কেন যেন আজ সাকিরে মনটা ভাল লাগছে না। এশার নামায আদায় করে ঘরে এসে বসলো। ইচ্ছে হলো দেয়ালে ঝুলানো ক্যালেন্ডারটির প্রতি চোখ বুলাতে। আর মাত্র পনের দিন বাকী ঈদের। অনেকদিন যাবত বাবাকে কোন চিঠি লেখা হয়নি।
এই রিক্সা যাবে।
কৈ যাবেন আফা?
গুলিস্তান।
ভাড়া কত?
৪০ ট্যাহা।
৩০ টাকায় যাবেন।
না, যাব না।
৩১ টাকায় যাবেন।
না- যাব না।
ঠিক আছে, আরো দুই টাকা বাড়িয়ে দিব। ৩৩ টাকা দিব। যাবেন।
আফা এইডা কি মাছের বাজার পাইছেন? ৪০ ট্যাহার নিচে এক ট্যাহা কম
পদ্মা নদীতে এখন যেন কান্নার ঢেউ। চলছে পদ্মাপাড়ে স্বজন হারানো মানুষের আহাজারি। কিছুদিন পূর্বে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক-৬ লঞ্চ। এই লঞ্চডুবিতে নিহত হয় দিনমজুর খবির উদ্দিনের তিন
– ময়নার মা! ও ময়নার মা।
স্বামী গফুর মিয়ার ডাকে তাড়াহুড়া করে ময়নার মা তার কাছে আসলো।
– কি হইছে? এত ছিল্লাচ্ছেন ক্যান?
– আরে হুন না। একটা সুখবর আছে?
– সুখবর! এই ভরদুপুরে আবার কি সুখবর নিয়ে আসলেন?
–
রাত আনুমানিক বারোটা। খালেদার চোখে ঘুম নেই। মনটা ছট ফট করছে। ইচ্ছে হল বাইরে বের হতে। রুম হতে বারান্দায় আসতেই দেখে কাজের মহিলা মর্জিনা বিবি বারান্দায় বসে আছে। তার চোখে পানি। খালেদা মর্জিনা বিবির দিকে এগিয়ে
খোদেজা বেগমের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন তার সন্তান শাকিল এদেশের একজন নামকরা ডাক্তার হবে। গরিব দু:খী মানুষের সেবা করবে। অভাবের সংসারে কত কষ্ট করে খোদেজা তার সংসার চালাচ্ছেন তা শুধু আল্লাই ভালো জানেন। তার সম্পদ বলতে কিছু
আকাশে শরতের সাদা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। খুব ইচ্ছে করছে শরতের সাদা মেঘগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি। কিন্তু আকাশের দিকে তাকাতে পারছি না। উপরে আকাশ নিচে নদী মাঝখানে আমি ও রফিক। তিতাস নদীর দুপাশে কাশফুল। খুব ভালই লাগছে।
এক
১৯৯৫ সাল।
শীতের সকাল। চারদিকে কুয়াশা। কুয়াশার জন্য দূরের লোকজন তেমন দেখা যায় না। এখনও সূর্য উঠেনি। জসিম উদ্দিন রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটছেন। ডাক্তারের পরামর্শে প্রতিদিন ভোরে উঠে তিনি হাঁটেন। কিছুক্ষণ হাঁটার পর তার
আজ অফিস থেকে বের হতে শাহিনের অনেক দেরি হয়ে গেছে। সারাদিন তার উপর ধকল গেছে। তাছাড়া বাসার বাজার সদাই করতেও অনেক সময় ব্যয় হয়ে গেল। রাত আনুমানিক দশটা বাজে। মতিঝিল শাপলা চত্বরের পাশে রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে
এই সবুজ!
আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি ঋতু দাঁড়িয়ে আছে। একটু অবাক হলাম! এ মুহূর্তে ঋতুর এখানে আসার কথা না। কিন্তু কেন আসলো? আমিতো একা থাকতে চেয়েছিলাম। আমিতো তার কাছ থেকে দূরে চলে আসছি। আমি বললাম, কি?
ঋতু
সুবর্ণা ও সজিব ওরা দু’ভাইবোন। সুবর্ণা বড় নবম শ্রেণিতে পড়ে। সজিব ছোট ষষ্ট শ্রেণিতে পড়ে। কয়েকদিন যাবত দু’জনেই পড়ালেখা নিয়ে খুবই ব্যস্ত। কারণ সামনে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে হবে ওদেরকে। প্রতিযোগিতায় দু’জনেরই নাম দেয়া হয়েছে।
আমার নানার চার মেয়ে ও দু’ছেলের মধ্যে আমার মা ছিলেন সবার বড়। নানা আমার মাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের বাড়ি থেকে নানার বাড়ি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। গ্রামের নাম চরবাড্ডা মির্জাচর। সবুজ গাছপালা বেষ্টিত গ্রামটি খুবই চৎমকার।