এতো কাছে তোমার বসবাস,
এতোটা নিকটে বুকের ভিতর তুমি।
এতো চিৎকারে তোমাকে ডেকে যাই,
অথচ আমায় শুনতে পাওনা তুমি।
হয়তো শুনেও অভিমান বুকে ধরে,
দূর দিগন্তের শেষে ছুঁয়ে আছো বিষণ্ণ মেঘ।। ১২/০৮/২০১৯

একজন আমাকে কতটা দেখেছো তুমি…? কতটা জেনেছো আমায়…?
কেবল দেখেছো ঠোঁটের হাসি, জেনেছো আমার শরীরে বাষ্পের ঘ্রাণ,
অথচ দেখোনি ভিতরে গভীর কান্নার স্রোত, জানোনা শরীর জুড়ে কতটা অভিমান।
কতটা ছুঁয়েছো আমায়…? কতটা হাতের তলে ধরেছো আমার পশমের বুক…?
কেবল ছুঁয়েছো আমার যাকিছু ধবল সুন্দর,

তুমি চলে যেতেই বিকেলগুলো কত যে বিষণ্ণ হলো,
ধূসর সন্ধ্যার মতো হলো হৃদয়ের স্বপ্ন ক্যানভাস।
ক্রন্দনে ভারী হলো ভোরের আকাশ, সাদা কুয়াশা,
দলে দলে উড়ে যাওয়া পাখিরা হলো পরাধীন, খাঁচার পুতুল।
তুমি চলে যেতেই নক্ষত্রহীন হলো প্রতিটি রাত, তীব্র অন্ধকারের মূর্তি,
জলের স্রোতেরা হলো আবদ্ধ

আমার মুঠোভরতি শূন্যতা,
দেহের উপর, নিচ, চারপাশ,
প্রবলভাবে ঘিরে রেখেছে শূন্যতা।
আমার ডান, বাম, এপাশ ওপাশ পুরোটাই,
আবদ্ধ রেখেছে শূন্যতার দেয়াল।। মাথার উপরের ছাদ, পায়ের নিচের জমি,
আমার অবস্থান, প্রস্থান,
পুরোটা জুড়েই মাতম করছে শূন্যতা।
এখানে ওখানে যেখানে আমার আঙুল রাখি,
সেখানেই জন্ম নেয় শূন্যতার বিষফোঁড়া।। আমার চোখজোড়া ভরতি শূন্যতার

উষ্ণ আঁধারের তলে কেঁদেছি ভীষণ,
বুকের ভিতর পুষেছি ব্যথিত নির্জন।
কেউ সে আঁধার দূরে ঢেলে আসেনি কাছে, মুছে দিতে জল,
কেউতো বুকে বুক চেপে ধরে দেয়নি প্রবল কোলাহল।। গন্ধময় স্মৃতি ধরে কত যে কেটে গেছে শূন্য বিকেল,
কত যে সন্ধ্যা নেমেছে প্রত্যাখ্যাত ফুলের পরাজিত গন্ধ

ভালোবাসাহীন কেটে গেছে পৌষের কত নির্জন সন্ধ্যা,
কত পাখি হারিয়ে গেছে এমনই সন্ধ্যায় কুয়াশার অন্ধকারে।
চোখ মেলে দেখেছি দূরের আকাশে কত নক্ষত্রের নিভে যাওয়া,
এমনই পৌষের সন্ধ্যায়, কুয়াশার মৃদু মৃদু অন্ধকার হয়ে গেলে ঘন।। ভালোবাসাহীন কেটে গেছে কত বিষণ্ণ দুপুর বেলা,
কত ক্লান্তিরা ভর করে

চোখের জলে ভিজে গেল,
মনের যত আবেগ।
জোছনা রাশি ঢেকে দিলো,
ইশান কোনের মেঘ।
সেই মেঘ বরষাতে শুরু,
যত সর্বনাশ।
বজ্রের মাথায় আটকে গেল,
অস্থির দীর্ঘশ্বাস।
তখন থেকে শুরু হলো,
কষ্টে ভরা জীবন।
অসম প্রেমের পাঠশালাতে,
অরণ্যে রোদন।
অমানিশা এলো ধেয়ে,
প্রকৃতির খেয়ালে।
স্বপ্নগুলো আটকে গেলো,
আবদ্ধ

বদলে গেছে সব।
এই শহর রাস্তা ,পথ, ঘাট, বাড়ি!
বদলে গেছে তোমার বাড়ির রাস্তা ও ঘর।
বদলে গেছে তোমার বন্ধু ,প্রেমিক সব।
শুধু বদলাতে পারিনি আমি নিজেকে।
আমি সেই একই আছি!
তুমি আমার নাম দিয়েছিলে বিনে পয়সার কবি,
বলেছিলে আমি

তোমার বিশুদ্ধ আগুনে
আমি ঝাঁপ দিতে গিয়ে দেখি,
তুমি অন্যের হাত ধরে,
তার আবেগ, স্ফীতি এবং অনুভূতির প্রতি নিজেকে রক্ষিত করে
চলে গেছো বহুদূর। বজ্রগর্ভ–অন্তরের গভীর থেকে উঠে আসা চিৎকার,
সগৌরবে বলে, এসো, জেগে উঠি সুপ্রাচীন কোলাহলে।
মিনতি ,আর্তনাদ,আকুলতা।
তুমি সাড়া দাও না।
আমি কান্না লুকাই এখন অনাবৃত সরোবরে।
দেখ