দেবী মণিকা তোমায় ভাবি প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
তুমি বাস করছো কেন আমার মনে?
দেবী মণিকা তোমার রূপের আলোয়
ঝলসে যাচ্ছে চোখ
মনে সৃষ্টি হয়েছে ভালবাসার রোগ?
দেবী মণিকা তোমার সঙ্গে হারিয়ে
যাওয়ার ইচ্ছে ছিল খুব!
ধর্ম আর কাঁটা তার মনে দিল দুঃখ।
তোমার লম্বা কেশের সুঘ্রাণ নিতাম
তোমার গোলাপী
হে নারী তুমি কষ্টের প্যারোটিড গ্রন্থি থেকে কিছু বিষ এনে দাও!
আমি মরতে চাই
তবে কিছু ভালবাসা মাখিয়ে এনো?
তোমার বক্ষের সরোবর থেকে কিছু সফেদ জল দিও,
বিষ গুলিয়ে নাও
একটু ওষ্ঠের লালা মিশিয়ে বিষ গুলো কে মিষ্টি করে দাও?
বিষ খেতে যেন কষ্ট
হাওয়া তোমার কাছে কোন কিছু চাই না
শুধু একটু ভালবাসার অক্সিজেন চাই,
যে অক্সিজেন পেলে আমি সতেজ থাকবো
ঠিক ততটুকু অক্সিজেন চাই।
হাওয়া তোমার কাছে কোন কিচ্ছু চাই না
শুধু তোমার গালে চুমুর চুম্বক লাগাতে চাই।
যে চুমুতে আমি তোমার
বক্ষ মাজারে পাবো ঠাঁই।
হাওয়া তোমার কাছে
ভালবাসার সাতকাহনে হলো না ঘর বাঁধা
তরী আমার কূলে ডুবেছে তা জেনেও স্বপ্ন দেখি
আমি আসলেই আস্ত গাধা।
কি আশার স্বপ্ন দেখি
কিসে তারে ভাবি আপন,
মন তো মরে গেছে
মুড়ে আছে সাদা কাফন।
ভালবাসার সাতকাহনে
আমি যে নাই,
আমি তো ভস্ম- ছাই।
ভালবাসার সাতকাহনে
কে করবে রাজত্ব?
তুমি কি শুনতে পাও মোর আর্তনাদ
হে দেবী, হে আমার প্রেমাস্পদা,
আর কতবার বলবো
তোমার মনের নাম্বার দাও?
ভালবাসার ফোনে কোন নাম্বার নেই
তাই চেয়েছিলাম তোমার মনের নাম্বার
সর্বদা সেভ করে রাখতাম
কখনো ডিলেট করতাম না?
হে আমার প্রেমাস্পদা,
হে আমার দেবী
দাও তোমার মনের নাম্বার
ভালবাসার কিছু কথা বলবো তোমায়?
এভাবে চুপটি করে থাকো
আমি তোমায় ক্ষমা করে দিয়েছি হে তিলোত্তমা যশোহর কন্যা
তবে নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি
আমি তো তোমার ভালবাসায় অভিশপ্ত
নিজেকে ক্ষমা করি কেমনে?
তবে আমি আজও কিসে সারমেয়’র মতো করে তোমার পিছে
ছুঁটছি তা অবিদিত
ও ছুটবো না কেন সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক
গভীর রাতে স্মৃতিগুলো মম
কলিকাতার মেয়ে
আমার দিকে দেখ
একবার চেয়ে,
সুখ- শান্তি, ভালবাসা
যাবে সব পেয়ে।
কলিকাতার মেয়ে
ওহে বর্ষা বেরা,
তোমার মন কি
ধর্মের বেড়ায় ঘেরা?
কি নেই আমার মাঝে
তোমার কাছে
ভালবাসার আবদার করে
মরছি আজ লাজে!
কলিকাতার মেয়ে
ভালবাসা
চেয়ে করেছি কি মহাভূল?
তুমি মানুষ
আমিও মানুষ
কিসে আমার মাঝে দেখ
ধর্ম, জাত- কূল?
কলিকতার মেয়ে
ওহে বর্ষা বেরা,
তোমার
হে অনন্ত যৌবনা
তুই তোর যৌবন নিয়ে থাক,
আমি আর
অলি হয়ে তোর মধু খাওয়ার আশে গুনগুন করছি না।
পাঁপড়ি জড়িয়ে যদি আ-জীবন থাকতে পারিস থাক
তোর মধু খাওয়ার আশে অনেক অলি গুনগুন করছে
আজাদ অলি, মামুন অলি, ওবায়ইদুল অলি
আরো নাম না জানা অনেক!
কিন্তুসব অলি
তোমার ঠোঁটে
চুমুর ভোট দিতে চাই,
একটা, দুটো ভোট দিতে
পারবো না আমি
কমপক্ষে হাজার দশেক।
চুমুর ভোটে
তোমার ঠোঁটে
আ-জীবন
যেন দখলদারি করতে পাই।
তাই তোমার ঠোঁটে আজ
ভোট দিতে চাই,
লালার কালিতে
তোমার ঠোঁট সর্বদা উজ্জ্বল রাখতে চাই।
তাই আজ ভোট দিতে চাই
চুমুর ভোট
কমপক্ষে হাজার দশেক,
এই
আমি তোমায় ক্ষমা করে দিয়েছি হে তিলোত্তমা যশোহর কন্যা
তবে নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি
আমি তো তোমার ভালবাসায় অভিশপ্ত
নিজেকে ক্ষমা করি কেমনে?
তবে আমি আজও কিসে সারমেয়’র মতো করে তোমার পিছে
ছুঁটছি তা অবিদিত,
ও ছুটবো না কেন সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক
গভীর রাতে স্মৃতিগুলো
তুমি যদি কখনো আমার পাশে না থাকো তবে আমার ভোরগুলো নীরস হয়ে যাবে,
আমার আঙিনায় আর কোন ফুলই ফুটবেনা, আমার দুয়ারে আসবেনা বসন্ত।
তুমি যদি আমাকে আর নাম ধরে না ডাকো তবে পৃথিবীর সব সুর বদলে যাবে বিশ্রী শব্দ দূষণে,
পাখিদের গানগুলো
একদিন কল্পনায় আমি হেঁটেছি কত দূর তার সাথে,
ছুঁয়েছি চুড়ির রেশ হয়ে তারই হাত সারাটি পথ ধরে।
হঠাৎ হাওয়ার মতো আমিও দুলে দিয়েছি এক গোছা চুল তার,
নীল আচলে আমি দিয়েছি তারে বসন্তে ঝরা কত
তোমাকে ভালোবেসে মেঘ বলে ডাকতাম আমি,
অনেকদিন হলো তোমাকে মেঘ বলে ডাকিনা।
তোমাকে এখন আর অন্যকেউ মেঘ নামে ডাকে কিনা তাও জানিনা,
জানিনা এখন অন্যকারো বুকের ঠিক কতটা জুড়ে মেঘ হয়ে আছো।।
তবে আজকাল আকাশ মেঘলা হলে খুব জোড়ে জোড়ে ঐ মেঘেদের মেঘ বলে
তোমার প্রেমে পড়বার আগে,
সুন্দর চোখ, সুদর্শন মুখের রমণীদের খুটে খুটে দেখতাম।
আর ভিতরে ভিতরে খুব আফসোস করতাম,
ভিতরে ভিতরে কামনা জেগে উঠতো যেন সে আমার হয়।।
অথচ তোমার প্রেমে পড়বার পর,
সেই চিরাচরিত অভ্যেসটা কি আমূল বদলে গেলো।
কাউকে দেখে আফসোস করা, মনে মনে কামনা