প্রতি বরষায় এই শহরে ভিড় জমে
রক্ত-কাদা-জল আর ট্রাফিক সার্জেন্টের হুইসেল
আবারো ফিরিয়ে আনে রজঃস্বলা মাকে;
মায়ের যৌবন
স্পষ্ট শুনি ছমছম নূপুরের শিহরণ
ঝুম বৃষ্টি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কলকল
ছোট বড় সব রাস্তা ছুঁয়ে বাড়ীটির পাশে।
জটিল আঁধারেও মুখ ছিল তার শরদিন্দু মোহর
দুধের নধর বাটি সারা গায়ে
কত যে চিরকুট বুকের এই ভাঁজ ওই ভাঁজে
অথচ মেঘজোড়া এই দিন ছিঁড়ে নিতে চায় সব
উদ্ভিন্ন মেয়ে এখন কেমন ভিজছে একা
দোলনাচাঁপা ঝাড়ের তলে, মাটির গভীরে।
প্রথমে কেউ জানতে চাইল, ‘প্রকৃতি কি অন্ধ?’
কে না জানে? কে না জানে?
পৃথিবীই পানাসক্তি দেয় দারুনভাবে
মায়ের দুধে, ধানে ধানে;
রক্তঝরা দেখে প্রলোভিত কিংবা আশ্বস্ত
যৌবনবতী মা জানু পেতে বসে বারান্দায়
দুরন্ত মা মুচকি হাসে, কোমরসমান চুল।
ট্রাফিক আইন ভেঙ্গে গড়ায় প্রবল জল
বিরহের তাপে একবার কেঁদে উঠি মা, মা বলে
আমার চোখের পাশে ডুমো মাছির লাইন
শহর বেয়ে ঝরে দুঃখি জল,
ওই জলে ভেসে যায় মায়ের যুবতী ছবি
এই প্রতিরোধহীন বৃষ্টি, এবারের বর্ষা আমার জন্যে নয়।
loading...
loading...
অসামান্য একটি উপহার। অভিনন্দন প্রিয় কবি বন্ধু শাকিলা তুবা। ভালো থাকুন।
loading...
বেশ চমৎকার কবি আপু
loading...
গভীর উপলব্ধি। কয়েক বার পড়লাম।
কেমন আছো শুভেচ্ছা নিও।
loading...