সমস্যা নিয়েই তো দিনের পথচলা শুরু। কিন্তু এগুলো দূর করার যদি যথাযথ কৌশল জানা থাকে তাহলে আর দৈনন্দিন সমস্যাগুলো সামনে আসে না। গৃহে কাজ করার সময় নানাবিধ অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই ঘর-গৃহস্থালির দৈনন্দিন কাজকর্ম ঝামেলাহীনভাবে শেষ করতে চায় সবাই। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় ছোটখাটো বাঁধা মেজাজ বিগড়ে দেয়ার পাশাপাশি সময়ও নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই টুকিটাকি কিছু গৃহস্থালি সমস্যা সমাধানের টিপস দেয়া হলো।
অনেক সময় বয়ামের লবণ গলে পানি হয়ে যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি চাল ফেলে রাখুন বয়ামে। আপেল কাটলে কিছুক্ষণের মধ্যে তা কালচে হয়ে যায়। কাটার পর পরই খানিকটা লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। তাহলে তাজা থাকবে আপেল। কড়াই কিংবা ফ্রাইপ্যানে খাবার পুড়িয়ে ফেললে দাগ পড়ে যায়। সাবান মেশানো গরম পানিতে ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রাখুন। পরিষ্কার হবে দ্রুত। অনেক সময় ডিম সিদ্ধ করতে গেলে ফেটে যায়। পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে সিদ্ধ করলে ফাটবে না ডিম। মসলার বয়ামে নাম লিখে রাখুন। খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কাটার সময় চোখ জ্বালা করবে না। মোমবাতি ফ্রিজে রাখতে পারেন। ক্ষয় কম হবে। রান্নাঘরের চিনির বয়ামে কয়েকটি লবঙ্গ রেখে দিন। পিঁপড়া আসবে না। শুকনো নিমপাতা গুঁড়া করে রান্নাঘরে ছড়িয়ে দিলে পোকার উপদ্রব কমবে। মাংস সিদ্ধ না হলে এক টেবিল চামচ সিরকা মিশিয়ে দিন। কাজ হবে দ্রুত। মুড়ি নরম হয়ে গেলে চুলার আঁচে খানিকক্ষণ গরম করে নিন। মচমচে হয়ে উঠবে তাড়াতাড়ি। তরকারিতে লবণ বেশি হয়ে গেলে একটি আলু কেটে দিন। অতিরিক্ত লবণ টেনে নেবে। সামান্য টক দিলেও তরকারির লবণ কমে আসবে। ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে খাবার সোডা কিংবা এক টুকরো কাটা লেবু রাখতে পারেন ভেতরে।
রসুনের খোসা ছাড়ানোর আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। খুব সহজেই খোসা খুলে আসবে। ছোলা সিদ্ধ হতে না চাইলে এক চিমটি খাবার সোডা দিয়ে দিন। মাছ ভাজার সময় তেল ছিটলে একটু লবণ দিয়ে দিন। তেল আর ছিটবে না। গরম তেল ছিটকে শরীরে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতস্থান ঠাণ্ডা পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। ২০-২৫ মিনিট রাখলে জ্বলুনি কমে যাবে। খেজুরের গুড়ে দুধ দিলে অনেক সময় ফেটে যায়। এ জন্য দুধের সঙ্গে মেশানোর আগে গুড় পানি দিয়ে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তার পর মেশান। দুধ ফাটবে না।
বিস্কুট রাখার আগে কৌটার নিচে এক টুকরো ব্লটিং পেপার রাখুন। দীর্ঘদিন মচমচে থাকবে বিস্কুট। কাঁচা মুগডাল ভেজে পানিতে ধুয়ে নিলে কালো হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। ডাল রান্না করার আগের রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। দ্রুত সিদ্ধ হবে। কাঁচামরিচ বোঁটা খুলে সংরক্ষণ করলে অনেক দিন তাজা থাকে। রান্না করার ১৫ মিনিট আগে মাছ ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখুন। আঁশটে গন্ধ থাকবে না। মাছ ভাজার সময় একটু ময়দা কিংবা চালের গুঁড়া মিশিয়ে ভাজলে খেতে মচমচে হবে। ওল অথবা কচু রান্না করার সময় একটু তেঁতুল মিশিয়ে নিন তাহলে গলা ধরবে না।
loading...
loading...
এক সাথে অনেক গুলো ফ্রি পরামর্শ। কাজ তো লাগবেই মনে হচ্ছে।
loading...
লেখাগুলো অক্ষর থেকে যদি বাস্তবে রূপ নে্য় তাহলেতো পরিশ্রম সফল। ধন্যবাদ আপুনি।
loading...
বেশ সুন্দর সুন্দর বিষয় উপহার দিচ্ছেন যা খুবই enjoy করছি আমরা সবাই। কিন্তু আপা, আপনার এখানে যারা মতামত জানিয়ে যায় তাদের মতামতের ছোট্ট একটু করে উত্তর দিতে পারলে আরও সুন্দর হোত না? দেখুন একটু চেষ্টা করে যদি আর একটু সময় দিতে পারেন!
ধন্যবাদ।



loading...
ইচ্ছে করে সবসময় সঙ্গে থাকতে কিন্তু সময়ের সঙ্গে দৌড়ে বার বার হেরে যায়। ভাল থাকবেন। উকি দিব মাঝে মাঝে।
loading...
ধন্যবাদ মাই ডিয়ার আপুমনি। ইচ্ছেটুকুই যথেষ্ট।



loading...
ওয়াও। দারুণ আইডিয়া।
loading...
ধন্যবাদ।
loading...
এতো এতো টিপস দিলেন , কোনটা রেখে কোনটা যে মনে থাকে –
ধন্যবাদ আপনাকে ।
loading...
ধন্যবাদ।
loading...
টিপস এর এই কাহিনী মুরুব্বীনিকে পড়িয়ে শোনালাম। ফলাফল কি হবে জানিনা।
loading...
ধন্যবাদ। ফলাফল কী হলো জানাবেন প্লিজ।
loading...
* সেই ভালো…
loading...