আমার একাকীত্বের সময়গুলো কত যে বিষণ্ণ মনে হয়,
অথচ তুমি ভালোবাসি বলতেই সবটা সময় হয়ে যায় সজীব প্রাণ এক।
আমার শূন্যতা ঘেরা চারপাশ কত যে নির্জন মনে হয়,
অথচ তোমার গোপন স্পর্শে ফিরে পাই এক ভোর কোলাহল।
যখন আমার বিকেলগুলো ঝরে পড়ে শুকনো পাতার
তোমাকে ভালোবেসে মেঘ বলে ডাকতাম আমি,
অনেকদিন হলো তোমাকে মেঘ বলে ডাকিনা।
তোমাকে এখন আর অন্যকেউ মেঘ নামে ডাকে কিনা তাও জানিনা,
জানিনা এখন অন্যকারো বুকের ঠিক কতটা জুড়ে মেঘ হয়ে আছো।।
তবে আজকাল আকাশ মেঘলা হলে খুব জোড়ে জোড়ে ঐ মেঘেদের মেঘ বলে
তোমার প্রেমে পড়বার আগে,
সুন্দর চোখ, সুদর্শন মুখের রমণীদের খুটে খুটে দেখতাম।
আর ভিতরে ভিতরে খুব আফসোস করতাম,
ভিতরে ভিতরে কামনা জেগে উঠতো যেন সে আমার হয়।।
অথচ তোমার প্রেমে পড়বার পর,
সেই চিরাচরিত অভ্যেসটা কি আমূল বদলে গেলো।
কাউকে দেখে আফসোস করা, মনে মনে কামনা
কেবল তোমার জন্য একটি কবিতা লিখবো বলে,
আমি সুন্দর সকাল দেখলাম গোটা কয়েকটা জন্ম ধরে।
আকাশ দেখতে শিখলাম অপলক নয়নে; চাঁদের সাথে রাত জাগলাম কয়েক যুগ,
দীর্ঘ ২১’টি বসন্তে দেখলাম ফুলদের ফোটার প্রক্রিয়া।
আমি বর্ষার বুক থেকে তুলে নিলাম তুমুল শিহরণ,
একটা একটা করে শব্দদের সাজালাম রংধনুর মতো।
কেবল তোমার
আমি জেনে গেছি,
এই পৃথিবীর অন্ধকারে তোমাকে ছাড়া আলো কতটা দুর্লভ।
আমি বুঝে গেছি,
কেবল তোমাকে ভাবতেই কতটা সহজ হয়ে উঠে অনন্ত জীবনের কামনা।।
আমি অনুভব করেছি,
তোমার চোখে চোখ রাখতেই কতটা শুভ্র আলো নেমে আসে পৃথিবীর প্রতিটা সকালে।
কী এক মোলায়েম আদর নেমে আসে আমার
আমার উন্মুক্ত ভালোবাসা চাই,
বেহায়া, নির্লজ্জ ভালোবাসা।
হাজারো মানুষের ভীরে চাই,
কেউ আমার কান কামড়ে দিক।
লাল করে দিক ঠোঁটের লিপস্টিকে,
আমার চিবুক, গাল, কপাল।।
কেউ আমার হাত ধরে জ্যাম ঠেলে,
পার হোক শহরের ব্যস্ত সড়ক।
আমার চোখে চোখ রেখে ডুবাক আমায়,
সুর তুলুক নতুন গানের, কবিতার।
কলার চেপে ধরে
কোনো এক নিশ্চুপ রাতে, নির্মল বাতাসে।
ধান ক্ষেতের মাঝেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।
মাস টা ছিলো বৈশাখ।
সময় টা বৈশাখের দিন পনেরোর এক রবিবার রাতের কথা।
মনে ছিলো বেশ প্রেমের ঝটকা।
হুটহাট মনে হয়ে যেতো প্রিয় তোমার কথা।
সেই রাতে ও, তুমি এসে আটকে গেলে মনে। তবে,তুমি
ভিসা হয়ে যেতেই,
বুকটা কেমন মুচড়ে গেল হঠাৎ।
তোমায় ছেড়ে যেতে হবে বলে।
এক লোকমা ভাত নামলো না গলা বেয়ে।
ছেড়োনা হাত প্রিয়তমা ওগো,
আরো বেশি শক্ত বাঁধনে বাঁধো।
জীবনের প্রয়োজনে হয়তো এ দূরে যাওয়া।
চোখের আড়াল হলেও,
নয়তো সরে যাওয়া।
অন্তরে ঠিক তুমি রবে সারা বেলা,
প্রতিটা মুহুর্তে,
এক সময় খুব ভাবতাম,
তুমি ফিরে এলে কী কী হবে!
কিভাবে সাজাবো আবার আমাদের জীবন।
মান অভিমান পর্বে,
কি কথা কব তোমার কথার পিঠে।
অবহেলায় কত বসন্ত বয়ে গেল একা একা!
কত জোড়ায় হলো মনের মিল।
শুধু তুমি দেখলে না বলে,
হিসাবের খাতা রয়ে গেল গড়মিল।
যদি কোনদিন তুমি আমায় ভুলে
অচেনা আলোর পথ ধরে
একলা হতে চাও।
দেখবে সেদিন তুমি,
সব পাতা ঝরে গেছে গাছে গাছে।
পাখি সব আর গাইছে না গান।
চাঁদ ভুলে গেছে জোছনা বিলাতে
সব ফুল শুকিয়ে গেছে নিষিক্ত হবার আগেই ।
যেতে চাইলে তুমি
তোমার ঠোঁটের ফাকে
তিনটা কথার ছবি আঁকতেই।
তুমি আঁতকে উঠে
আমায় ঠেলে ফেলে বললে,
আমি ধর্ষিতা হতে চাইনা ।
আমি আহত চোখে বললাম
ভালোবাসা ও নিগ্রহের মধ্যে
পার্থক্য বলতে তুমি কি বোঝ?
তুমি বললে ,আজকাল পুরুষেরা ভালোবাসেনা।
ভালোবাসা আদায় করে নেয়।
সুযোগ নেয়