নিজেকে ভস্ম করার আগে
আত্মাকে দিও ছুটি
আত্মায় যে আছে তার যেনো না লাগে আঁচ। যে হারিয়ে যাবে
তাকে হারাতে দাও
তার পালকে লেগে আছে পিছুটানের অভিশাপ। গোপন ষড়যন্ত্রের মত
নিজের ভেতর গড়ে উঠছে যে প্রাচীর
তার ইটে ইটে এইমাত্র লিখে এলাম-
প্রজাপতি পাখার কারুকাজ বস্তুত ক্যামোফ্লাজ। #অকবিতা

নাম তার জানিনা
একই বাসে আসি
সকাল বেলা আমার অফিস নয়টায়, তারো
আমি ভাবি, আহা! আমাদের মাঝে কত মিল সে বাসস্টপে আসে ঠিক আটটায় কিংবা আরো আগে
আর আমি ঘুম থেকেই উঠতাম আটটায়
সময়ের সাথে মেয়েদের একটা বিপরীত
সম্পর্ক থাকলেও এইখানে তার ব্যাতিক্রম এখন আমিও উঠে যাই সাতটায়
আটটার পাঁচ মিনিট আগেই

না কেউ কেউ কবি নয়! সকলেই কবি! বিশেষত যদি বাঙালি হন, আর লগইন করেন ফেসবুকে! তবে স্ট্যাটাসে কীপ্যাড ওপেন করলেই কাব্যসরস্বতী আপনার অধীনস্ত! অক্ষর জুড়ে অক্ষরবৃত্ত, স্বরবৃত্ত, দলবৃত্ত তছনছ হতে পারে! ধর্ষিত হতে পারে ছন্দ অনুপ্রাস কাব্যমাত্রা! কিন্তু কবিতাদেবীর শরীরের বিভঙ্গে শব্দযোজনা করলেই আপনি

আষাঢ়ের শুভেচ্ছা সবাইকেআমার প্রিয় ঋতু (যদিও সব ঋতুই আমার পছন্দ) ©কাজী ফাতেমা ছবি আষাঢ়ে বৃষ্টি নামবে সেতো চিরাচরিত নিয়মে
আর মনে যে নামছে হর হামেশা বৃষ্টি, সে খেয়াল কেউ রাখে!
অগোচরে ঝরে যায় ব্যথা হৃদয় চুয়ে চুয়ে
রেখে যায় ক্ষত চিহ্ন
বুকের ভিতর ঢেউয়ের পর ঢেউ
আঁচড় কাটে

১।
#জীবন_বড়_অদ্ভুত জীবন বড়ই অদ্ভুত
অদ্ভুত মানুষের মন
অদ্ভুত মানুষের চলাফেরা
আচার আচরণ।
জীবনের মানে কেউ বুঝে
বুঝে উঠতে পারে না কেউ হয়তো।
বুঝে উঠতে উঠতেই সহসা
ডাকে এসে যায় শেষ চিঠি
মানুষ শুধুই অদ্ভূত হা হুতাশ করে
জীবনের কাছে মানুষ প্রয়োজনের বেশীই চায় বুঝি
এজন্য হতে হয় হতাশ,
এক রাশ হতাশা আর অপূর্ণতা

©কাজী ফাতেমা ছবি
এই মৌসুমে খাব নাকো – ইলিশ মাছের টুকরা ভাজা
জাটকা ইলিশ ফরমালিনে- ইলিশগুলো নয়কো তাজা
পান্তা ভাতের পাতে রেখো – শুকনো মরিচ শুটকির ভর্তা
স্বাধে জিহবায় পানি নিয়ে-খাবেন সুখে ঘরের কর্তা।
ইলিশ ভাজা পান্তা ভাতে- মানায় নাতো পানসে লাগে
তবে কেনো ইলিশ দিয়ে- পান্তা

কতদিন বন্ধুদের ফোন পাইনা
দু:খ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে থাকি অপেক্ষায়
একটা ফোনের জন্য!
মুঠোফোনে বাজে না এখন আর সেই সুরেলা রিংটোন!
তোরা এমন হয়ে গেলি কেন রে? আগে হঠাৎ করে যখন তোদের ফোন আসত
ভিড় করতো এসে কামরাঙা দুপুর
মনের মাঝে বেজে উঠত
রিনিঝিনি বেগুনি জারুল ফুলের

তুমি আমার কাব্য হবে? — হয়ে যাওনা!
বুকের মাঝ লুকিয়ে রবে?– রয়ে যাওনা!
কানে কানে কথা কবে? — কয়ে যাওনা! ছন্দ হবে,হবে মাত্রা?
একই পথে শুরু যাত্রা
এলোমেলো ঝড়ো হাওয়া
জানলায় করবে আসা যাওয়া? তুমি আমার হবে নি:শ্বাস? –হতে পারো
জীবন পথে করবে বিশ্বাস??

রাত্রির গা বেয়ে নেমে আসে নিশাবিহার আয়াস মৌন ইশারায় হাত বাড়িয়ে ডাকে নিশাকর
দীর্ঘশ্বাসের প্রহরে দুই-ই একা; আমি-নিশাকর
ইচ্ছা-অনিচ্ছার ভিড়ে হারিয়ে গেছি, হেরেছে স্বপ্ন
যা বয়ে গেলো- নিয়ে গেলো সময়ের স্রোত
যে বুঝে সে উপভোগ করে আর যে বুঝে না
সে রয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস প্রহরেই!
আগ-পাছ ভাবিনা আর,

©কাজী ফাতেমা ছবি

স্বাধীনতা মানে কি তবে এই-জঙ্গীর কবলে বাংলাদেশ
স্বাধীনতা মানে কি তবে এই-সর্বত্র কেবল আতংকের রেশ!
স্বাধীনতা বুঝি- নেতাদের মুখের হড়বড় মিথ্যে বুলি
স্বাধীনতা মানে কি- দেশজুড়ে সন্ত্রাসীরা খেলে রক্তের হুলি!
স্বাধীনতা বলতে কি – সত্যের পথগুলো হয়ে গেলো রুদ্ধ
স্বাধীনতা হায়- দূর্নীতির কবলে পড়ে

১।
কাঁধেতে ঝুলানো ব্যাগ-মুখে ছড়ানো আবেগ
ক্যামেরা ঝুলানো গলায় -হেঁটে চলে বেলা অবেলায়
চেহারায় ক্লান্তির নেই ছাপ-
থেমে নেই,মাথায় তীক্ষ্ণ উত্তাপ।
ক্যামেরা হাতে,ফুটপাতে দু’চোখ-
চেয়ে থাকে অপলক,কতক মলিন মুখ।
ক্লিক ক্লিক অজানতেই জীর্ণ চেহারায়
কবির চোখে মুখে ছাপ পুর্ণ হতাশায়।
পার্কের বেঞ্চে খানিকটা সে বসে
জীবনের মূল্য কোথায়? অংক কষে,
কলমের খোঁচা

ইচ্ছের কথা বলে আর লাভ নেই জান তো
ইচ্ছেরা সময় অসময় পাখনা মেলে
কত কিছুই করতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছেদের কোন শেষ নেই সীমাও নেই। কোথাও দূরে যাচ্ছো! বাক্স গুছিয়ে দিচ্ছি আমি
ইচ্ছেরাও খেলছে এলোমেলো খেলা।
এই মুহুর্তে ইচ্ছে করছে আমার সব ব্যাকুলতা
তোমার বহন করা বাক্সে

শত যন্ত্রণার ঢেউ ডিঙিয়ে,দিন করে পার সে নারী
ধৈর্য্যের সীমানা ছেড়ে নারী দেয়, কষ্টের পাহাড় পাড়ি
বিশ্বাসে অটুট নারী আগায় ধীরে, ফুটো নায়ে পা দিয়ে
ডুবে ভেসে অবশেষে, সাঁতরে কূল খুঁজে আনে ছিনিয়ে। নারী সেতো, মা বাবার রাজকন্যা ছিল একদা জানি
রাজকন্যার কপালে