আমি তখন ক্লাশ সেভেন এ পড়ি। তখন ছিল বর্ষাকাল। আমাদের গ্রামের পাশেই ছিল হাই স্কুল। সেই স্কুলে এক সাথে লেখাপড়া করতাম আমি ও শিহাব। আমরা এক সাথে সব সময় থাকতাম। শিহাবের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে বেশী
জুনায়েদদের বাড়ির পাশেই ছিল পুরানো একটি পুকুর। পুকুর পাড়েই ছিল বিশাল একটি বড় বট গাছ। বট গাছটির ডালপালা এতই বিশাল ছিল যে সবগুলো ডালপালাই পুকুরে গিয়ে পড়েছে। বট গাছের ডালপালার কারণে সূর্যের আলো কমই পড়ত
রাত বারটা।
চারদিকে নীরব নিস্তদ্ধতা। কোথাও কেউ নেই। এ মুহূর্তে গ্রামের কেউ এখন জেগে নেই। এমন সময় রুমা একা ঘর থেকে বের হলো প্রস্রাব করার জন্য। স্বামী শিহান গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আছে। চারপাশ থেকে শিয়ালের হুক্কা
আশিক গ্রামে লজিং থেকে লেখাপড়া করে। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। ছাত্র হিসেবে খুব ভাল। আর মাত্র দু’মাস বাকী ওর ফাইনাল পরীক্ষার। লেখা পড়া নিয়ে এখন খুবই ব্যস্ত। বন্ধুদের সাথে বসে গল্প করার সময়ও এখন আর
– কিরে সাইফ কি করছিস? চল ঘুরে আসি। হঠাৎ বিকেল বেলা কাইফ সাইফের রুমে এসে হাজির।
– তুই এ সময়! কি মনে করে?
– কিছু মনে করে না। হঠাৎ তোর কথা মনে পড়ল তাই চলে আসলাম। এ
কলেজে ভর্তি হবার পূর্বে কলেজকে নিয়ে রবিন কতনা রঙিন স্বপ্ন দেখেছে। যেখানে আছে স্বাধীনতা। নেই কোন শাসন। ইচ্ছে হলে ক্লাশ করবে, ইচ্ছে না হলে ক্লাশ করবে না। কোন শিক্ষক কিছু বলবে না। এই হল কলেজের নিয়ম।
নোমানের বুকের ভেতরে নিদারুণ কষ্ট অনুভূত করতে লাগলো। এইতো কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে সে এমন হয়ে গেল। অথচ এখন থেকে ছয় সাত ঘন্টা পূর্বেতো সে এমন ছিল না। তখন তার মন ছিল ফুর ফুরে, উৎফুল্ল। কিন্তু কেন?
সোহেল সাবিনাকে অনেক ভালোবেসেছিল। তারপরও সোহেল সাবিনাকে তার জীবন থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। এছাড়া কি আর করার ছিল তার। সে সোহেলের জীবনটাকে তিলে তিলে শেষ করে ফেলেছে। ওকে নিয়ে সারাক্ষণ আতংকে থাকত সোহেল। কখন জানি
মীম এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা শেষ। এখন পড়ার কোন চাপ নেই। যথেষ্ট সময় এখন তার হাতে। মীম তার ছোট নাম। পুরো নাম তানিয়া সুলতানা মীম। মেয়ে এখন অনেক বড় হয়েছে। তাই বাবা তাকে একটি এনড্রুয়েড
রাত প্রায় ১২টা বাজে। বেলাল নাদিরাকে নিয়ে তার ব্যাচেলর বাসায় ঢুকেই দরজাটা লাগিয়ে দিল। এ দৃশ্য দেখে তখন নাদিরার হাত পা কাঁপা শুরু করে দিল। একি হচ্ছে! এ আমি কোথায় আসলাম? একজন মেয়ে হয়ে এত রাতে
এক
– মা, মা তুমি কোথায়? ভাত দাওতো। এই কথা বলতে বলতে আদর খাবার রুমে ঢুকল।
আদরের মা চড়া গলায় বললো, কি হয়েছে? এত চিল্লাছিস কেন? নবাবজাদা সারাদিনতো টইটই করে ঘুরে বেড়াস আর ঘুম থেকে উঠস দিনের বারটায়।
দিন চলে যায়, রাত আসে এভাবে চলে যায় সপ্তাহ। পার হয়ে যায় মাস। দেখতে দেখতে চলে গেল এগারটি মাস। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই পবিত্র মাহে রমযান এসে উপস্থিত হল আমার সামনে। সংকেত আসল আর
– ভাইসব আজ বিকাল তিন ঘটিকায় কড়াই গ্রামের ঈদগাহ মাঠে এক বিরাট ফুটবল ফাইনাল খেলার আয়োজন করা হইয়াছে। উক্ত খেলায় অংশগ্রহণ করবেন কড়াই গ্রাম একাদশ বনাম সিধুলী গ্রাম একাদশ। উক্ত খেলায় আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।
এভাবেই মাইকিং
– এই যে ভাই ভাড়া দেন।
কন্ট্রাক্টর ভাড়া চাইতেই প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে শক খেলাম। আমার মানিব্যাগ গায়েব হয়ে গেছে। পকেটে খুচরা টাকাসহ সব মিলিয়ে ৫০০/৬০০ টাকা ছিল। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভোটার আইডিকার্ডসহ সবই পকেটমার নিয়ে