চারু মান্নানের কবিতা ট্যাগের সব লেখা

কালে কালে মানুষ সর্বহারা
——-কালে কালে মানুষ সর্বহারা অফিস, বাসা, বেড়াবার সময় কই?
অফিস তো ছুঁয়ে থাকে পিচ ঢালা পথে, হরিহর ফুটপাত
আম জনতার পদভার, পদ শব্দে মুখরিত।
পথের পাঁচিলে সবুজ পাতা, ফুল
কড়ই গাছের পাতার ফাঁকে নীলাকাশ,সাদা মেঘ উড়ে যায়।
কতক সময় পিচ ঢালা পথ
টেম্পু, বাস, ধরাধরি ঠেলাঠেলি
ঘামের চিটচিটে গন্ধ মেখে অফিসে ঢুকা। কপি পড়ুন
কবিতা | | ১৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৮৪ বার দেখা | ১৭৭ শব্দ
এখন কবিতারা, আর্শ্বিনের আউশ ক্ষেতে
——এখন কবিতারা, আর্শ্বিনের আউশ ক্ষেতে এখন কবিতারা, আর্শ্বিনের আউশ ক্ষেতে
বানের জল ডুবা, আউশ ধানের ডগায় ডাহুক-ডাহুকী
হাঁটু জলে হেঁটে বেড়ায়;
কানি বক ঝিম ধরে বসে আছে শাপলা পাতায়। আধা পাকা ধানের শীষে,
লাল ফড়িং ডানা মেলে বসে; ধানের পাতার ভাঁজে
মাকড়ষার শুভ্র বাসা ডিম পাহারায়
জাল বিছিয়ে বসে পড়ুন
কবিতা | | ১৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৮০ বার দেখা | ১০৩ শব্দ
রাতভর ভোতা অনুভূতির ঘোর
——–রাতভর ভোতা অনুভূতির ঘোর রাতভর ভোতা অনুভূতির ঘোর, ঘুমের তন্দ্রায়
বিছানার কোনে লেজ গুটিয়ে কুকুরের মতো
আয়েশি ঘুমে মগন;
একই শব্দ শুনে শুনে কান তন্দ্রায় ডুবে যায়
পুরনো ফ্যানের পাখার বিদ্রূপ করা আওয়াজ! ঘর জুড়ে খেলা করছিল অজস্র আঁধার
বেলুয়াড়ী খিড়কির ফাঁক দিয়ে যত সামান্য জোছনা
ছিঁটে ফোটা ঝলক; পড়ুন
কবিতা | | ১২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪১৯ বার দেখা | ১২০ শব্দ
মুক্তি সখা
———মুক্তি সখা প্রথা সিদ্ধ কথা গুলো, এঁকে বেঁকে ফুরত
জটলায় জমেছিল বেশ, বন্ধুদের যত অকথা
প্রথা বিদ্ধ কথা যথাতথা, অমানিশায় মিলিয়ে যায়। যাক তা ভেসে যাক
বর্ষার জলে, নির্মমতা নিমগ্নতার
অসহায়ের মতো;
মাছের পোনার ঝাঁক সুবোধ মাতৃত্বে
ঘুরে বেড়ায় শেওলা জলে। চেয়ে ছিল আকাশ, অমরত্বের সুধা রসে
বর্ষার জলে একি কথা যায় ভেসে স্রোতে, পড়ুন
কবিতা | | ১২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৬৬ বার দেখা | ৯১ শব্দ
ক্রান্তিকালে বিমর্ষ যাতনা
——-ক্রান্তিকালে বিমর্ষ যাতনা দক্ষিণ হাওয়া ডাক দিয়ে কয়,
টিয়ার ঠোঁটে বিমর্ষ সুর;
বিভৎস কিছু দেখেছে বুঝি
অভিমানে মুখ ঘুরে, উড়ে গেল দূর বহু দূরে। শুধায় আকাশ নীল, করোজড়ে মাথা নুয়ে
কি হয়েছে বল না সখা?
ঠোঁটগুলো সব যেন আঠায় আঁটা
কইতে কিছুই মন সায় না দেয়, এ কোন জটিলতা?
উদাস আকাশ পড়ুন
কবিতা | | ১৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮৩ বার দেখা | ৮৪ শব্দ
মেঘের জল কণা
——-মেঘের জল কণা মেঘের জল কণা
তুমি, দৃশ্যমান বৃষ্টির কায়া
জলজ অপসরি;
রিম ঝিম রিম ঝিম নিঃশেষ হতে হতে
হারিয়ে যাওয়া; মেঘের ঘঙ্ঘুর বাজে
ফুরিয়ে যাওয়ার খেলায়
অনামি, তুমি। দ্রোহ বিদ্রোহের মেঘে মেঘে
অশান্ত কান্না গর্জন; তোমারই নিবিড় ক্ষণজুড়ে
অপেক্ষায় বসে ছিল যতটুকু জল
বিরহ ছুঁয়ে রয়, যা’যাবর বেলা
শুধু খসে পড়ে
জলমুখো অভিমানে। বার বার পড়ুন
কবিতা | | ১৯ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৪২ বার দেখা | ৬৮ শব্দ
কস্তুরী ঘ্রাণ ছুটে একা একা
——–কস্তুরী ঘ্রাণ ছুটে একা একা না দেখা রয়ে গেল সব!
পথে পথে, পথের বাঁকে অগোচরে দূরে, বহুদূরে
দিগন্তের ও পাড়; স্পষ্ট বুঝা যায় না কিছু
চশমার কাঁচ ঘুঁষে বইয়ের পাতার পৃষ্ঠা উল্টানোর মতো
বড়ই দূর বদ্ধ। আকাশ ছোঁয়ার মতো
<
চেনা তো হল না কখনো? দেখাও হয়নি আজও;
শঙ্খচিলের উড়ার পথ। এঁকে পড়ুন
কবিতা | | ১৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৭২ বার দেখা | ১৪৬ শব্দ
জলছবি কাদা জলে
———জলছবি কাদা জলে খিড়কি ঠেলে আষাঢ়ে চাঁদ
উঁকি দেয় হেসে,
সিঁথান জুড়ে ভুতুর মুখ
জোছনা ছুঁয়ে হাসে। আয় আয় চাঁদ মামা
আষাঢ় মেঘ ডাকে,
টিপ হয়ে মেঘের ছায়া
ভুতুর কপাল ঢাকে। আকাশ যে আজ কাঁদো কাঁদো
জল ভরা মেঘ ভাসে,
জোছনার উঁকি মেঘের ফাঁকে
রিমঝিম বৃষ্টি আষাঢ়ে। রাতভর ভেঁপু বাজায় ব্যাঙ
আষাঢ়ে ডোবার জলে,
জোছনা রাতে ঝিকি মিকি
জলছবি কাদা পড়ুন
কবিতা | | ১৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৫৪ বার দেখা | ৪৬ শব্দ
শঙ্খচিলের খসে পড়া পালক
——–শঙ্খচিলের খসে পড়া পালক আজ এ কোন নেশা পেয়ে বসেছে?
পাখিটার, শঙ্খচিল বুঝি!
উড়বার বাসনায় মেতে ঐ সুদূর মেঘ ফুঁড়ে
নীল ছুঁয়ে উড়ে।
পালকে তার কবিতার ঝলক উন্মনা, উম্মাতালে
ভালবেসেছিলে বুঝি! উন্মাদনা
সে কি যৌবন লজ্জাবতীর শিহরণ?
ভুলে কি করে? তাই তো উড়ে উড়ে পুড়ে
বেলা অবেলা পিছন ফেলে;
বিরহে সুখ খুঁজে, আমৃত্যু প্রেম পড়ুন
কবিতা | | ২০ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৫০ বার দেখা | ১১৫ শব্দ
চঞ্চল বেবস মূর্ত প্রতীক হাওয়া
চঞ্চল বেবস মূর্ত প্রতীক হাওয়া রোদের রোদন ছেড়ে,
মেইয়ে আসে রৌদ্র প্রতাপ
বিদায় সুর গলা জুড়ে, সোনালু ফুলে হলুদ বাহার
বোশেখর খেরোখাতায়,
জারুল জাফরানি রং মাখে। লজ্জাবতীর কারিশমা ফুল,
রৌদ্র প্রতাপে কাঁপে
ক্ষয়ীঞ্চুকালে জল টলমল, সোদা হাসে সবুজ রাঙা বেশে
শরীর তার ছুঁয়ে গেল,
চঞ্চল বেবস মূর্ত প্রতীক হাওয়া। বেবস যৌবনে পড়ুন
কবিতা | | ১০ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৮৪ বার দেখা | ৭৪ শব্দ
সেই পথ
———–সেই পথ সেই পথ, জনমভর তারই হয়ে রইল
সেই পথে হাঁটতে গিয়ে পিছন ফিরে তাকাতেই
আবার আসবে তুমি, এই পথে হেঁটে! হুঁচট খেয়ে! পথ বলে, চোখ টিপে হেসে হেসে
সেদিনই তো এসেছিল সে; মলিন বদনে আচমকা
তুমি পেলে না দেখা তার! পথের সায়েরী গেয়ে উঠে
বিরহী প্রহেলিকার গান ভাসে আসে ঐ পড়ুন
কবিতা | | ১২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮৭ বার দেখা | ১২৯ শব্দ
চঞ্চল বেবস মূর্ত প্রতীক হাওয়া
——চঞ্চল বেবস মূর্ত প্রতীক হাওয়া রোদের রোদন ছেড়ে,
মেইয়ে আসে রৌদ্র প্রতাপ
বিদায় সুর গলা জুড়ে, সোনালু ফুলে হলুদ বাহার
বোশেখর খেরোখাতায়,
জারুল জাফরানি রং মাখে। লজ্জাবতীর কারিশমা ফুল,
রৌদ্র প্রতাপে কাঁপে
ক্ষয়ীঞ্চুকালে জল টলমল, সোদা হাসে সবুজ রাঙা বেশে
শরীর তার ছুঁয়ে গেল,
চঞ্চল বেবস মূর্ত প্রতীক হাওয়া। বেবস যৌবনে পড়ুন
কবিতা | | ১০ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৯১ বার দেখা | ৭৩ শব্দ
অশ্বথ গাছের ছায়া
——-অশ্বথ গাছের ছায়া মা, অশ্বথ গাছের ছায়ার মতো
হারিয়েছি মায়া, মমতার টান আদর মাখা
ক্ষয়ে গেছে যত সোহাগ আহ্লাদ। কুয়া তলায় হাঁড়ি পাতিলের ভিড়ে
কত স্মৃতি মা, আমার তোমার সনে? কাদা জলে মাখা শরীরে, কুয়ার ঠাণ্ডা বাল্টির পানি মাথার উপর দিতে ঢেলে; আর বক বক করে কত বকাই না পড়ুন
কবিতা | | ১০ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৭৯ বার দেখা | ১১১ শব্দ
আত্মজা জোছনা
——-আত্মজা জোছনা আজ বসন্তের বেলা শেষ গান ধরেছে ভ্রমর
তার দীর্ঘ সুর লয়ে প্রাণ বড়ই চঞ্চল হয়;
সাদা লাউ ফুলে লাল ফড়িং হেলে দুলে
তার চোখ জোড়া ঘুরায়! সন্ধ্যাবতীর আঙিনায়। সন্ধ্যাবতীর ডোবার ধারে কাটা লতার কত ফুল ফুটে!
মেঠোপথে দল বেঁধে যায় সন্ধ্যাবতীর আবাল বৃদ্ধ
কৃষকের কাঁদে পড়ুন
কবিতা | | ১০ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৭৪ বার দেখা | ১১৭ শব্দ
বিমর্ষ বৃত্ত
——-বিমর্ষ বৃত্ত বৃত্ত তার প্রলম্বিত শরীরটাকে বার বার
ছিঁড়ে ফেলার বাসনায় মাতে; কিন্তু বাসনা তার সময় ক্ষয়ে
নেতিয়ে পড়ে কালের ঘূর্ণি পথের প্রবঙ্চনা।
পথ ভুলে আবার বৃত্তের গায়ে
খর্বকায় বাসনায় নিমজ্জিত হয়; নিঃশেষ হবার সামান্য বাঁকি
তাতেই আশ্রয় ফিরে পায়।
সেই আশ্রয় একদিন দির্ঘায়িত হয়
বাসনা খর্বকায় থেকে বৃদ্ধি হবে; বর্ধিত বাসনায় পড়ুন
কবিতা | | ১২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮২ বার দেখা | ১২০ শব্দ