ওসি মনোয়ার তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে আগে কখনো এমন অনুভূতির সম্মুখীন হননি। কেমন যেন তালগোল পাকানো। অনুভবের খরায় আক্রান্ত হলেন কিনা ভাবেন। গতকালের খুনের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছিলেন নিজের কক্ষে বসে। টেবিলের উপর চা ঠান্ডা হয়ে আছে। সেদিকে খেয়াল নাই।

একে তো প্রচন্ড গরম। তার ওপর বাসে প্রচন্ড ভিড়। ভেতরে দম বন্ধ হয়ে আসতেই বাস থেকে নেমে এলো আসাদ। প্রচন্ড জ্যাম। বাসগুলি একইদিকে তিনটা লাইন করে স্থির দাঁড়িয়ে আছে। বিপরীত দিক দিয়ে যে অন্য যানবাহনগুলি আসবে,

চিন্তা-ভাবনায় বিভোর মৌণ সময় কখন নিজেই যে ক্লান্ত হয়ে মহাকালের কোলে আশ্রয় নেয়, সময় নিজেও জানে কি? রাহেলা নামের মেয়েটি বাসের দুরন্ত গতির সাথে তাল মিলিয়ে ভাবনা-চিন্তার অলস মুহুর্তগুলিকে পাশ কাটিয়ে কখন যেন নিজেই ঘুমিয়ে

পুকুর পাড় ঘেষে পায়ে চলা দুটি মেঠো পথ চলে গেছে। ডানদিকেরটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ও কলেজের সামনে দিয়ে পিচের পথে গিয়ে মিশেছে। বামেরটি দু’পাশে নাম না জানা ঝোপকে পাশ কাটিয়ে ঘন জঙ্গলের ভেতর সামান্য এক না

এএসপি (সার্কেল) এর অফিসের গেট থেকে পুলিশের জিপটি বের হয়ে একটা ইউ-টার্ণ নেয়। সোজা হাইওয়েতে চলে আসে। দুরন্ত গতিতে সামনে এগিয়ে চলে ওসি মনোয়ারকে বহন করা এই জিপটি। ড্রাইভারের পাশের সিটে বসা মনোয়ার গম্ভীর। কিছুক্ষণ আগের সংক্ষিপ্ত আলোচনার জাবর কাটছে সে। এএসপি সালাহউদ্দিন ওদের দু’জনের

নিজের আসল রুপে হেঁটে চলেছেন তিনি রাস্তা ধরে। একজন মানুষের কতগুলি রুপ হয়? সবগুলো মিলালে ঠিক কতটা রুপে অপরূপ কিংবা ক্ষণে ক্ষণে রঙ পালটানো গিরগিটি হয়ে উঠে মানুষ। পিচের পথটি ঢাল বেয়ে অনেক উপরে উঠে গেছে।

প্রতিদিন সকাল হবার আগেই ঘুম ভেঙ্গে যায় রুমানার। ঘুম ভাঙ্গতেই পাশে একমাত্র ছেলে সাকিবের দিকে চোখ পড়ে। পাশ ফিরে ছেলের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকায়। হাত দিয়ে ছুঁয়ে যায় একপলক। মায়ার সাগরে হাবুডুবু খায় আরো কিছুক্ষণ। এরপর

ওসি মনোয়ার তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে আগে কখনো এমন অনুভূতির সম্মুখীন হয়নি। কেমন যেন তালগোল পাকানো। অনুভবের খরায় আক্রান্ত হল কিনা ভাবে। গতকালের খুনের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছিল নিজের কক্ষে বসে। টেবিলের উপর চা ঠান্ডা হয়ে আছে। সেদিকে খেয়াল

লোকাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌছালো সকাল ন’টার পরে। একটু বেশী-ই তৎপর মনে হল তাদের। এর পিছনে কারণ তো অবশ্যই রয়েছে। পুলিশের গাড়িটি দেখে প্রথমে কেউ কেউ সরে যায়। পরে কৌতুহলের কাছে ভয় পরাজিত হলে, তারা

লোকাল বাস। স্টপেজে থামতেই দু’দল মানুষের উঠানামা। ক্ষনিকের বিরতিতে এলোমেলো সময়। মানুষগুলোও পলকের দ্বিধায় ভোগে। কেউ অপেক্ষমান রিক্সার খোঁজে তাকায়। দূ’একজন চা’র দোকানের পানে চেয়ে ভাবে- তেষ্টা মেটানো জরুরী, না বাসায় ফেরা? সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে অনেক-ই। তবে