খাবার
নোংরা ন্যাংটো ছেলেটা
মায়ের শতচ্ছিন্ন আঁচল টেনে ধরছিল বারবার,
-ও মা, খেতে দে!
মূহুর্তে লক্ষ হাউই হাওয়া ফালাফালা করে উড়ে গেল
আলো হয়ে গেল সুবেশ সুবেশার ভাগ্যাকাশ,
গুরুগম্ভীর অশোকার সূর্য উচ্ছলিত ব্যাঙ্কোয়েট হল
দাঁড়িয়ে পড়লো, ব্যান্ডে বাজলো জাতীয়সঙ্গীত,
যাজক এগিয়ে এলেন রাজদন্ড-মুকুট হাতে-
নতুন রাজা অভিষিক্ত হলেন।
মখমলি সোফায় সামন্ত রাজা রানীরা
যারা কদিন আগেও হবুরাজাকে ল্যাজে খেলাচ্ছিলেন,
দিচ্ছিলেন সংবিধানসম্মত মাপা হাততালি,
রাজার মুখে প্রোটোকলসম্মত মাপা হাসি।
দেশী বিদেশী দিলখুশ খাদ্যপাহাড়ের সামনে
অজস্র সুগন্ধী বক্তৃতার পর
রাজা এগিয়ে এলেন-
নখের ডগায় একটু খাবার খুঁটে রাজা গন্ধ শুঁকলেন।
ঝলসে উঠলো চারপাশে ফ্ল্যাশবাল্ব-
ছলকে উঠলো খবরের রঙীন শিরোনাম-
এত খাবার থাকতে রাজা নিলেন করলাসেদ্ধ…!
আহা! মেরা রাজা মহান হ্যায়…!
ছেলেটা মার কাছে খেতে চাইছিল
ঝলসানো ইঁদুর কিম্বা কন্দমূল।
সে ভাত কখনো চোখেই দেখেনি।
loading...
loading...
বাহ্যিক ধোপ-দুরস্ত মানুষ আর চাকচিক্যের আবহের বাইরেও আমাদের যে সত্য-চিত্র লুকিয়ে থাকে; এ সত্য কোন মতেই অস্বীকারের সুযোগ নেই। অভাব এখনও সর্বত্র।
loading...
দারুন অতৃপ্তির অভিব্যক্ত, বাস্তবতা খুঁজে পেলাম কবি বন্ধু।
loading...