তার এক লহমায় নিবিষ্ট আমার সমগ্র জীবন
যার এক এক হাসিতে নিরাময় আমার জরা ভীষণ।
সেই রমণীর চোখের জলে আমার বুকে নামে বাণ উথাল পাতাল
তার একটি চুম্বনে বেঁচে রই আমি প্রাণান্ত প্রেম, অনন্ত কাল।
ওরে ঝড়ো হাওয়া
ওর কাছে কি আছে তোর আসা
মৃত্যু!
সে তো একটা পর্দা মাত্র, যার
এপার- ওপারের মধ্যে দূরত্ব হচ্ছে একটি মাত্র নিঃশ্বাস!
প্রত্যেকের জীবনে এটি একবারই আসবে,
আপনি চাইলেই এর স্বাদ দুবার পেতে পারবেন না;
সুতরাং সবার উচিত
একে তৃপ্তির সাথে গ্রহণ করার জন্য নিজেকে তৈরি করা। যেন বলতে পারি
আহ তৃপ্তি
যাচ্ছি চির পূর্ণিমার দেশে
তুমি বা তোমার স্বত্তা সে দিনেই মারা গেছে
যে দিন ভাদ্রমাসি কুকুরের মত কুঁই কুঁই করে
নির্লজ্জ প্রথায় ধর্না দিয়েছ প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে।
বিধ্বস্ত চিত্তে যেখান থেকে তোমাকে প্রথম উদ্ধার করি-
পোড়া বাড়ীর পিছে
জং ধরা পরিত্যক্ত গাড়ীতে
আজো পড়ে আছে তোমার ছেঁড়া শাড়ী, ভাঙ্গা চুড়ি!
আলো
কবি,
তোমাকে পেয়েছি আমার আজন্ম তপস্যায়,
পেয়েছি জীবনের ঘোর অমানিশায় নিভু নিভু যখন জীর্ণ প্রদীপ;
তোমাকে পেয়েছি প্রাণের বিদীর্ণ চাতালে যখন বুভুক্ষুর আর্তনাদ
যখন বিদগ্ধ শ্মশানে পোড়মাটি ভেদ করে জেগে উঠল প্রেতাত্মা
দিগন্ত ছেদ করে যখন অবিরত বজ্রনিনাদ হলো উন্মাদ! তখন-
তুমি
এ জীবন মন যৌবন, এই বলিদান
নিঃস্বার্থ অগ্নিমান; এই পোড়া প্রাণ, নির্মোহের গান,
এই দুর্দশা-হতাশা এই আশা ভালোবাসা প্রতীক্ষমাণ তপস্যা;
বহমান স্রোত নির্বোধ বিসর্জন!
এই মনুষ্যত্ব বিকৃত, এই কবিত্ব, পরুষত্ব!
এই জলাঞ্জলি অগত্য আঁধারে-
উলঙ্গ কোলাকোলি!
সেই বাদ- বিবাদ,
জীবনের বাদে আবাদে
নিঃসঙ্গ বিষাদ
নব নব রূপে
সেই তেঁতো
একবার একটা নীল ক্যানভাস বানিয়েছিলাম
সাদা মেঘের ভেলা ভাসাবো বলে
রঙের ডানায় স্বপ্ন ছড়াবো বলে হাতে নিয়েছিলাম
রং তুলি-
তারপর
কতো আঁকা আঁকি; পাখি, ফুল, নদী
জোনাকি রাত, নিঝুম প্রকৃতি, ঘন আঁধার বন বীথী
কতো কি আঁকলাম! শুধু আঁকা হয়নি স্বপ্নের সেই ভেলা
তোমাকে আঁকতে গিয়ে চিনেছি রং,
নির্জন প্রবাল দ্বীপের একাকী অধিবাসিনী
ব্যবচ্ছেদের সব টুকু অভিমান নিজের মধ্যে আগলে রেখে
যে দিন চলে গেলে নির্বাসনে, আমার কি সাধ্য ছিলো
তোমাকে আটকে রাখার-
নিশিক্লান্ত প্রহরের বিনিদ্র চাতক আমি
ভোরের শিশির জব্ধ তৃণের মত
অশ্রু সজলতা বিনে-
কি আর আছে আমার?
তোমার মনস্পুত কথা মালার অন্তরালে
পুঁতে