ইসারা
(আজ অনেক সকালে, সবে যখন সূর্যটা উঁকি দিয়েছে তখন চিকন একফালি রোদ পায়ের পাতা ছুঁয়ে দিল। মনটা কেমন শিরশির করে উঠলো। মনে হলো দূর কোনো বনের ভেতর নির্জনে যদি থাকতাম এই মূহুর্তে আর আমার প্রিয় ব্যাগপাইপে বেজে উঠতো কোনো আনন্দের সুর! ঠিক সে মূহুর্তেই মনে পড়ে গেল সুইটজারল্যান্ডের ব্যান্ড ‘এলিউভিটি’র প্যাট্রিক কিসলারের কথা। যে কি না সারা জীবন ‘ইসারা’ ‘ইসারা’ বলে কাটিয়েছে। কে এই ইসারা কে জানে! এই লোকটা ইসারাকে উৎসর্গ করে ব্যাগপাইপে যে সুর তুলেছে তাতে কখনো বনের শনশন শব্দ ওঠে, কখনো ঝর্ণার ঝিরঝিরে ধ্বনি। আনন্দের এত বহুমাত্রা এর আগে কখনো শুনিনি। তখনই বসে পড়লাম লিখতে। কবিতাটা লিখতে লিখতে মনে হলো প্রত্যেকটা মেয়েই যেন ইসারা, সব ইসারা’র জন্যে এই কবিতাটি উৎসর্গ করলাম।)
নতুন মেঘে মালঝাঁপ লয়ে যে মেয়েটি নাচে
তার নাম দিলাম ইসারা
সে যেন বৃষ্টি, পাতায় পাতায় ঝরে পড়া আবীর
বাঁশীতে সুর আঁকা সকালের আনমনা মিষ্টি রোদ
ঢেউ ঢেউ, নাচিয়ে তোলা বাঁকা দুই পা
ইসারা তুমি জাগিয়ে রাখো,
জমিয়ে রাখো ঘুমহীন এক অচেনা পাখি।
এলিউভ্যিটির পুরো টিম হোক অথবা
প্যাট্রিক কিসলার তোমাকে ভেবে
ব্যাগপাইপে রাখুক ঠোঁট সুইজারল্যান্ডের আলোচ্ছল জলে
তুমি তো সেই আনন্দিত, মায়াবতী সুরে
সোনালী আঁশের ডানায় মেলে দেয়া মৎসঝিলিক
ইসারা তুমি যেন সেই এক নারী
তোমাকে ভাবতে ভাবতে বেলা বয়ে যায়।
অথচ দিব্যি কমে আসে বয়স
ত্বকের সেইসব কুঞ্চন সুরূপা হয়ে ওঠে
তুমি যেন কি বলে যাও সুরে
অপ্রকাশিত এক রঙচঙে জীবনের দিকে ইশারা তোমার
ইসারা তোমার ছায়াঘণ চোখ-পাতার বনে;
জঙ্গলে জঙ্গলে এক মায়াবী হরিণ দেখেছি
তার তাপে একদিন আশ্রয় নিতে ভারী ইচ্ছে জাগে।
loading...
loading...
অনন্য এবং অসাধারণ সৃষ্টি।

loading...
দারুণ
loading...