অভিকর্ষহীনতা
চার হাজার সনের এক সকাল।
তুবা নামের এক পুরনো, অখ্যাত কবি’র পুনর্জন্ম
জন্মেই সে পারফিউমের বোতল খোঁজে
বাতাসে যান্ত্রিক গন্ধ—
স্পেসশিপ ধাঁচের বাড়ীতে সে দেখেনি মাতা-পিতার কলহাস্য।
অনেক মানুষের শংকিত মুখ দেখতে দেখতে
সে চলে গেল ধাতুতে পরিনত হওয়া উচ্চচাপযুক্ত হাইড্রোজেন অঞ্চলে
সে ভাবছে নীল গাছগুলো কি কার্বন ডাই অক্সাইড ঝরায়?
ক্লোরোফিল কি লাল আর সবজেটে-বেগুনী অংশ করছে শোষন?
গাছ কেন এত নীল? নাকি এ সবই মানুষের আরেক ভুলের ফসল?
সে খোঁজে আবাদযোগ্য একখণ্ড ভূমি,
সে খোঁজে কম উত্তাপের সূর্য আর নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল,
কবিতা লেখার একটা নির্ভরযোগ্য আকাশ
দেখে নেয় সম্পর্কহীন মানুষের নিস্পৃহ চোখ-মুখ
সে জানেনা এই পৃথিবী আগের চেয়েও বুনো না-কি সুসংহত।
দুই হাজার বারো সনের এক সকালে ঘুম ভাঙে তার
সে নিজস্ব আকাশের শ্লেটে আঁকিবুঁকি কাটে
আর দেখে চোখের কোনে জমে আছে বরফ কুঁচি
তুবা জানে চার হাজার সনের উত্তাপে আটকে গেছে চোখের জল
কবিতাবিহীন পৃথিবীতে জন্মাবে যে উত্তরপুরুষ তার জন্যে সে কবিতা জমায়।
loading...
loading...
'তুবা জানে চার হাজার সনের উত্তাপে আটকে গেছে চোখের জল
কবিতাবিহীন পৃথিবীতে জন্মাবে যে উত্তরপুরুষ তার জন্যে সে কবিতা জমায়।'
loading...
ওহ্ অসাধারণ দিদি ভাই। মুগ্ধ হলাম।
loading...