দিন দিন সব ভুলে যাচ্ছেন?
আমাদের জীবনযাত্রা আধুনিক হওয়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্ট্রেসের পরিমাণ, তাই অল্প বয়সেই মনের জরাগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়ে যাচ্ছে। তবে ভালো দিকটা হচ্ছে, এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব সামান্য সচেতন হলেই। আর যেকোনো বয়সে বা শারীরিক অবস্থাতেই মনকে কর্মক্ষম রাখা ও স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলার কাজটা চেষ্টা শুরু করা সম্ভব। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা কিন্তু দাবি করছে যে নিয়মিত যদি মাথা খাটানো যায়, তা হলে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব আলঝেইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো কিছু রোগ। জেনে নিন কাজগুলো কী-
যদি আপনার বা আপনার বয়স্ক অভিভাবকদের কারো ভুলে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তা হলে প্রতিদিন নিজেদের মধ্যেই একটা খেলা খেলতে পারেন। প্রিয় গান বা সুরের একটা তালিকা তৈরি করুন, তার পর সেটা বাজিয়ে মনে করার চেষ্টা করুন সেই গান বা সুরের সঙ্গে আপনার কোন স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। কারণ গান আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দারুণ কার্যকর।
আপনি অফিস যাওয়ার সময় যানবাহনে যতটা সময় কাটান, তার মধ্যেই বেশ কয়েকটি ক্রসওয়ার্ড বা সুডোকু পাজল সলভ হয়ে যাওয়ার কথা। যেকোনো ধাঁধা সমাধানের জন্য মস্তিষ্ককে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, নার্ভগুলিও সচল ও সতর্ক হয়ে ওঠে।শব্দছকের আর একটা সুবিধে হচ্ছে, প্রচুর নতুন শব্দ শেখা যায় এবং সেগুলিকে মনে রাখার জন্যও মস্তিষ্ক সচেষ্ট হয়ে ওঠে। তাই চেষ্টা করুন পাজল মেলানোর।
শিশুদের সঙ্গে যদি খানিকটা সময় নির্মল আনন্দে কাটানো সম্ভব হয়, তা হলে মন বেশ ঝরঝরে থাকে। শিশুদের সঙ্গে তাদের মতো করে খেলুন, লুকিয়ে আইসক্রিম খেতে যান, তাদের কল্পনার দুনিয়ার শরিক হয়ে উঠুন। স্ট্রেস কমাতে তা ম্যাজিকের মতো কাজে দেয়।
যারা দিনের অনেকটা সময় গৃহবন্দি হয়ে কাটান নানা শারীরিক সমস্যার কারণে, তারা এই কাজগুলো করতে পারেন-
যে হাতটি কম শক্তিশালী (ডানহাতিদের ক্ষেত্রে বাম হাত), সেই হাতে নাম সই করুন দশবার। দাঁত মাজতে, চুল আঁচড়াতে পারলেও খুব ভালো হয়। দুটো হাত কাজে লাগান সমান তালে। ডান হাত দিয়ে টেবিলের উপর টোকা মারুন, বাম হাত দিয়ে ওই সময়েই টেবিলে একটি কাল্পনিক বৃত্ত আঁকার চেষ্টা করুন। দুটো দিক একসঙ্গে কাজ করলে মস্তিষ্ক ঝরঝরে হয়ে উঠবে। যদি কাজগুলো স্বচ্ছন্দে করতে পারেন, তাহলে পরের বার আরও একধাপ কঠিন চ্যালেঞ্জ দিন নিজেকে।
loading...
loading...
পরামর্শ গুলোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে বোন সুরাইয়া নাজনীন।
loading...
কারণ গান আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দারুণ কার্যকর। গুড আইডিয়া।
loading...
"শিশুদের সঙ্গে যদি খানিকটা সময় নির্মল আনন্দে কাটানো সম্ভব হয়, তা হলে মন বেশ ঝরঝরে থাকে। শিশুদের সঙ্গে তাদের মতো করে খেলুন, লুকিয়ে আইসক্রিম খেতে যান, তাদের কল্পনার দুনিয়ার শরিক হয়ে উঠুন।"
ধন্যবাদ আপনার মতামত বা পরামর্শের জন্য।
loading...
শিশুদের সাথে সময় কাটালে আসলেই মন ভাল হয় ।ওদের সাথে সময় কাটালে স্মৃতিশক্তি বাড়ে এটা নতুন তথ্য । চেষ্টা করবো । আর বাকী তথ্যগুলোও চমৎকার ।
loading...
এই ব্যাস্ত মানব জীবনের কঠিন সময় থেকে একটি অতি নির্মল সময়
ভাগিয়ে আনার সুকৌশল শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে। ভালো থাকুন খুব খুব
loading...
আমাদের অনেক কিছুই করা উচিত অথচ করি না, আজকাল আমরা সবাই নিজেদের বুদ্ধিভিত্তিক যে চর্চা করার প্রয়োজন সেটাও ভলে গিয়ে মোবাইল কম্পিউটারে মনোনিবেশ করে যাচ্ছি। ফলে মেধার অপচয় এবং নষ্ট হচ্ছে। আপনার এই প্রবন্ধ খুব সময়োপযোগী
loading...