ড্রেসিংটেবিলের আয়না কোনো কিছু মনে রাখে না
না হাসি, না বিষাদের মুখ, যতবার সামনে দাঁড়িয়ে
মৃত্যুকে রেখে আসি, ততবার স্মৃতির সিথান হতে
কচ্ছপের বালিজীবন, সমুদ্র পেতে পেতে
কপালের পেশিতে জ্বরের তাপমাত্রা ওঠানামা করে
সমস্ত শরীর বেয়ে খেলে-ঘোড়াক্ষুর লাথির মতো
অ্যাম্বুলেন্স ভর্তি সবুজ হাওয়া,
নেমে আসে চেনা বিকেল-গহিন জঙ্গলের
পাতাঝরা আলো, মন চায়-আলোটুকু,
কোনো কাচের বোতলে মুখবন্ধি করে রাখি,
হয় না। দু অক্ষরের গান শোনালেও
দ্রুত সন্ধ্যা হয়ে ফেরে চড়ুইয়ের মতো-রাত;
দরজার চৌকাঠের পাল্লায় চোখ রাখি,
কোনো টোকা পড়লে, সাহায্য চেয়ে নেব।
দু ভ্রু’র দূরত্ব যতটুকু ঠিক তেমন,
এমন আগ্রহ গড়াতে গড়াতে বহুবার জ্বরের সঙ্গে
ব্রাত্য হয়ে উঠেছে,
আর তুমি লুট হয়েছ জেনে, দ্বিতীয়বার জন্মাতে চাই
কেন জ্বর হয়-হেলেঞ্চা?
এখন তো বিধৌত চৈতি দুপুর, ট্রাকভর্তি তাপ-
অথচ টানা শীত লাগে, ভিড় করে টেবিলের আঙুর,
শাদা ট্যাবলেটগুলোর ভেতরে একটা ঘুম প্রয়োজন
বুকের হিলিয়ামে জমিয়ে থাকা নিঃশ্বাসের সঙ্গে
জ্যোৎস্না ফুরোচ্ছে, সময় ফুরোচ্ছে, বোধহয় তুমিও।
কেবল জেগে রয়েছি, ক্ষুধার দিকে, ফাঁকা পথে-
অধিক যুবকেরা বারবিকিউয়ে ব্যস্ত, ধোঁয়া ওড়াচ্ছে
খাই-খাই কামড়ের শব্দ, ওরা থেমে থেমে হাসছে…
loading...
loading...
শাদা ট্যাবলেটগুলোর ভেতরে একটা ঘুম প্রয়োজন
বুকের হিলিয়ামে জমিয়ে থাকা নিঃশ্বাসের সঙ্গে
জ্যোৎস্না ফুরোচ্ছে,সময় ফুরোচ্ছে, বোধহয় তুমিও।
loading...