তখন কাঠের ভারী হাতুড়ি
ক্রমাগত আছড়ে পড়ছিল।
প্রথম পেরেক প্রবেশ করল
নরম হাতের তালুর
শিরা উপশিরা ছিন্ন করে,
যীশু একটু হাসলেন।
দ্বিতীয় পেরেক ঢুকলো
গ্রহের ভার ধরে রাখা
শক্ত পায়ের পাতায়,
যীশুর হাসি আরোও
চওড়া হলো ঠোঁটের কোণে।
তৃতীয় হাসি পেরেক হয়েই
হৃদয়ের পাশের অলিগলি
পথে যেতেই বিস্ফারিত হলো
লাল টুকটুকে ঠোঁট গড়িয়ে।
একে একে সব পেরেক পুঁতে
ঘর্মাক্ত ভাড়াটে জহ্লাদ
ভারা বেয়ে নামছিল,
যীশু তখনো হাসছিলেন।
এতদিন পরে, যখন পাড়ার
ফুটফুটে মেয়েটা বিবস্ত্র
অজ্ঞান জলার ধারে,
সবচেয়ে মেধাবী ছেলেটা
লাশঘরে মেঝেতে পড়ে
একটা প্রতিবাদের জন্য,
হতদরিদ্র আদিবাসী
ভাতের আশা ছেড়ে
মাছের চোখে তাকাল
বিএমডব্লুর দিকে,
যীশু তখনই কাঁদলেন।
GD Star Rating
loading...
loading...
GD Star Rating
loading...
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
loading...
ভালোবাসা ফয়জুল মহী ভাই।
loading...
অতীব চমৎকার।




loading...
ভালোবাসা কবি ইসিয়াক ভাই।
loading...
অবিশ্বাস্য অসাধারণ কনসেপ্ট। কবিতার আদল পড়ে মুগ্ধ হলাম প্রিয় কবি সৌমিত্র।
loading...
খুব খুব ভালো থেকো প্রিয় ভাই।
loading...