রং করা চুলের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
কে না চায় নিজেকে নিজেকে সুন্দর করে তুলতে! বর্তমানে আমরা ঝুঁকছি কৃত্রিমতার দিকে। কিন্তু চোখের সৌন্দর্যই বড় কথা নয়। সুন্দর হতে গিয়ে যদি থাকে স্বাস্থ্যঝুঁকি তাহলে ? গবেষনা বলছে হেয়ার কালার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তবে দেখে নেয়া যাক রং করা চুলের এই ফ্যাশন কি আমাদের শরীর এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল ? চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলছে।
গবেষকরা প্রশ্ন তুলেছেন কতগুলি বিষয় নিয়ে, যেগুলির উত্তর জেনে নেয়াটা সবারই একান্ত প্রয়োজন। যেমন, হেয়ার কালার চুলে লাগালে ঝাঁঝালো একটা গন্ধ বেরতে শুরু করে। এমনটা কেন হয়? আমাদের চুলের স্বাভাবিক গাঢ় কাল রং হঠাৎই অন্য রঙে বদলে যায় কীভাবে? আমাদের চুলের স্বাভাবিক রঙকে মুছে ফলতে যে যে উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলি কি চুলের পক্ষে আদৌ ভাল? এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানলে আপনাদের চোখ যে একেবারে কপালে উঠে যাবে। কারণ বাস্তবতা যে খুব ভয়ঙ্কর।
১. রঙে উপস্থিত অ্যামোনিয়া চুলের বাইরের স্তরকে একেবারে নষ্ট করে দেয়; চুলে রং করা মাত্র সেটি বেশ কয়েকটি বাঁধা পেরিয়ে তবে চুলের অন্দরে গিয়ে পৌঁছায়। তবেই কালারটা দীর্ঘ দিন থাকে। এই বাঁধাগুলি পেরনোর সময় ধীরে ধীরে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। প্রথমে চুলের একেবারে বাইরের যে দেওয়াল রয়েছে সেটিকে ভেঙে দেয় অ্যামোনিয়া, তবেই হেয়ার কালারটি ভিতরে ঢুকতে পারে। চুলের আর কর্মক্ষমতা থাকে না। ফলে চুলের ক্ষতি শুরু করে দেয়।
২. হেলার কালারে উপস্থিত পারোক্সাইড চুলের প্রকৃত রঙকে টেনে তুলে দিতে শুরু করে, দ্বিতীয় ধাপে হেয়ার কালারে উপস্থিত ব্লিচ বা পারোঅক্সাইড ধীরে ধীরে আমাদের চুলের যে কোলো রং কয়েছে তাকে ঘষে ঘষে তুলে দিতে শুরু করে। আর প্রাকৃতিক কালারের জায়গা নেয় কৃত্রিম কালার।
৩. তৃতীয় ধাপে হেয়ার কালারে উপস্থিত মনোমার’স নামে একটি কেমিক্যাল চুলের ভিতরে নিজের মতো আরো একাধিক কেমিক্যাল তৈরি করে এবং সেগুলি একে অপরের সঙ্গে মিশে গিয়ে আয়তনে বড় হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পলিমারস নামে একটি উপাদানের জন্য দেয়, যা হেয়ার কালারকে চুলের অন্দরে চিরস্থায়ী জায়গা করে দেয়। সেই কারণেই তো দেখবেন দীর্ঘ দিন রং একই রকম থেকে যায়। গোসলের পরও রঙের কোনও হেরফের হয় না।
৪. অ্যামিনায় ছাড়া যে রঙগুলি পাওয়া যায় সেগুলি একেবারেই ক্ষতিকারক নয় ; এই ধরনা একেবারেই ভুল যে অ্যামোনিয়া ফ্রি কালার চুলের কোনো ক্ষতি করে না। একটা সহজ বিষয় হয়, চুলের প্রাকৃতিক রং না ওঠা পর্যন্ত কৃত্তিম রং নিজের জায়গা করবে কীভাবে! আর এমনটা যখনই হবে, তখনই তো চুলের দফারফা হয়ে যাবে। তাহলে একথা কী করে সত্যি হয় যে অ্যামিনিয়া ফ্রি রং চুলের কোনও ক্ষতি করে না। প্রসঙ্গত, অ্যামিনিয়া ছাড়া যে রঙগুলি পাওয়া যায় সেগুলি চুলের কিছুটা কম ক্ষতি করে এই যা, বাকি কোনও পার্থক্য হয় না।
৫. ডাইটা যত বেশি সময় চুলে রাখবেন, তত বেশি ক্ষতি হবে: ডাইটা লাগানোর পর অনেকেই দীর্ঘ সময় পর গোসল করেন। ভাবেন ডাইটা যত বেশি সময় রাখবেন, তত ভাল রং হবে। একথার মধ্যে কোনো ভুল নেই যে ডাইটা বেশি সময় রাখলে চুলের রং আরো উজ্জ্বল হয়। কিন্তু সেই সঙ্গে রঙে উপস্থিত কেমিকেলগুলি বেশি বেশি করে চুলের অন্দরে প্রবেশ করে চুলের ক্ষতি সাধন করার সুযোগও পেয়ে যায়। চুলের কৃত্তিম রং যত উজ্জ্বল হবে, তত চলের বেশি বেশি করে ক্ষতি হবে।
loading...
loading...
আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ সুরাইয়া নাজনীন। শুভদিন।
loading...
অসাধারণ শেয়ারিং দিদি ভাই।
loading...
প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
loading...
চুলের কৃত্তিম রং যত উজ্জ্বল হবে, তত চলের বেশি বেশি করে ক্ষতি হবে।
loading...