বেশ ছিলো, ক্ষেপে গেল
গোলোকেশ গোলদার
এই শীতে চাই তার
মালকোষ মালদার।
তাই শুনে শোরগোল
পড়ে গেল শহরে,
কেউ কি শুনেছে এ
কর্ণের কুহরে?
মালদার মালকোষ
সেটা কি যে বস্তু!
ভাষাটা কি ইংলিশ
তেলেগু না পুস্তু?
খায়? নাকি মেখে নেয়
খড়ি ওঠা শীত গায়?
অভিধান ফেল করে
বোঝো একি হলো দায়!
মালদার বিখ্যাত
ল্যাংড়া বা ফজলি,
বেশি খেলে মুখে বুকে
হয়ে যাবে খুজলি।
মালকোষ! সে তো জানি
ভারী এক রাগ গান,
মাঝরাতে গাওয়া হয়
ভানতে শিবের ধান।
চুলকিয়ে মাথা গেল
পায়না সওয়াল তল,
বায়নায় গোলদার
থেকে যায় অবিচল।
খোঁজো সব নাহলেই
ডিএ হবে বন্ধ!
জিনিস টা আছে ঠিকই
নেই কোনো সন্দ।
কাজ কাম লাটে ওঠে
রান্নায় হরতাল,
চুপিচুপি গোলোক কে
লোকজন পাড়ে গাল।
হঠাৎ এগিয়ে আসে
সাধুরাম সরখেল
মুখে মৃদু হাসি আর
হাতে এক শিশি তেল।
পেছনে মুটিয়া আনে
ইয়াব্বড় সিন্দুক,
উঁকি মারে তার থেকে
জং ধরা বন্দুক।
তেল দিয়ে সিন্দুক
ক্যাঁচ ক্যাঁচ খুললো,
ঘষেমেজে জং সব
সাফ করে তুললো।
বললে সে এই নাও
গোলদার ধরো হে –
মালকড়ি যা যা আছে
এর মাঝে ভরো হে!
খাঁটি এই কোষখানা
মালদায় তৈরী,
জেনে রেখো চোরেদের
এ ভীষণ বৈরী।
এই হলো মালদার
মালকোষ সিন্দুক,
বলছে বলুক লোকে
ওরা সব নিন্দুক।
গোলদার খুব খুশি
হাসি মুখে ফুটেছে,
শহরেও হাঁপ ছেড়ে
সব কাজে ছুটেছে।
loading...
loading...
চমৎকার এক ছড়া পাঠ করলাম কবি দা
loading...
মনোমুগ্ধকর কাব্য
loading...
অসামান্য এই লিখাটিতে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা প্রিয় কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
loading...