শিশুর ডায়াপার কি ক্ষতিকর?
একবার ভেবে দেখুনতো হাতের নাগালে সবকিছু চলে এলেই কি তার সমাধান সহজ হচ্ছে? আগের দিনে শিশুরা অবলীলায় খেলে বেড়াত, মায়ের নজর কম থাকলেও বিপদ কম হত কিন্তু এখন? যত চিন্তা ততো বিপদ! এখন শিশুদের জন্মের পরেই ডায়াপার পরিয়ে দেয়া হয় কিন্তু অভিভাবকরা একবার ভেবে দেখেন না, শিশুর ত্বকের নীরব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই শিশুকে ডায়াপার পরালেও একটু বুঝেশুনে নিয়ম মেনে পরাতে হবে। বিশেষজ্ঞরা ডায়াপার নিয়ে নির্ভরযোগ্য মতামত দিয়েছেন, চলুন দেখে নেয়া যাক-
– যতবার পারেন শিশুর ন্যাপি পরিবর্তন করে দিন। এতে তার নিতম্ব পরিষ্কার ও শুকনা থাকবে।
– শিশুকে কিছুক্ষণ ডায়াপার ছাড়া উন্মুক্ত অবস্থায় রাখুন। ফুসকুড়ি দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।
– ত্বক আর্দ্রতা মুক্ত রাখতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
– পানিতে আধাকাপ ভিনিগার মিশিয়ে তাতে শিশুর নোংরা কাপড় ভিজিয়ে রাখুন। কোনো রকম ডিটারজেন্ট বা সাবান ব্যবহার না করে তা ধুয়ে ফেলুন।
– ডায়াপারের র্যাশ দূর করতে পেট্রোলিয়াম জেলি বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
– শিশুর জামাকাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে সুগন্ধী সাবান অথবা ডিটারজেন্টের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এগুলো অনেক সময় ফুসকুড়ির কারণ হতে পারে।
– শিশুকে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ওয়াইপ্সের পরিবর্তে ক্ষরহীন সাবান ও হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।
– শিশুকে অন্য ন্যাপি পরানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তার নিতম্বের অংশ সম্পূর্ণভাবে শুষ্ক থাকে।
– গরম পানিতে সামান্য পরিমাণ ওটামিল মিশিয়ে তা দিয়ে শিশুকে গোসল করান।
– শিশুকে প্লাস্টিকের প্রান্ত বিশিষ্ট ডায়াপার পরাবেন না।
– শিশুর নিতম্ব পাতলা তোয়ালে অথবা তুলা দিয়ে আলত করে মুছুন। কখনই জোড়ে ঘষে মুছবেন না।
– যতটা সম্ভব শিশুর শরীরে টেলকাম পাউডার কম ব্যবহার করুন। কারণ এটি অনেক সময় শিশুর শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করতে পারে।
যেসব সমস্যা
ত্বকে র্যাশ: যেসব শিশুর ত্বক সংবেদনশীল তাদের অধিকাংশেরই নিয়মিত ডায়াপার পরার কারণে র্যাশ ওঠে যায়। সারাক্ষণ ভেজা থাকা এবং একেবারেই বাতাস প্রবেশ না করার কারণে ত্বকে র্যাশ ওঠার সমস্যাটা দেখা দেয়। যার দরুন শিশুর ভীষণ কষ্ট হয়, এবং কান্নাকাটি করে।
অ্যালার্জি: ডায়াপারে সুগন্ধী সৃষ্টির জন্য বা তার কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারের নানা প্রকার সুগন্ধী এবং রাসায়নিক উপাদান। অনেক শিশুই এসব রাসায়নিক উপাদানের কারণে অ্যালার্জির শিকার হয়। ফলে ফুসকুড়ি হয়ে, ত্বকের দাগের সৃষ্টি হতে পারে।
রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত: অতিরিক্ত শক্ত করে ডায়াপার পরানোর কারণে শিশুর ত্বকের স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে আপনার অজান্তেই আপনার শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির ক্ষতি হয় এবং আপনার শিশু কষ্ট পায় কিন্তু মুখে কিছু বলতে পারে না।
ইউরিন ইনফেকশন: শিশু যদি দীর্ঘ সময় ধরে মল-মূত্রসহ ডায়াপার পরে থাকে তাহলে, তার ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শিশুর মল-মূত্র করার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াপার বদল করা উচিত। তাছাড়াও একই ডায়াপার ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পরে থাকা স্বাস্থ্যকর নয়। ৩ ঘণ্টা পর পর ডায়াপার বদলে দিন আপনার শিশুর ডায়াপার।
loading...
loading...
প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
loading...
বাহ সুন্দর বিষয়ে লেখার জন্য অনেক শুভেচ্ছা নিবেন——–
loading...
বাহ! আপনার পোষ্ট গুলো সবই সেভ করে রাখার মতো!
শুভেচ্ছা


loading...
গল্প কবিতার মাঝে অনন্য পোস্ট।
loading...
নাইস কনসেপ্ট।
loading...
* অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট …
loading...