চলে যাবে? এই তো এলে, সবে সূর্য হলো লাল।
গোধূলি রাঙা বিকেল। অস্থির তুমি।
যেতে হবে আজ। আসবো আবার আগামী কাল
অনেক কাজ বাঁকি। ভালো থেকো তুমি।
বস না একটু! কতদিন পর দেখা, হোক না দুটি কথা!
জানি না আজ কেন এত ব্যকুল।
দ্যাখো সন্ধ্যা নামে। পুর বীর আকাশ ছেয়ে রাত আসে।
আজ কেন কেন তুমি এত ব্যকুল?
বকুল, গাঁদা, শিউলি, চাঁপা তোমার চুলে থাকতো গাঁথা।
এখনো কি করো চুলের খোঁপা?
থাক না এসব! অন্য কিছু বল। কি লাভ আত্মদহনে?
তার চেয়ে ভালো চুপ থাকা।
হুম্! ঠিক বলেছো। যে মনে স্বপ্নের দহন জ্বলে শুধু
স্বপ্ন হারার আগুন নদে। তার চুপ থাকায় শ্রেয়।
রেগে গেলে বুঝি! এই যে রাগ করে কি পেলে জীবনে?
যে রাগে শুধু কষ্ট দিতে পারে তা বর্জনই কি শ্রেয় নয়?
তোমারও তো কম ছিল না আত্মঅহমিকা। তবুও সখী।
থাক্! বাদ দাও এসব কথা কেমন।
হুম্! সেই ভালো। স্মৃতি শুধু ক্ষত বাড়ায়। রক্ত ঝরায়।
সময় বড্ড বেহায়া! যেতে হবে এখন।
চলে যাবে! যাও, সময় পেলে এসো। আমি আছি এই
শিমুল তলা, ভাঙা সাঁকো, ধুলাবালি মিশে।
সন্ধ্যার পাখায় রাত নামে ডাহুকীর চোখ মেলে যেই,
তেমনই পাবে আমায় বসে আছি তোমার আশে।
loading...
loading...
চমৎকার কাব্য গাঁথা। কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হলাম প্রিয় কবি সুজন হোসাইন।
loading...