সারাদিন শেষে যখন আমি একা হয়ে যাই,
তখন পিছনে যেতে থাকি আমি; বর্তমান ছেড়ে-
অল্প অল্প করে চোখের সামনে স্পষ্ট হয় তোমার মুখ, হাসি এবং চিহ্ন,
মনে হয় যেন, তুমি দূরে যাওনি- এখানেই আছো আমার হাতে স্পর্শ হয়ে।
ফিরে যেতে যেতে আমি থেমে যাই একটা সময়ের মধ্যে, যার
তুমি বলেছিলে আমাকে তুমি ভালোবাসো,
আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে তোমার কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছিলাম।
আমার যাকিছু ছিলো, যত স্বপ্ন, যত ইচ্ছে-আকাঙ্ক্ষা, যত চাওয়া,
এসবের কোন কিছুই আমার নিজের করে রাখতে পারিনি আর,
কেবল তোমার নামে লিখে দিয়েছিলাম এভাবে আমার যাকিছু আদ্যোপান্ত সব।
তুমি বলেছিলো আমার হাতে হাত রেখে একসাথে
যত্তবার তোমার মনের
নাম্বারে কল দেই
তুমি ততবার ব্যস্ত থাকো।
তোমার মনের নাম্বারে
অনেক কলে আসে
রাকিবের কল আসে
সোহেলের কল আসে
মামুনের কল আসে
কত যে নামের রং নাম্বার ফোন দেয় তোমার মনের নাম্বারে!
তুমি তা ইয়ত্তা করতে পারো না
তুমি কাকে ঠাঁই দিবে
কাকে ভালবাসবে
কার সঙ্গে রঙ্গ
এত অবহেলা আমি আর সইতে পারিনা প্রিয়,
সইতে পারিনা এত বেশি উপেক্ষা আর।
এত বেশি ঝাঁঝালো দুপুরের রোদ,
নিতে পারিনা আমি আর চোখে সয়ে।
ম্লান হয়ে আসে সকল অনুভূতি শিরায় শিরায়,
সংকুচিত হয়ে যায় সকল আবেগ অন্তর আত্মায়।
ধীরে চারপাশ ঘিরে ধরে গভীর ঘন অন্ধকার,
কুড়েকুড়ে খায়
এবেলায় আমি খুব ভীষণ রকমের শান্ত প্রভাতের আকাশের মতো,
তবে ভিতরের অবস্থা ঠিক বিপরীত যেন বৈশাখী ঝরো প্রস্তুতি প্রতিক্ষণ।
আমার বাহিরে মাতাল করা পারফিউমের সে কী অপূর্ব ঘ্রাণ,
অথচ ভিতরে কী উপচে পরা ভ্যাপসা উৎকট গন্ধ।।
এইতো বেশ লাগে আমায় চোখে সানগ্লাস, হাতে ঘড়ি,
মনে কি পড়ে?
চেনা পথে দাঁড়িয়ে ছিলাম
নত চোখে তাকিয়ে ছিলাম
হারিয়ে যাওয়ার প্রবল স্রোতে
তোমার নামটি ডেকেছিলাম
ব্যর্থ বুকে সকল চেপে
আমার দুহাত বাড়িয়েছিলাম
৩১/০৫/২০১৯