আমারও যদি থাকতো একটা ‘টিন ড্রাম’ অস্কারের মতো! এমনকি প্রত্যেকটি মানুষেরই দরকার একটি টিনড্রাম অথবা ট্রাম্পেট জাতীয় কিছু একটা বাস্তবতার যাবতীয় অনাকাঙ্খিত কষাঘাত থেকে পালিয়ে বেড়ানোর জন্য।
থাকলে বেশ হতো। নেই। তাতে কি? আমারতো আছে একটি কাঠের ঘোড়া। যখন তখন পালিয়ে বেড়ানো যায় দেশ থেকে
কুয়াশার চাদরে মোড়া ওই বনভূমি, ওই নদী, হরিণের জলপানের ওই দৃশ্য ; এক বিশাল ক্যানভাসে আঁকা ছবির মতো। মনে হয় ওই দৃশ্য কোথাও ছিলনা। অথবা ছিল। তারপরেও ওই দৃশ্যটাকে নেহাতই একটা রং-তুলিতে আঁকা ছবি বলেই ধরে নেই। কিন্তু এখনো সেই জলের গন্ধ, সেই পিপাসার্ত
গতকাল এখানে কী ভীষণ অন্ধকার গেছে। মানুষজন। হৈ চৈ! যেন দোযখের চিৎকার। বাঁচার জন্য মানুষের সেকি চেষ্টা। সবাই বাঁচতে চায়। নিরন্তর সংগ্রাম। অতঃপর হাড়িতে উঠলো চাল। মৃত্যুর দূতকে আমাদের বড় হয়। তবুও ব্যথা বাড়ছে। ক্রমশ! আশ্বিনের রাতের মতো। শিয়ালের ডাক। পিলে চমকে গেলে পিছনে
আদতে আমি কি ? কতটা মানুষ ? মানুষ হিশেবে কতটা স্বার্থক – কতটা ব্যর্থ ? কতটা ভাবায় আমায় ?
এই যে আমার পৃথিবী , সত্যিই আমার ?
মানুষের পৃথিবী শুধুই কি মানুষের ? আর কারও নয় ?
আমরা পৃথিবীর মানুষ নই , পৃথিবীটাই একান্ত