শৈশব রঙ
কখনো কখনো এমনও হতো
চুল্লী ভিজে উঠত বৈশাখী জল-ঝড়ে
ট্রেতে দগদগে বাদামী রঙ না ফোটা পর্যন্ত থাকতো অপেক্ষা
পোড়া চিনি, পাউরুটি আর বিস্কুটের গন্ধে ভরে যেত উঠোন
এটুকুই চিনেছিলাম শুকনো খামির মাখা হাতের লোকটিকে।
প্রতি সকালে তন্দুর ঘরে জ্বলে উঠতো মচমচে আগুন
শিশুরা মানে আমরা, ওখানে পাখির মাংসও ঝলসে খেয়েছি
লোকটির ধমকে আমরা উড়ে যেতাম চিমনীর ধোঁয়া ছুঁয়ে
চায়ে ডুবিয়ে টোস্ট খেতে খেতে সে হাত নাড়তো,
দাড়িতে লেগে থাকতো বিস্কুটের গুঁড়ো।
অনেক বছর পর আজ যেন তেমনি ছেলেবেলা
কেউ বিস্কুট বেক করছে, গুঁড়ো বিস্কুটও যেন উড়তে দেখছি
ছেলেবেলার গন্ধ নাকি পিছু ছাড়েনা তাই লোকটিকে খুঁজছি
দেখা পেলেই বলব, বিস্কুটওয়ালা সেইসব গন্ধ ফেরত দাও
আমি অনেককাল ধরে অভুক্ত আছি।
GD Star Rating
loading...
loading...
GD Star Rating
loading...
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
ভালো লাগল
loading...
সুন্দর কবিতা। অভিনন্দন প্রিয় কবিবন্ধু তুবা।
loading...
বিস্কুটওয়ালা সেইসব গন্ধ ফেরত দাও
আমি অনেককাল ধরে অভুক্ত আছি।
//যে জীবন হারিয়েছি জানি আর ফিরে পাবো না তাকে ! তবুও মনে হয় এখনো জীবনের যা কিছু সুন্দর, রঙ, রুপ, গন্ধ, স্বাদ কিছুই বেশী নয় ছেলেবেলার থেকে !
loading...