১
জোছনা চুরির গল্প অনেক শুনেছি
পলিগামী পুরুষের রসায়ন
ভাবতে ভাবতে
নিঃশ্ছিদ্র মশারীর আকার-প্রকার
নির্ধারন করে ফেলি
চাঁদও কি জোছনাভূক প্রানী নাকি
চাঁদেও ফোটে নানাবিধ ফুল!
আমাদের এখানে বৃষ্টি হত
মনে রাখবার মত রাত্রিও নামত
ঋতুবতী গুহানারী একবার চাঁদে ফেলে
এসেছিল লাল রঙটার অর্থ
অন্ধকার আর নীরবতা
যোগ হয়েছিল আলোর সমগোত্রে
যার কারনে গল্পগুলো খরস্রোতা হয়ে গিয়েছিল।
সেই থেকে ওরা গল্প করত সারারাত
যদিও নারীটি বাঁধা থাকত লালঝুঁটি
মোরগের কাহিনীতে যেখানে একটি মেয়ে
জুতার ফিতায় নানারঙ যোগ করে
খলখল হেসে উঠত
পুরুষটা আবার হাসি-কান্না সব থেকেই
আমিষ খুঁটে খেতে শিখেছিল প্রবল।
আদি থেকে এভাবেই চুরি হয়ে যাচ্ছিল
সমস্ত কুলীন নিঃশ্বাস
যা আটকে থাকে প্রতিটি জোছনার রঙে;
রঙভ্রান্তির বিকারে।
২
তুরাগের জলে ডুবন্ত এক মানুষ দেখেছিলাম
যে বাঁচতে চায়নি মোটেও
তার উর্ধ্বমুখি হাত ছিল না সাধারন
অথচ আমরা তাকে বাঁচিয়েছিলাম আর সে
ক্ষেপে উঠেছিল লজ্জাহীনের মত।
তাকে বাঁচাবার লজ্জায় আমাদের ঘুম নষ্ট হয়
এখনো, আমরা প্রতি রাতে পালা করে
লোকটাকে পাহারা দেই
এরপরে শিলা, এরপরে লিনা
এরপরে একসময় হয়তো আমরা কেউ থাকব না।
লোকটা তখন অনায়াসে ডুবে যেতে পারবে
তখন তার কান্না শুনবে তুরাগ, শুধুই এক নদ।
৩
বিড়ালকে জিজ্ঞেস করা হল, তোমার মুকুটে
কি লাগানো আছে মেয়ে?
বিড়াল তার থাবা মেলে ধরে বলল, মুকুট নেই
শুধু নখে মেখে রেখেছি কাঁটা-কাঁটির সোহাগ!
loading...
loading...
সুন্দর কথা কাব্য প্রিয় কবি বন্ধু।
loading...