জোহরা সবসময় আচার আচরনে একজন চঞ্চল উচ্ছল প্রকৃতির মানুষ। শত দুঃখের মাঝে তার মুখে সর্বদা হাসি লেগে থাকে যেন। কোন দুঃখই তাকে মনে হয় সেভাবে স্পর্শ করতে পারে না। একসময় স্বামী সন্তান নিয়ে ভরা এক সংসার ছিলো
জামিলা বিবির খুব ক্ষুধা পেয়েছে। ক্ষুধার জ্বালায় তার চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে আসছে। আগে অনেকটা সময় সে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে পারতো ইদানিং ক্ষুধা লাগলেই তার চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে আসে। মাথার মধ্যে ঝিমঝিম করে। আরো
জয়নবের স্বামী জয়নবকে ছেড়ে চলে গেছে আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে। সেই সব দিনগুলোর কথা ভাবতেই এখনো গা শিউরে ওঠে তার। সে এক চরম ক্রান্তিকাল, হঠাৎ করে ছোট্ট ছোট্ট দুটো দুধের বাচ্চা নিয়ে নিষ্ঠুর পৃথিবীর মুখোমুখি হয়
আজ কদিন ধরে বেশ ঠান্ডা লেগেছে। মৌসুমের এই সময়টা আমার ঠান্ডা জ্বর প্রবল রুপে দেখা দেয়। ভোরের আযানের সাথে সাথে আমার ঘুম ভেঙে গেলো। প্রাতঃকৃত সেরে ওযু করতেই হাঁচি শুরু হয়ে গেলো। মারাত্মক অবস্থা,সেই সাথে নাক দিয়ে ঝরছে কাঁচা পানি।
হঠাৎ করে নিজেকে কেমন যেনো বোকা বোকা লাগছে। ছোট বোন চারু বার বার উঁকি ঝুঁকি মারছে আমার ঘরে। আমার গতিবিধি লক্ষ করছে। হয়তো মায়ের পক্ষে গোয়েন্দাগিরি করতে নেমেছে। বিরক্তিকর। সুযোগ মতো পেয়ে আমি একবার চোখ কটমট করে তাকাতে
মা হঠাৎ করে এমন একটা প্রস্তাব দেবে আমার কল্পনাতেও ছিলো না। মায়ের প্রস্তাবের উত্তরে কি বলবো কি করবো আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। আর মায়ের কথার অবাধ্য ও আমি কখনো হইনি। মায়ের অগোচরে ও আমি কখনো কিছু করিনি। যা বাকি
অনুপমা যখন হাঁক ডাক করে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলো তখন আমি ছিলাম স্বপ্নের ঘোরে। সেই স্বপ্নের ঘোরে আমি যেন ফিরে পেলাম আমার হারানো অতীত। যাকে আমি সযতনে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছি দীর্ঘ অনেকগুলো বছর। যাকে আমি ভুলতে
এখন বেলা তিনটা বেজে দশ। অপেক্ষার প্রহর গুলো সবসময় দীর্ঘ ও বিরক্তিকর হয়। কিন্তু আজ কেন জানি আমার একটুও বিরক্ত লাগছে না। নীলা বলেছিলো সে আড়াইটায় আসবে। সে কখনো দেরী করেনা অন্তত এর আগে কখনো তার বিরুদ্ধে