সাইয়িদ রফিকুল হক-এর ব্লগ

সাইয়িদ রফিকুল হক ( Syeed Rafiqul Haque)

তিনি একজন সাহিত্যসেবী, গ্রন্থপ্রেমিক ও রাজনীতি-সচেতন মানুষ। বাংলাদেশ, বাংলাভাষা ও বাংলাসাহিত্য তাঁর কাছে সবসময় প্রিয়, এবং এই তিনটি তাঁর কাছে চিরদিন পবিত্র শব্দ। তিনি বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষশক্তি। তাঁর লেখালেখিতেও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার ছাপ সুস্পষ্ট। আর তিনি সবসময় ঘৃণা করেন রাজাকার, ধর্মান্ধ ও ধর্মব্যবসায়ীচক্রকে। ধর্মবিশ্বাসে তিনি ত্বরীকতপন্থী সুন্নীমুসলমান। আর জীবনের সর্বক্ষেত্রে তিনি একজন পুরাপুরি আস্তিক। তিনি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। একজন খাঁটি বাঙালি ও বাংলাদেশী।

সাহিত্যচর্চা: তিনি নামে-বেনামে ও ছদ্মনামে লেখালেখি করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। মূলত তিনি কবি, লেখক ও ঔপন্যাসিক। তিনি স্কুলজীবন থেকে আপনমনে সাহিত্যচর্চা করছেন। তখন লেখাপ্রকাশের তেমন-একটা সুযোগ না থাকায় তিনি তাঁর লেখাসমূহ প্রকাশ করতে পারেননি। বর্তমানে ‘শব্দনীড় ব্লগ’সহ বিভিন্ন ব্লগে তাঁর লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তাঁর লেখার মূল বিষয়: মানুষ, মানবতা আর দেশ-জাতি-সমকাল। আত্মপ্রচারবিমুখ এক কবি তিনি। স্কুলজীবন থেকে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করে অদ্যাবধি কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস ইত্যাদি রচনায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। পনেরো বছর বয়সে কবিতা লেখার মাধ্যমে তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। তিনি লিখেছেন অনেক। কিন্তু প্রকাশ করেছেন খুব কম। ইতঃপূর্বে কয়েকটি সাহিত্যপত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তাঁর লেখাসমূহ আধুনিক-ব্লগগুলোতে প্রকাশিত হচ্ছে। এজন্য তিনি ব্লগগুলোর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তিনি বাস্তববাদী লেখক। আর তাঁর লেখায় কোনো কৃত্রিমতা নাই। তাঁর প্রায় সমস্ত লেখাই দেশ ও জাতির জন্য নিবেদিত।

তাঁর লেখার বিষয়: কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস ইত্যাদি। তিনি ‘মানবজীবনের গল্প’ রচনায় যথেষ্ট পারদর্শী। এ পর্যন্ত তাঁর রচিত গল্পের সংখ্যা ৩২টি। আর উপন্যাসের সংখ্যা ১৮টি। ছড়াসাহিত্যেও তিনি সমভাবে পারদর্শী।

শিক্ষা: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি তাঁর কোনো আগ্রহ নাই। তাঁর কাছে সার্টিফিকেট-সর্বস্ব সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কঠোর সাধনায় অর্জিত প্রকৃত জ্ঞানের মূল্য অনেক বেশি। তিনি নিজেকে সবসময় একজন স্বশিক্ষিত মনে করেন। তবে প্রচলিত প্রথার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক উচ্চতর গবেষণাকর্মে নিয়োজিত।

জন্মস্থান: বাংলাদেশ।

তাঁর জীবনের লক্ষ্য: লেখালেখির মাধ্যমে আমৃত্যু দেশ, মানুষ আর মানবতার পক্ষে কাজ করা।

কবিতার মানে
কবিতার মানে
সাইয়িদ রফিকুল হক তোমরা সবাই কবিতাকে আজ ভাবছো খুবই সস্তা!
দিনেরাতে তাই আজেবাজে লিখে নিমিষে ভরছো বস্তা।
কবিতার কথা মনভাবনায় ভাবতে হয় যে ধ্যানে,
সাধক-প্রাণের ভাবুক-মনই বোঝে কবিতার মানে।
কবিতা নয়কো বিলাসী কারও খেয়ালখুশির বন্যা,
কবিতারা হলো হৃদভাবনার কৃষ্ট শব্দের কন্যা।
উৎকর্ষতা যখন কারও মনের গভীরে আসে,
হৃদয়খাতায় দেখবে তখন কবিতা পড়ুন
কবিতা | | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৮ বার দেখা | ১১৫ শব্দ ১টি ছবি
পেঁয়াজের দামবৃদ্ধিতে অনেকেই খুশি!
বাংলাদেশে এমন অনেকেই রয়েছে—যারা দেশের ভিতরে যে কোনো সমস্যা দেখলে খুব বেশি খুশি হয়। মানুষের আপদ বিপদ দেখে এদের মনে ভয়ানক আনন্দের উদ্রেক হয়। এরা মনের আনন্দে মানুষের দুঃখ, কষ্ট ও দুর্দশা দেখে পরম তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলতে পারে। এখানে, কারও ঘর পুড়ে যেতে দেখলে পড়ুন
জীবন | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪১৭ বার দেখা | ১০৯৬ শব্দ
সুখপাখিটা
সুখপাখিটা
ভগ্নছাদের কার্ণিশ বেয়ে কেমন করে যেন নেমে এলো দুঃখগুলো
জানলাগুলো বন্ধ করে রেখেছিলাম অনেক আগে থেকে
তবুও সুখপাখিটা পালিয়ে গেল দরজা খুলে! ভালোবাসি না কাউকে আর কখনো ভুল করে
ভালোবাসার এখন কঠিন অসুখ, অনেক ব্যাধি প্রেমরাজ্যে
তবুও মন কেমন-কেমন করে হৃদয়ব্যাধির পরিত্যাজ্যে! সুখপাখিটা ধরতে গিয়ে ফিরে পড়ুন
কবিতা | | ৭ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২৯ বার দেখা | ৭৬ শব্দ ১টি ছবি
গল্প: আত্মহত্যার আগে
কলেজের শুরুতে আসিফের দিনগুলো ভালোই কাটছিল। এখানে, সে বেশ কয়েকজন নতুন বন্ধুবান্ধব পেয়েছে। এটা ছেলে-মেয়েদের সহশিক্ষার কলেজ। সে সবার সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে দিনগুলো বেশ আনন্দে পার করছিল। হঠাৎ একদিন তার জীবনের মোড় ঘুরে গেল। তার স্বাভাবিক আনন্দময় জীবনে কেমন করে পড়ুন
গল্প | | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৪৬ বার দেখা | ২১৩৫ শব্দ ১টি ছবি
হে যুবক, তুমি আত্মহত্যা কোরো না
আজ তুমি আত্মহত্যা কোরো না হে যুবক,
আগামীকাল পৃথিবী ভেসে যাবে চতুর্দশীর পূর্ণিমায়!
জোছনাঝরা রাতটুকু দেখবে না একবার তুমি?
তোমার চোখে বুঝি এখন ঘুম নামতে চাইছে!
তবে তুমি শুয়ে পড় কোকিল-ডাকা দিনের কথা ভেবে,
তোমার বুক ভরে উঠুক বকুল ফুলের পবিত্র সুবাসে। তুমি আত্মহননের দুশ্চিন্তা মাথা থেকে পড়ুন
কবিতা | | ৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৩৭ বার দেখা | ২৮৮ শব্দ ১টি ছবি
ছোটগল্প: আফসারের চোখে জল
আফসার বাসস্ট্যান্ডে এসে আজ বড় ভাবনায় পড়ে গেল।
বাসে আজ খুব ভিড়। তার কাছে রাস্তায় আজ লোকজনের উপস্থিতি একটু যেন বেশি মনে হচ্ছে।
এদিকে অফিস-টাইম প্রায় হয়ে গেছে। আর-একটু দেরি করলে আজ তাকে নির্ঘাত বসের কড়াধমক কিংবা নিদেনপক্ষে কটুকথা শুনতে হবে।
সে দেখলো, পড়ুন
গল্প | | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৫৪৫ বার দেখা | ১৭৬১ শব্দ ১টি ছবি
নিজের মুখে ঝাল খাও
পরের চোখে স্বপ্ন দেখে
হচ্ছো কেন গাধা?
আপনমনে স্বপ্ন দেখো
দিচ্ছে কেহ বাধা? পরের মুখে ঝাল খেয়ো না
ঝাল যে বড় তিতা!
নিজের মুখে ঝাল খেয়ে যাও
জুটবে অনেক মিতা। পরের দেখা স্বপ্ন কিনে
হবে তোমার পতন,
এবার থেকে স্বপ্ন দেখো
শুধু নিজের মতন। হুজুগ দেখে মজবে কেন
তুমি যুগের ছেলে!
নিজের মতো স্বপ্ন দেখে
ওড়ো ডানা মেলে। বুদ্ধি-বিবেক পড়ুন
কবিতা | ৭ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৮৭ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
কবিতা সবার জন্য ভালোবাসার প্রস্ফুটিত ফুল
কবিতা সবার জন্য ভালোবাসার প্রস্ফুটিত ফুল
কবিতা হচ্ছে ভালোবাসার প্রস্ফুটিত ফুল। সাহিত্যকাননের সর্বাপেক্ষা সুন্দর ফুল কবিতা। আর সাহিত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী শাখাও কবিতা। বস্তুতঃ পৃথিবীতে আগে শুধু কবিতাই ছিল। পৃথিবীর সবকিছু তখন কবিতার মতোই সুন্দর ছিল। আর তখন সবকিছু কবিতার ভাষায় লিপিবদ্ধ হতো। পড়ুন
প্রবন্ধ | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৮৮১ বার দেখা | ৮৬০ শব্দ ২টি ছবি
তোমার হাতে গোলাপ দেখেও
তোমার হাতে গোলাপ থাকলেও ভয় পাই,
তোমার মনে ভালোবাসা দেখেও সন্দেহ তাই।
তোমার মনে গোলাপ ফোটে না
হাতে ফুল শুধুই অভিনয়,
তোমার সাথে ভালোবাসা করতে
তাইতো আমার এতো ভয়।
তোমার হাতে গোলাপ দেখেও আগের মতো
আর তো হই না শিহরিত,
তোমার মনে ভালোবাসা নাই যে
কথাটি ভেবে আর পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬৭০ বার দেখা | ৭৭ শব্দ ১টি ছবি
মানুষই শ্রেষ্ঠ ধর্ম—তাই মানবতাই হোক আমাদের সবার ধর্ম
পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় হলো মানুষ। আর মানুষই সবচেয়ে দামি। তাই, মানুষকে সবার উপরে স্থান দিয়ে তাঁকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে হবে। জীবনের একমাত্র অবলম্বন হিসাবে মানুষকেই প্রধান্য দিতে হবে। জীবনে-মরণে মানবহৃদযন্ত্রে একমাত্র মানুষকেই ধারণ করতে হবে। এই মানুষই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আর পড়ুন
প্রবন্ধ | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৪৮ বার দেখা | ১০৯৫ শব্দ ১টি ছবি
তোমার একটি চিঠির অপেক্ষায়
আজ কতদিন হলো!
তোমার একটি চিঠিও পেলাম না,
হয়তো বলবে, এই মোবাইলের যুগে
কেউ কখনও চিঠি লেখে?
কিন্তু আমার যে এখনও
তোমার চিঠি পড়তে খুব ভালো লাগে। কতদিন হলো!
তোমার কোনো খবর জানি না,
বিছানার একপাশে অলসের মতো
সারাদিন শুয়ে থাকে
কত পরিচিত মোবাইলটা!
তবুও তোমাকে একদিনও
ফোন করতে ইচ্ছে করে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮০৭ বার দেখা | ১০৭ শব্দ ১টি ছবি
ফুল ফোটে না হিংসার মনোভূমিতে
তোমার বুকের হিমশীতল গভীরে ফুল হয়ে ফুটতে চেয়েছিলাম। আর সুবাস ছড়াতে চেয়েছিলাম চিরদিন তোমার স্বপ্নের পৃথিবীতে। আমার সেই স্বপ্ন ঝরে গেছে অকালে শুধু তোমার ভুলে। তবুও তোমাকে কখনও ভুল বুঝিনি। আর আশায়-আশায় পার করেছি কত দিবস-রজনী। ফুলের মালা হতে চাইনি, পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৭৯ বার দেখা | ২৪৪ শব্দ ১টি ছবি
শেখ মুজিবই বাংলার ইতিহাস
ইতিহাস কথা বলে
শেখ মুজিবের নামে,
ইতিহাসের পৃষ্ঠা ভরে যায়
শেখ মুজিবের নামে,
ইতিহাস সার্থক হয়
শেখ মুজিবের নামে,
ইতিহাস সত্য হয়ে ওঠে
শেখ মুজিবের নামে,
একাত্তরের সাতই মার্চ
শেখ মুজিবই ইতিহাস,
একাত্তরের সাতই মার্চ
বাঙালির মুক্তির ইতিহাস,
একাত্তরের সাতই মার্চ
বাঙালির স্বাধীনতায় বিশ্বাস। ইতিহাস কথা বলে
শেখ মুজিবের নামে,
বাঙালির ইতিহাস জাগ্রত হয় পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৭৭ বার দেখা | ৮২ শব্দ ১টি ছবি
ঘাতক সরে যাও আমাদের পিতার সমাধি থেকে
ফুলে-ফুলে ঢেকে আছে
আজ পিতার সমাধি,
ফুলের ছড়াছড়ি চারপাশে,
শুধু ফুল আর ফুল
আজ আমাদের পিতার সমাধিতে!
আর ফুল হাতেই দাঁড়িয়ে আছে
এই বাংলার ঘাতক ক’জন,
ওরাও এসেছে পিতার সমাধিতে,
হোক না কুলাঙ্গার,
তবুও এসেছে পিতার সমাধিতে! স্বার্থের বেড়াজালে আটকে পড়ে
কাঁপছে পাপীর দেহ থরথর,
ফুল হাতে এসেছে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬০০ বার দেখা | ২০৯ শব্দ ৩টি ছবি
মানুষ-ভজো মানুষ
মানুষ-ভজো মানুষ
মানুষ-ভজলে মানুষ পাবে,
মানুষ-ভজলে স্রষ্টাও পাবে। মানুষ-ভজো মানুষ
মানুষ-ভজলে পশুত্ব দূর হবে,
মানুষ-ভজলে তুমি মানুষ হবে। মানুষ-ভজো মানুষ
মানুষ-ভজলে তুমি সুন্দর হবে,
মানুষ-ভজলে তুমি আবার মানুষ হবে। মানুষ-ভজো মানুষ
মানুষ-ভজনা করলে তুমি সত্য হবে,
মানুষ-ভজনা করেই তুমি মানুষ হবে,
আর শুধু মানুষ-ভজনা করেই তুমি
মানুষ হতে পারবে। পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৯৮ বার দেখা | ৪৮ শব্দ ১টি ছবি