তোমার আশায় বুক বেঁধে আছি
আমি জানি তুমি আসবে,
সকল বাধা পিছে পড়ে রবে
বিজয়ের হাসি হাসবে।
চলার পথে বাধা জানি আছে
আছে হারাবার মত ভয়,
যার মনে আছে সাহস অসীম
করবে সে বিশ্ব জয়।
বিপদ যখন আসে নিজ পানে
কেউ নাহি থাকে পাশে,
সুখের সময় যে ছিল আপন
দুরে তখন সে হাসে।
সম্মুখে তোমার যে
আমি স্বপ্ন দেখি সংগোপনে
রাতের আলোয় ঘুরছি একা,
নীরবতা সেথায় শুধু
স্বপ্ন ছাড়া সবই ফাঁকা।
স্বপ্ন দেখি মানুষ হবার
অমানুষদের যত বাধা,
যতই আসুক দুঃখ ব্যাথা
জীবন হবে স্বপ্ন গাঁথা।
আমি স্বপ্ন দেখি নতুন দিনে
উঠবে ফুটে নতুন আলো,
আঁধার নেবে মুখ লুকিয়ে
হোক না যত নিকষ কালো।
স্বপ্ন দেখি মানুষ নামে
আছে
নজরুলের বঙ্গমাতা রবি’র সোনার বাংলা,
এসব এখন কথার কথা বলার জন্য বলা।
গোয়াল ভরা গরু আর গোলা ভরা ধান,
পুকুর ভরা মাছের কথা ভারী করে কান।
নববর্ষে পান্তা মেলে ইলিশ মেলা ভার,
বিদেশীদের নজর এখন চোখে দেখাই সার।
নবান্নের পিঠা-পুলি ক্ষয়ে গেছে কালে,
এসব এখন আটক আছে পিৎজা স্যুপের জালে।
ষড়ঋতুর
বছর ঘুরে এল ফিরে নতুন শুভক্ষণ,
সবাই নাচে আপন ধাঁচে নাচে সবার মন।
নতুন রবি নতুন ছবি নতুন পথে চলা,
পিছে ফেলা কথার মেলা নতুন ভাবে বলা।
যত ব্যথা দুঃখ কথা ছিল না যা বলা,
দুরে ঠেলে সবই ভূলে নতুন পথে চলা।
স্বপ্নে দেখা আলোর রেখা মিলায় যদি রাতি,
নতুন
আজও মনে পড়ে একাত্তর,
সেই ভয়ানক দিনগুলি।
যে দিন দেখেছি দানবের হিংস্র থাবায়
ছিন্নভিন্ন হয়েছে বোনের শরীর,
কামানের গোলায় ঝাঁঝরা হয়েছে ভাইয়ের বুক।
দেখেছি, সবুজ ঘাসের বুকে
তাজা রক্তের স্রোত।
যে রক্তের প্রতিটি কনা বলছে,
তোমরা স্বাধীন হও, তোমরা স্বাধীন হও।
আজও মনে পড়ে একাত্তর,
সেই অশ্রুসিক্ত দিন গুলি।
যেদিন দেখেছি দানবের ছোবল
হঠাৎ আজিকে কালো মেঘে
সারা আকাশ বব্বর,
ডেকে বলে মা যাসনে কোথাও
এখুনি আসিবে ঝড়।
কে শোনে কথা মানিবে না বাধা
যেতে হবে ঐ দুরে,
ফুলে ফুলে সাদা বকুল তলা
আসিব এখুনি ফিরে।
কালো আর ও গাঢ় হলো
আঁধার হলো যে ধরা,
মন পাখি আর থাকে না ঘরে
যেতে
বিশ বছর পর দেখা হল সার
আমার পল্লী গ্রামখানি,
না পারিলাম কিছু হটিলাম পিছু
রয়ে গেলাম চির ঋনী।
কি যে হল ফল চোখে এল জল
দেখে মানবের দুর্দশা,
বেদনা আঁধার শুধু হাহাকার
নিত্য তাদের আশা।
সুখের ঘরে কেঁদে কেঁদে মরে
দীনতা একা বসে,
পায় না খেতে দিনে বা রাতে
দুঃখ থাকে যে পিছে।
সোনার মাটি আর
প্রিয় বন্ধুবর মনে নিয়ে ছল লুকায়েছ কতদুর,
আজি গহিন নিশিতে মনের বাঁশিতে বিরহের বাজে সুর।
ছিল কত স্মৃতি ছায়া বনবিথি হাজার রঙের ভিড়ে,
রাত ফিরে আসে হুল্লোড় শেষে ফিরেছি নিজের নীড়ে।
না হলে দেখা রক্তিম শিখা অনল জ¦লেছে মনে,
দিবা হলে পার বেদনা আঁধার ভেঙেছে হৃদয় বানে।
নিয়ে করে
এইতো মাত্র আর কটা দিন,
হয়তো জয়ি বন্যাকে মনে রাখবে না কেউ!
মনে পড়বে কালে ভদ্রে,
বিশেষ কোন সময়ে,নতুবা বিশেষ দিনে।
জাগ্রত হবে না আর কারো বিবেক।
কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল ও
শুকিয়ে যাবে এক দিন।
কেবল শুকাবেনা মায়ের শাড়ির-
আঁচলের প্রান্ত ভাগ।
দিগন্তের মেঘমালা উড়ে যাবে,
পাখির কুজনে মুখরিত হবে
সবুজে ঘেরা বন
আমি জয়ি বলছি,
ওদের তোমরা ক্ষমা করো না।
যাদের উদ্মাত্ত রক্তের নেশায়
বলি হতে হল আমায়,
বিদায় বলতে হল-
প্রিয় মা,মাটি, মানুষকে।
বিদায় বলতে হল সহপাঠি ও
প্রিয় শিক্ষকদের কে।
ওদের তোমরা ক্ষমা করো না।
মা-বাবা,
আমায় ক্ষমা করে দিও।
আমি চাইনি তোমাদের ছেড়ে,
তোমাদের কাঁদিয়ে চলে আসতে।
আমি কি কষ্ট পাইনি?
অনেক কেঁদেছি মা।
তবু আমি পারিনি,
আমি