‘যখন ভাঙলো … ভাঙলো মিলনমেলা ভাঙলো …’। সেই কবে অদূর ভবিষ্যতের কোনো এক দিন বা রাত্রির হিসাব ধরে মানুষ আনন্দের প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। একে একে গোনা হতে থাকে দিন, সপ্তাহ, মাস। আর অবশেষে সেই অমোঘ মুহূর্ত ঘনিয়ে আসে।
মঞ্চ তখন প্রস্তুত। তার আভরণ সব এসে পৌঁছে যাচ্ছে। শেষ টেনশনের ধোঁয়া উড়ে যাচ্ছে পরিচালকের হাতের আঙুল বেয়ে ঠোঁট থেকে ওপরের স্ট্রাসের কাঠামোর দিকে। প্রস্তুত কুশীলবেরা তাদের সংলাপের নিবিড় অনুশীলনের পরে। আলো শিল্পী, আবহ শিল্পী, প্রসাধন শিল্পী, মঞ্চ শিল্পী, পোষাক শিল্পীরা বেজায় ব্যস্ত হয়ে ডাউন রাইট থেকে আপ লেফট প্রতিমার চক্ষুদানে টেনে চলেছে তুলির আঁচড়। ড্রপসিন অপেক্ষায় ঝোলে আর কিছু পরেই মালাবদল।
এত ব্যস্ততা, এত শোরগোল, এত চিন্তার জমাট বুনন ছিঁড়ে এক সময়ে সব আলো নিভে যায়। কুশীলবেরা ফিরে গেছে নিজের চিলতে বাসে পরের অধ্যায়ের প্রস্তুতির জন্য। মানুষের আপাত মিলনমেলা ভেঙে যায়, তবু জারি থাকে খোঁজ।
খোঁজ জারি থাকে মানুষ আর নিহিত ভালোবাসার। খোঁজে কেটে যায় সম্পূর্ণ এক নষ্ট জীবন। অন্তরালে সূর্য ডাকে, “আয়…আয়…ও অবয়ব আয় তোকে ঔজ্জ্বল্য দিই, উত্তাপ দিই। আয় রে ছায়া তোকে দিই রোদ্দুর।” আঘাতের পরে আঘাতে বোধশূন্য ছায়াবয়ব সেই একচিলতে আশাতেই বাঁচে … হাঁটে … এগিয়ে চলে সামনের উন্মোচন উৎসবের সন্ধানে। ঠোঁটের কিনারে, মস্তিষ্কের সুপ্ত কোষে কে যেন গেয়ে চলে, “চলো মুসাফির বাঁধো গাঁঠরি রাস্তা বহোত দূর হ্যায়! চরৈবেতি … চরৈবেতি …”
বোধের তফাৎ হলেই বোধগম্যতা দূরে সরে যায়। শিক্ষায়, মননে, চিন্তায়, কল্পনায় মিল হলে সেটাই বাড়ী হয়ে ওঠে। বোধ বেঁচে ওঠে নিজের মত করে। ভালবাসে প্রবল আবেগে। গভীরে চলে যায়, সমস্ত শরীর মন একাকার করে চুমু খায় ভালবাসাজনকে বন্যার জলের তোড়ে। সেখানেই তৈরী হবে তার সম্পূর্ণ নিজস্ব বাড়ী, তার একান্ত নিজস্ব ঘর।
loading...
loading...
অশেষ শুভ কামনা প্রিয় কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী। ভালো থাকা চাই।
loading...
অসাধারণ
সৃজনশীল
loading...