জীবনের গল্প-২৯ এর শেষাংশ: রাত তখন আনুমানিক ৮ টার মতন বাজে। দিদির বাড়িতে তখনো কেউ ঘুমায়নি। সবাই ঘরে বসে টেলিভিশনে কবিগুরু রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠান দেখতে ছিল। আমার বড়দি’র বাড়িতে দুইজন ব্যাচেলর থাকতো। ওদের বাড়ি ছিলো মেদিনীপুর। ওরা বীর পাড়ায়

জীবনের গল্প-২৮ এর শেষাংশ: বুঝেশুঝেই দিবে। আমি বড়দি’র কথা শুনে মুচকি হেসে দিদির বাড়ির ভেতরে গেলাম। আর মনে মনে বলতে লাগলাম, ‘দিদি আমরা বাংলাদেশি লোকেরা এরকমই। খরচের কাছে আমরা কখনোই হার মানি না।’ দিদির সাথে গেলাম বাড়ির ভেতরে। সাথে

জীবনের গল্প-২৭ এর শেষাংশ: তারপরও তার অভাব নেই! এই টাকা দিয়েই তার ছোট সংসার খুব সুন্দরভাবে চলছে। জানলাম রিকশাওয়ালার কাছ থেকে। প্রায় ১০ মিনিট হতে-না-হতেই রিকশাওয়ালা আমাকে বলছে, ‘ও-ই যে রবীন্দ্র নগর কলোনি দেখা যাচ্ছে, দাদা।’ রিকশা চড়ে যাচ্ছিলাম,

জীবনের গল্প-২৬ এর শেষাংশ: কানাই বলল, ‘ধর্মতলা যাবো জলপাইগুড়ির একটা টিকেটের জন্য।’ তখন বুঝলাম আগামীকালই আমি বাঘা যতীন ত্যাগ করছি। আমি তাড়াতাড়ি জামাকাপড় পড়ে নিলাম, কানাইতো আগেই রেডি। একটা অটো চেপে ধর্মতলা উত্তরবঙ্গের বাসস্ট্যান্ডে গেলাম। কিন্তু টিকেট আর কেনা

জীবনের গল্প-২৫ এর শেষাংশ: তারপর গেলাম একটা হোটেলে, কিছু খাওয়ার জন্য। কানাই সারাদিন বাইরে ছিল। ওর-ও ভাত খাওয়া হয়নি। তাই এই সন্ধ্যায় হোটেলে ঢোকা। কানাই হোটেলে বসে আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘কী খাবি?’
বললাম, ‘রাতের খাবার তো বাসাই খাবো!

জীবনের গল্প-২৪ এর শেষাংশ: কানাই বুকিং-এ গিয়ে শিয়ালদার টিকিট নিল দুইটা। ওঠলাম ট্রেনে। রাত ১১টার সময় পৌঁছলাম শিয়ালদা স্টেশনে। এদিন বাসায় যেতে রাত হয়েছিল প্রায় ১ টা। কানাই’র ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দেখি বাড়িওয়ালার ঘর বন্ধ! কানাইর দু’বোন রাতে বাড়িওয়ালাদের

জীবনের গল্প-২৩ এর শেষাংশ: কিন্তু তা আর হল না কানাইর জন্য। ও আমাকে সিনেমা দেখাবে, তাই তাড়াতাড়ি করে ট্রামে ওঠল। যাবে টালিগঞ্জ। সেখানে গিয়ে শাহরুখ খান অভিনীত “বাজিগার” ছায়াছবি দেখাবে। যেই কথা সেই কাজ! হাওড়া থেকে ট্রামে চড়ে গেলাম

জীবনের গল্প-২২ এর শেষাংশ: চিঠিতে জানিয়ে দিলাম, আমি মঙ্গল মতো কলিকাতা পৌঁছেছি। চিঠি পাঠালাম এই কারণে যে, আমার জন্য যেন কোনও প্রকার চিন্তা না করে, তাই। তারপর ঘুরেফিরে কেটে গেল আরও বেশকিছু দিন। আমার চিন্তাও বাড়তে লাগল। এখন আর

জীবনের গল্প-২১ এর শেষাংশ: সব টাকা বাইর করার দরকার নেই। কোনও বাটপার দেখলে তোর পেছনে লাগবে। ভারতের বাড়ি, টাকার খুব দাম!’ আমি কানাইর কথামত কিছু টাকা সামনের পকেটে রাখলাম। আর বাদবাকি টাকা প্যান্টের ভেতরের পকেটে রাখলাম। ভগবানকে ডাকতে

জীবনের গল্প-২০ এর শেষাংশ: আমি বললাম, ‘হ্যাঁ আমি পুরোপুরিভাবে রেডি আছি। ওঁদের তো শ্বশুরবাড়ি রেখে এসেছি আজ দিইদিন হলো। আর আমিতো এখন বড়দা’র বাসায়ই থাকছি।’ কানাই আমার কথা শুনে বলল, ‘ঠিক আছে, আর কোনও টেনশন নেই। এবার

জীবনের গল্প-১৯-এর শেষাংশ: তখন কালীগঞ্জ শুভাঢ্যা ইউনিয়ন এলাকার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিলো যে, ভাড়া বাড়ি থেকে প্রাণভয়ে বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে মিলের ভেতরে থাকতাম। মিলের ভেতরে অন্তত তিন-চার দিন সপরিবারে অবস্থান করেছিলাম। বাবরি মসজিদ নিয়ে সে সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু

জীবনের গল্প-১৮-এর শেষাংশ: একসময় আড়াইউল্লা নিয়ম করে কানাই, কালাম-সহ নতুন বউয়ের সাথে তার ছোট ভাইকে নিয়ে আমি চলে আসি নারায়ণগঞ্জ নন্দিপাড়া নিজের বাসায়। এর দুইদিন পরই বৌভাত অনুষ্ঠান। বউভাত অনুষ্ঠানে দুই মিলের লোক-সহ প্রায় ১০০ জন লোকের আয়োজন

জীবনের গল্প-১৭ এর শেষাংশ: তখন ঠাকুরবাড়ির সবাইর এমনই থমথমে অবস্থা ছিলো। কিন্তু না, সেদিন তেমন কোন খারাপ পরিস্থিতিতে আমার পড়তে হয়নি। খুব সুন্দরভাবে আমি একাই নয়াবাড়ি গ্রামের ঠাকুরবাড়িতে জামাই-আদরে দুইদিন থেকে নারায়ণগঞ্জ ফিরে আসি। বাসায় আসার পর

জীবনের গল্প-১৬-এর শেষাংশ: কালাম নৌকা বেয়ে সুবচনী বাজার নিয়ে এলো। ঢাকার লঞ্চে না ওঠা পর্যন্ত লঞ্চ ঘাটেই ছিলো। একসময় লঞ্চ আসলে কানাই আর আমি লঞ্চে উঠলাম। লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে রওনা রওনা হলো। মাঝপথে ফতুল্লা লঞ্চঘাট নেমে নিজের বাসায়