যে কোনো দিন তুমি বোন আমার, শুনবে
মৃত্যু কেমন করে উজ্জীবিত করেছিল আমাকে
সাদা ফকিরের খাঁচা বিষয়ক গানটির মত
আমি মুছে দিয়েছিলাম প্রিয় ভাইটির কপাল
সিঁথি আর সিঁদুর লেপন
নির্বিরোধী আমি তাই খাঁচাটা ভাঙ্গতে চেয়েছি
বরাবর নিজের শরীর থেকে।
অপরাধ নিও না বোন আমার
কান্না মানে আমি কখনো চোখ বুঝিনি
তোমার বুকের ঠিক মাঝখানে ঢেউতোলা
স্রোতস্বি সমুদ্দুরটাকে বুঝেছি
জানোতো আমিও লোভীই ছিলাম ভীষন
এপার ওপার বন্ধনের নদীও আমাকে
বাঁধতে পারেনি কখনো; কুলহীন সমুদ্রের
সামনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হতেই চেয়েছি বারবার।
বোন আমার, তোমার ঘরে চোর ঢুকেছিল কালরাতে
জেনেও আমি চুপ থেকেছি। বাঁধভাঙ্গা ক্ষুধার মুখে
ওই এক আঁজলা নেওয়ালা আর কতটুকুই বা
নিবারণ করবে প্রেক্ষাপট!
ভুল বুঝোনা আমাকে, বোন আমার
খাঁচাগুলো সব বর্জ্য বুননের হতে পারে
আমি আর তুমি তো সেই একই, কফিনে
শুয়ে শুয়ে হেঁটে যাচ্ছি শামুক পথের রেখায়।
তোমার মতন আমারো একটা
মেধাবিহীন ক্যালেন্ডার ছিল
লাল দাগগুলোতে আমিও নকশি আঁকা
রঙিন দীর্ঘশ্বাসের জড়োয়া সাজাতাম
আর হুটু-টুটসির অকারন যুদ্ধগুলোর মত
কিছু হারাতাম, কিছু পাবার জন্যে উন্মুখ থাকতাম
মূলতঃ তোমারই ভাগ্য বোন, কিছুই পেতাম না
আমিও, শুধুই আজীবনের এই যুদ্ধসাজ ছাড়া।
আমরা প্রশ্নসারি থেকে খুঁজে পেতে পারি উত্তরমালা
বোন আমার, আমরা এসো পরস্পরের শরীর
বৃত্তাকারে ঘুরে দেখে আসি যাবতীয় হাহাকার
আমরা পরস্পরের ছায়া হই, খুঁজে আনি
ভেতর থেকে একেকটা দুরন্ত ঘোড়া
অনিবার্যকে পেছনে ফেলে যে ঘোড়াটি
মূহুর্তে ডিঙাতে পারে তূর পাহাড়।
loading...
loading...
আমরা পরস্পরের ছায়া হই, খুঁজে আনি
ভেতর থেকে একেকটা দুরন্ত ঘোড়া
অনিবার্যকে পেছনে ফেলে যে ঘোড়াটি
মূহুর্তে ডিঙাতে পারে তূর পাহাড়।
loading...
প্রাণবন্ত
চমৎকার লিখেছেন
loading...