প্রতিটি মানুষের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি ঠিক যেন আদর্শ একটি পরিবারের মতোই। মাথা, হাত, পা, চোখ, কান, নাক, পেট ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি ঐ পরিবারের সদস্য। এই সদস্যগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুদৃঢ় ঐক্য বিদ্যমান। একটি অঙ্গ অসুস্থ হলে অন্যসকল অঙ্গ কষ্ট পায় এবং তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসে, কেউ কোনো অভিযোগ তোলে না। এই পরিবারে যদি কখনো অনৈক্য দেখা দেয়, যদি একে অপরের ক্ষতি করার চেষ্টায় মত্ত হয়, এক হাত যদি অন্য হাতকে কেটে ফেলতে উদ্যত হয়, এক পা যদি অন্য পা ভাঙ্গার মনস্থির করে, মুখ যদি পেটকে খাদ্য দেওয়া বন্ধ করে দেয় তবে ঐ পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে অর্থাৎ শরীর হয়ে পড়বে অসুস্থ এবং এক পর্যায়ে শারীরিক মৃত্যু ঘটবে। মৃত্যুর পর হাত, পা, নাক, কান, মুখ, পেটসহ সকল অঙ্গেই পঁচন ধরবে।
একটি দেশ, একটি জাতি, একটি সমাজও মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলির মতোই। একটি সমাজের প্রতিটি মানুষ যখন সকল অনৈক্য ভুলে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে তখন সেটি হয় সুস্থ, সবল ও শান্তিপূর্ণ আদর্শ সমাজ। আর যখন ঐ মানুষগুলিই একে অপরের ক্ষতি করার চিন্তা করে, নানা অজুহাতে অন্য ভাইয়ের উপর আক্রমণ করে, হত্যা করে, অন্যের সম্পদ ধ্বংস করে তখন তা অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করবে ফলে ঐ দেশ, ঐ সমাজ বা ঐ দেশের প্রতিটি সদস্যের গায়েই পঁচন ধরবে, কেউই এই পঁচন থেকে বাঁচতে পারবে না। আজ আমাদের সমাজে অনৈক্য আর বিভেদের দেওয়াল এমনভাবে তোলা হয়েছে যে, আমরা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি, কাজেই এখনই যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়া হয় তবে ধ্বংস থেকে কেউই বাঁচতে পারবো না।
কিছু পরিবার মিলে একটি পাড়া, কিছু পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি গ্রাম এভাবেই একটি ইউনিয়ন, থানা, জেলা, বিভাগ নিয়ে সমগ্র বাংলাদেশ। আমরা চাইলেই হয়তো অতি অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত দেশকে পরিবর্তন করতে পারবো না কিন্তু সৎ মানুষিকতা নিয়ে উদ্যোগী হলে অন্তত আমাদের পাড়া, আমাদের গ্রাম, আমাদের থানাটিকে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যের ভিত্তিতে শান্তির নীড় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। আসুন আমরা উদ্যোগ নিই- আমাদের গ্রামের প্রত্যেকেই দল, মত, পথ, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদির ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ হব। কেউ কারও উপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, গাছ কর্তন করব না, কারোর কোনো ক্ষতি করব না, একে অপরের সহযোগিতা করব, আমাদের গ্রামে কেউ না খেয়ে থাকবে না, আমাদের গ্রাম হবে শান্তির গ্রাম। এভাবে যদি আমরা আমাদের গ্রামকে সমগ্র বাংলাদেশে একটি আদর্শ গ্রাম হিসাবে পরিচিত করতে পারি, তবে অন্য গ্রামগুলিও আমাদের অনুসরণ করবে।
loading...
loading...
কিছু পরিবার মিলে একটি পাড়া, কিছু পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি গ্রাম এভাবেই একটি ইউনিয়ন, থানা, জেলা, বিভাগ নিয়ে সমগ্র বাংলাদেশ। আমরা চাইলেই হয়তো অতি অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত দেশকে পরিবর্তন করতে পারবো না কিন্তু সৎ মানুষিকতা নিয়ে উদ্যোগী হলে অন্তত আমাদের পাড়া, আমাদের গ্রাম, আমাদের থানাটিকে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যের ভিত্তিতে শান্তির নীড় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি- সহমত।
loading...
শ্রদ্ধার সাথে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আপনাকে …..!!
loading...
আজ আমাদের সমাজে অনৈক্য আর বিভেদের দেওয়াল এমনভাবে তোলা হয়েছে যে, আমরা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি, কাজেই এখনই যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়া হয় তবে ধ্বংস থেকে কেউই বাঁচতে পারবো না।
ভালো বলেছেন। সহমত!
ঘুণে যতটুকুই খেয়েছে যদি এখনই প্রতিকার করা না হয় তাহলে রোধ করা সম্ভব হবে না। এও জানি আমার সকলে জেগেই ঘুমাই।
শুভেচ্ছা রইল।
loading...
“ঘুণে যতটুকুই খেয়েছে যদি এখনই প্রতিকার করা না হয় তাহলে রোধ করা সম্ভব হবে না। এও জানি আমার সকলে জেগেই ঘুমাই।” খুব ভালো বলেছেন ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
loading...
loading...
সঠিক বলেছেন যে, আমরা চাইলেই হয়তো অতি অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত দেশকে পরিবর্তন করতে পারবো না কিন্তু সৎ মানুষিকতা নিয়ে উদ্যোগী হলে অন্তত আমাদের পাড়া, আমাদের গ্রাম, আমাদের থানাটিকে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যের ভিত্তিতে শান্তির নীড় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।
loading...
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়…..
loading...
আমাদের গ্রাম হবে শান্তির গ্রাম
অথচ আমরা ভুলে গেছি নিজেদের নাম।
আশাবাদী লিখার জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর…
loading...
আপনাকেও ধন্যবাদা ………..
loading...
আজ আমাদের সমাজে অনৈক্য আর বিভেদের দেওয়াল এমনভাবে তোলা হয়েছে যে, আমরা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি,
এর একমাত্র কারন হচ্ছে ইগো বা ব্যক্তিত্বের অহমিকা। এর থেকে এককভাবে পরিত্রাণের কোন পথ নেই। একদিন এমনি করেই সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।
সুন্দর আলচনার জন্য ধন্যবাদ। আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি পুরিত্রাণের!
loading...
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন …. শ্রদ্ধা রইল আপনার প্রতি ।
loading...