, কারণ রাজনীতি বাদে আমি অন্যকিছু লিখতে জানি না। আপনারা

ভোর ৩টা ৩০। প্ল্যান মাফিক এগিয়ে চলছে কুয়েত গামী ফ্লাইটের যাত্রা। যাত্রীরা একে একে প্রবেশ করছে। কেবিন ক্রুরা রোবট মার্কা হাসি দিয়ে তাদের স্বাগত জানাচ্ছে। উত্তরে কিছু একটা বলতে হয় এ অভ্যাসটা জাতিগত ভাবে আমাদের নেই, তাই ওদিকে মন

সময়টা ভাল যাচ্ছিল না আমাদের জন্যে। আব্বার মৃত্যু সাথে বড় ভাইয়ের সীমাহীন উদাসীনতা সব মিলিয়ে পঞ্চাশ বছর ধরে চলে আসা শিল্প-কারখানা ধ্বংসের মুখোমুখি চলে গিয়েছিল। আমি তখন ঢাকায় একটা ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক হিসাবে কাজ করি।

জন্মভূমি নিয়ে আমার কোন উচ্ছ্বাস নেই। নেই বিশেষ কোন টান। যে নাড়ির টান বছরের পর বছর ধরে দীর্ঘ ও শক্ত হয়েছিল তা ঢিলে ও সংকুচিত হয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। চাইলেও তা আগের মত জোরা লাগাতে পারিনা। লাগানোর ইচ্ছা আছে তাও

উৎকণ্ঠা আর অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে বাসটা নড়তে শুরু করল শেষ পর্যন্ত। স্বস্তির পাশাপাশি এক ধরনের নীরবতা গ্রাস করে নিলো বাসের পরিবেশ। কারও মুখে কথা নেই। সবাই ক্লান্ত এবং সামনে কি অপেক্ষা করছে এ নিয়ে চিন্তিত। প্রায়

এ যেন অন্য এক পৃথিবী। ঘন মেঘমালা আকাশ আর মাটির ভালবাসায় সেতুবন্ধন হয়ে জড়িয়ে আছে দিগন্ত জুড়ে। পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় মেঘ দৈত্যদের অলস পদচারণা প্রকৃতির নৈসর্গিক স্তব্ধতাকে স্বপ্নিল ফ্রেমে বন্দী করে তৈরি করেছে বিস্ময়কর প্যানোরমা। প্রথম ক’টা মিনিট কারও মুখে

বেলা পরে আসছে। রওয়ানা হওয়ার উৎকণ্ঠা সবার চোখে মুখে। সূর্যাস্তের পর এন্ডিসের এ এলাকাটা মোটেও নাকি নিরাপদ নয়। বন্য হায়েনা আর অপহরণকারীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয় অরক্ষিত মাঠ ঘাট। বলিভিয়া পৃথিবীর অন্যতম গরীব দেশ। দুর্নীতির হিংস্র থাবায় ক্ষতবিক্ষত এর রাজনৈতিক ও

বাঁকটা পার হতেই চোখে পরল দৃশ্যটা। মাইল দুয়েক দূরে সাদা সাদা বিন্দুর মত দেখাচ্ছে অপেক্ষমাণ বাসগুলোকে। মনে হল স্বপ্ন দেখছি! যেন অমল ধবল মেঘরাজ্যে সপ্ত ডিঙ্গায় চড়ে উড়ছি আমি, সাথে বসন্তের পাগলা হাওয়া। জ্যাকেটটা খুলে মাথার উপর ঘুরাতে শুরু করলাম।

ব্যক্তিগত একটা গল্প দিয়েই শুরু করি লেখাটা। কথা দিচ্ছি খুব একটা লম্বা করবো না। স্তেলার সাথে পরিচয়টা ছিল অনেকটা প্রি-এরেঞ্জেড। আমার রুমমেট আন্দ্রেই শনিবার ক্লাসে যাওয়ার আগেই বলে রেখেছিল সন্ধ্যায় যেন কোথাও না যাই। তার সাথে একটা অপরিচিত জায়গায় যেতে হবে।