ঘর শীতল থাকুক এসি ছাড়াই
কাঠফাটা রোদ। শান্তি নেই কোথাও। গরমে নাজেহাল অবস্থা। এসময় বাইরে যেন জ্বলন্ত আগুন। তবে ঘরে কি ঠান্ডা? এসময় সবাই ঘরে একখানা এসির প্রয়োজন অনুভব করছে। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে এসি ছাড়াও কিন্তু ঘর ঠান্ডা রাখা যায়। এখনই প্রশ্ন আসবে কিভাবে? হ্যাঁ তাদের জন্যই আমাদের আজকের আয়োজনঃ
ঘর শীতল রাখার বিষয়টি বাড়ি বা ফ্ল্যাট নির্মাণের সময়ই খেয়াল রাখতে হবে। বাড়ি বা ফ্ল্যাট উত্তর-দক্ষিণ দিক করে তৈরি করতে হবে। কেননা, দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস ঢুকে উত্তর দিক দিয়ে বের হবে। সে সঙ্গে গরমকেও নিয়ে যাবে। হয়তো কোনো বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সেটি পশ্চিম দিকে তৈরি করা। তাহলে সূর্যের আলো যেন কম প্রবেশ করে সে ব্যবস্থা করতে হবে। হালকা রঙের ভারী পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। বড় বড় জানালা রাখা প্রয়োজন। বাড়িতে যত বাড়তি জিনিস ও আসবাবপত্র কম রাখা যায় ততই ভালো।
কিছু কৌশল জানা থাকলে গরমেও ঘরে শান্তি বিরাজ করবে-
গরমের সময়ে ওভারহেড ট্যাঙ্কে বেশি পানি রাখবেন না। পানি তাড়াতাড়ি তেতে আগুন হয়ে যায়। গরম পানির ভাপ সব সময়েই বেশি। তাই সেই পানি যখন ব্যবহার করবেন তার গরম বাষ্প ঘরও গরম করে তুলবে। তাই প্রয়োজন মতো অল্প অল্প পানি তুলে ব্যবহার করুন। এতে পানিটাও ঠাণ্ডা পাওয়া যাবে।
সূর্যাস্তের পরে ঘরের জানালা-দরজা খুলে দিন। ঠাণ্ডা বাতাসে ঘরের গুমোট হাওয়া তাড়ান। অতি পরিচিত ঘর ঠাণ্ডা করার পদ্ধতি। কিন্তু নিয়ম করে হয়ে ওঠে না অনেক সময়।
বাড়ির লাগোয়া জমি থাকলে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বড় গাছ লাগান। এতে সারাদিন বাড়িতে রোদ পড়ার হাত থেকে বাঁচবেন। ঘরও অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা থাকবে।
বেশ কিছু ইন্ডোর প্লান্ট রয়েছে, যা বাড়ির মধ্যে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে। যেমন অ্যালোভেরা, বস্টন ফার্ন, স্নেক প্লান্ট, উইপিং ফিগ, অ্যারিকা পাম ইত্যাদি। ঘরের বাতাসকেও শুদ্ধ করে এই গাছগুলো।
বাড়ির মধ্যে কয়েকটি জায়গায় বড় মাটির মালসায় পানি রাখুন ও তাতে কয়েকটি সুগন্ধি ফুল ফেলে দিন। দিনে দু’তিনবার পানি পাল্টান। ঠাণ্ডা পানির বাষ্পে ঘর ঠাণ্ডা থাকবে। ভ্যাপসা গন্ধও হবে না।
তুলার বালিশের পরিবর্তে বাজরার বালিশ ব্যবহার করুন গরমকালে। তুলার বালিশ খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়।
সন্ধ্যাবেলা ছাড়াও দুপুরের আগে আর একবার ঘরের সব দরজা-জানালা খুলে হাওয়া আশা যাওয়া ব্যবস্থা রাখুন। মুখোমুখি জানালা খুলে দিলে সবচেয়ে ভালো। ঘরের গুমোট খুব ভালো দূর হয়।
সাধারণ বাল্ব-টিউব পাল্টে ব্যবহার করুন এলইডি বাল্ব। কারণ ইনক্যান্ডেসেন্ট বাল্ব থেকে গরম হয়ে যায় ঘর। দিনে দু’বার করে ঘর ও জানালার স্ল্যাব ভালো করে মুছুন। এতেও ঘর ঠাণ্ডা হতে সাহায্য করবে। ইলেকট্রিশিয়ান ডেকে পাখার ব্লেড একটু অন্যভাবে লাগান, যাতে পাখা ঘোরে অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ। এভাবে পাখা ঘুরলে গরম হাওয়া নিচে নামবে না, বরং উল্টোটাই হবে।
loading...
loading...
এটাই ভালো। পরামর্শ অনুযায়ী ঘর শীতল থাকুক এসি ছাড়াই। উপায় পছন্দ হলো।
loading...
অসাধারণ পরামর্শ —————–
loading...
বাহ! অজানা পদ্দতি বেশ কার্যকর বলেই মনে হলো। ধন্যবাদ।
loading...
অজানাই ছিল। যাক এই সুযোগে জেনে নিতে পারলাম।
loading...
দারুণ পরামর্শ।
loading...
বেশ ভালো টিপস!
শুভেচ্ছা নিন
loading...
*উত্তম পরামর্শ…
loading...