আদর্শচ্যুত রাজনীতির পার্থিব মোহ আমাকে কখনো বাঁধতে পারেনি।
বাঁধতে পারেনি ক্ষমতায়ন কিংবা বাহবার আবহ, সমীহ সংস্কৃতির
অন্ধত্ব আমাকে আটকাতে পারেনি বলেই আমি দেখতে পাই-
দেখতে পাই তা, যা তোমরা দেখতে অক্ষম
শুনতে পাই তা। যা তোমারা শুনতে অক্ষম
বলতে পারি তা, যা তোমারা বলতে গেলে রুদ্ধ হয়ে আসবে কণ্ঠ!
আমি
অশ্রু না বিষ?
কি দিয়ে ধুয়েছ তোমার স্মৃতি মন্থন বেদী,
যখন রক্ত আর ঘামে
স্রোতস্বিনী হয়েছে আমার অলকানন্দা নদী।
চুল না কি ভুল?
ছিঁড়ছ কি উন্মাদ, অসহ্য চিত্তে!
মন পাবে না মনের উসুল
যদি না চিনতে পারো সত্য-মিথ্যে!!
রতি না বিস্মৃতি?
কোন আগুনে জ্বেলেছো পরশ প্রদীপ,
ফাগুনের বনে শ্রাবণের প্লাবন
মধুর বীণে সুর মূর্ছনা, হও
(বিশেষ দিনে নয় নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই প্রতি দিন চিরদিন! বিশ্ব নারী দিবস সফল হোক)
তুমি জন্মেছো বলেই জন্মেছে এই ধরা
তুমি আমার মা আমার প্রিয় অপ্সরা
তিমির কান্তার রস্মি তুমি
হিম কাঁটা রজনীর উষ্ণতা
ক্ষুধার্ত হা ‘ভাতের অন্ন তুমি
ক্ষত বিক্ষত জীবনের
আমাদের গ্রামের ঈশান কোনে হিন্দু গ্রাম। যেখানে নামে শরতের মেঘ, উদাম আকাশ। রোজ সকালে সবুজের আড়াল হতে উঠে আসে সূর্য, সোনালী আবেগ, ভাসে তেপান্তরের মাঠ,আমাদের কাঙ্কি পুকুরের ঘাট। সেই অরুণ উদয়ে আমরা হতাম তরুণ- স্মার্ট! গ্রাম গ্রামান্তর আমরা
মানুষ তুই ধনী হয়ে যা!
কি হবে মানুষ থেকে,
তুই বরং রঙ বেরঙ এর ফানুস ভনে যা!
টাকার গন্ধে মাতাল হয়ে যা
জমি জিরাতে অন্ধ হয়ে যা!
মানুষ তুই (আত্ম)খুনি হয়ে যা!
তবেই তোর লেজ বাড়বে
তোষা
পোষা কুকুর বাড়বে!
মানুষ তোর মগুর হবে
সে মগুরে বাজনা বাজবে
শুধু
পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার ও অতলের অস্তিত্ব
উৎসর্গঃ (শ্রদ্ধেয় জিয়া রায়হান। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই মহানুভবের দর্শন করিয়েছেন।)
প্রশান্তি বিমুখ অস্তিত্বে বাসা বেঁধেছে নিভৃত অসুখ
স্বপ্ন বিরোধ বৈরাগ্য স্থিতে হেঁটে চলেছি অনন্ত পথ,
বিষণ্ণ গোধূলির সঙ্গে
প্রদোষের বিবর্ণ রাতের রঙে
আকাশের প্রদীপ্ত ধ্রুবতারার সঙ্গে
একাত্ম