আমরা একে অপরকে যে ভালোবাসি একথা বলি নি কখনও আসলে তেমনভাবে বলার সুযোগ হয় নি আর কি। তবে আমি আর মিহির আমরা পরস্পর খুব ভালো বন্ধু ছিলাম এ ব্যপারে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়।আমাদের সম্পর্কটা সেই ছোটবেলা থেকেই।
ওর সাথে, আমি
(১)
তাদের সে সময়টা ছিল আবেগ আর ভালোবাসায় ভরা। মিলা আর জাহিদ তারা দুজনেই একে অন্যের প্রতি ছিল দারুণ অনুরক্ত। একে অন্যকে এক মুহুর্ত না দেখে, কথা না বলে থাকতে পারতো না কিছুতেই। নব যৌবনকালের উতলা সে সময়। সর্বদাই একে
[১]
অনেকক্ষণ ধরে ডোরবেল একটানা বেজে চলেছে। বাথরুম থেকে তো জুলেখা ঠিকই শুনতে পাচ্ছেন আর কেউ শুনতে পারছে না নাকি! তুতুল কি করছে কে জানে? এই দুপুর বেলা পড়ে পড়ে ঘুমুচ্ছে হয়তো। আর এ অসময়ে কে ই বা এলো।জুলেখার আরও কিছু
মহুয়া খুব গুছিয়ে ঠোঁটের রংটা ঘষে নিলো। চোখের কাজল,কপালের টিপ,মুখের রং আগেই মাখা হয়ে গেছে। ঠোঁট যেহেতু আগেই আঁকা ছিলো তাই শুধু রংটা লাগিয়ে নিলো। ব্যাস। আজ আর খোঁপা করেনি সে। সাধারণ বেনি করেছে। লাল হলুদ শাড়িতে আজ তাকে কনে
[১]
ফয়সাল এর আগে কখনো একা একা শহরে আসেনি। যদিও শহরটা তার গ্রামের কাছাকাছি তবুও বিভিন্ন কারণে আসা হয়নি তার। ফয়সালের বয়স আঠারো বছর তিন মাস বারো দিন, সবচেয়ে অবাক ব্যাপার এতটা বয়সে
প্রথম পর্ব
জয়তুনের আজ শেষ কর্মদিবস ছিলো। শেষ কর্মদিবসে সাধারণ চাকরিজীবিদের মন খারাপ হলেও কিছু না কিছু দেনা পাওনার ব্যাপার থাকে। ভবিষ্যৎ বলতে একেবারে সব শেষ হয়ে যায় না। কিন্তু জয়তুনদের
[১]
কোন কোন মানুষের জীবনটা শুরু হয় ভুল দিয়ে। অল্প বয়সে সহপাঠীর মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে শরীরের নেশায় মত্ত হয়ে ওঠে জবা। মা বাবার উদাসীনতা এ ক্ষেত্রে তাকে আরো সাহসী করে তোলে। সমাজের চাপে পড়ে যখন শাসনের বেড়াজালে তাকে আবদ্ধ করার প্রচেষ্টা
গল্পঃ হায়েনা
************
প্রচন্ড গরমে চুলগুলো উচু করে ঝুঁটি বেঁধে মাথার ঘোমটাটা ফেলে দিয়ে মহুয়া এক মনে ডাটার শাকগুলো বাঁচছে। ডাটা আর আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছ রান্না হবে আজ। আর শাকগুলো হবে ভাজি ।ওপর থেকে বোঝা যায়নি
জানালার পর্দা সরাতেই ঘরের মধ্যে আলোরা যেন বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো ঢুকে গেলো। ঘুমানোর সময় আলো একেবারেই সহ্য করতে পারে না মিহির। হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে ঘুম ছুটে গেলো এক নিমেষে এবং অবাক হয়ে চেয়ে দেখলো সামনে মিলা দাড়িয়ে আছে। খানিক
হঠাৎ করে আফ্রোজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এইতো কিছু আগে আমরা দুজন মান অভিমানের ছলে ঝগড়া ঝগড়া খেলা করলাম। আমাদের দুই রুমের ফ্ল্যাট। সাথে একটা ব্যলকনি ও কিচেন সংলগ্ন ডাইনিং স্পেস। সবখানে খোঁজা শেষ। মেয়েটা কি উবে গেলো
আজ সকালে হাসান সাহেবের সাথে চামেলির বেশ এক চোট ঝগড়া হয়ে গেলো। ঝগড়ার কারণ আর কিছু না উপলক্ষ হলো করোনা, দেশে ক্রমবর্ধমান সাধারণ ছুটি চলছে। হঠাৎ করে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলো। প্রাইভেট স্কুল ,ছাত্র ছাত্রীদের বেতনে উপর শিক্ষকদের বেতন নির্ভর
বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। বেড়াতে এসেছিলাম বললে ভুল বলা হবে, বাবা মাকে দেখতে এসেছিলাম। অনেক দিন নানা ব্যস্ততায় নিজের বাড়ির দিকে আর আসা হয়নি। কিন্তু এবার মনটা এত বেশি প্রিয় মুখগুলোর জন্য ছুটলো যে আর কোন ব্যস্ততার বাধা, বাধাই রইলো না।
প্রতিদিনকার মতো বাসার গেট দেখতেই মনটা ছটফটিয়ে নেচে উঠলো কখন ঘরে যাবো। এতোবার মা সাবধান করে তবুও এই সময়টাতে কোন বারণ শুনতে কেন জানি মোটেও ইচ্ছা করে না। রিকশা থামতেই আমি এক ঝাঁপে গেটের কাছে চলে
[১]
আজ প্রচণ্ড গরম পড়েছে। সাথে বাতাসহীন একটি রাত। চৈত্রের এইসব দিনগুলিতে রাত নামার সাথে সাথে তাপমাত্রা কমে আসতে থাকে। আজ তাপমাত্রা কমার কোন লক্ষণ নেই। রাতে যে ঠিক মত ঘুম হবে না তা বোঝাই যাচ্ছে। সুলেখা ভাঙা পাখা