—বিরহ কথক
দেখতে যদি পিছন ফিরে
বিবর্ণ কত ধুলা উড়ে এদিকে ওদিকে?
আকাশ গায়ে মেঘের পাড়ে বালিয়াড়ি মিশে;
উড়ে সে তো বিরহ কথক
বলতে চায় পুরনো কথা আধেক ছিল যা বাঁকি
ফুরছুৎ কই দেখবার যথাতথা?
ঝরা পাতায় মালবিকা কাহন মন্ত্র জপে পিছু টান
দেখতে যদি পিছন ফিরে!
ফিরে দ্যাখা পথ সে তো দূর
—কয়েক দিন কবিতা লিখব না
কয়েক দিন কবিতা লিখব না
কিপ্যাডে রাখব না আঙ্গুল; ছুঁয়ে দেখব না
রুপালী হরফ! রুপোর কাঠিতে জেগে উঠা স্বপ্নের হরফ
যে হরফে মাস্তি রয় যুগে যুগে, জীবনভর।
কবিতার বিদ্রূপ ছেড়ে
শহর ছেড়ে, যাতনা যত ভুলে, এবার বেড়িয়ে যাবে
আগন্তকের মতো এই শহুরে প্রথম কদম এঁকে
–সেই তুমি রয়ে গেলে আজও
চাওয়ার অন্তঃপুর
সেই তুমি রয়ে গেলে আজও
একই সীমান্ত রেখায়;
এ পাড় ওপার করে আকাশের কৌণিক দূরত্ব
একই বিন্দুতে রইলে।
একচুল এদিক ও না ওদিক ও না
জানি তুমি বুঝবে না!
এ যে ভাবনার জ্যামিতিক কাব্য
জীবনভর পাশকেটেই চলে গেছো হেঁটে
দূর বহু দূর সুখসারির কাছে।
ফিরে দেখেছ মিছে
কতক কদম
–নেই কোন বন্ধু?
আপনারে নাড়িয়ে চারিয়ে উন্মাতাল আহ্লাদে
কেটে ছিল কি কোন বেলা? শ্রাবণ সাঁঝ প্রাতে
দেখতে দেখতে শ্রাবণ মেঘে ঢেকে গেল যত ছাই রং
বৃষ্টির আঁধারে ঝম ঝম বরিষণে পথিক পথে বিষন্ন ঢং
এ কি আঁধার নেমে এলো? বন্ধুরা সব গেল পালিয়ে
অভাজনের সেই একই পথ একলা রয়ে
–পথ বিভাজন
পথ আগলে থাকে পথ, নন্দন স্বপ্ন নিয়ে
কথিত কথায় জানে সব, শুধুই বিরহ ক্ষ্যেত
কথায় বলে বু্দ্ধিতে চালাক, অবোধ খায় ধোকা
অষ্ট প্রহর বেলা শেষ, বিষন্ন সন্ধ্যা বেলা।
পথেই যখন জীবন মৃত্যু, খন্ডিত বাসনা যায় ক্ষয়ে
আলো ফোটার বাসনা লয়ে, দিকে দিকে এ কি সম্ভার?
কেউ বলে ঐ পথে